নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে যুবদলটা করি। আর আপনারা দীর্ঘ ১৫টি বছর ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। আপনাদেরকে সবার আগে মূল্যায়ন করতে হবে। 

রাজপথে ত্যাগী নেতাকর্মীদের রেখেই আগামীতে কমিটি গঠন করা হবে। আমাদের সাচ্চা  কর্মী দরকার আমার ডুবলিকেট কোন কর্মীর দরকার নাই। আর এই কমিটিতে ফ্যাসিস শেখ হাসিনার দোসরদের জায়গা দিবেন না। 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাঁখার আওতাধীন বন্দর থানা ২৫নং ওয়ার্ড  যুবদলের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। 

বুধবার ( ২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল এগারোটায় বন্দরের উত্তর লক্ষণখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ২৫নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা আব্দুর রহমান ও মাহবুল আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। 

তিনি বলেন, আমরা চাইলে পাঁচশ ও এক হাজার লোক নিয়ে কিন্তু আজকের এই কর্মী সভা করতে পারতাম কিন্তু তা না করে আমরা কিন্তু অল্প সংখ্যক নেতাকর্মী সভা করেছি। কারন আমার হাজার হাজার নেতাকর্মী দরকার নাই আমার ২০ জন হলেই যথেষ্ট। তারাই আগামী দিনে হাজার হাজার নেতাকর্মী তৈরি করবে। আগামী দিনে আমাদেরকে মানুষের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ৩১ দফা রাষ্ট্র মেরামতের সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। আর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদেরকে কমিটি গঠন করতে হবে।

সেই কমিটি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের যে প্রার্থী হবে তার পক্ষে গিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাইতে হবে এবং সেই ভোটের মাধ্যমেই বিএনপিকে বিজয়ী করে ক্ষমতায় আনতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, ২৫ নং ওয়ার্ডের মাসুদ আমাদের দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা এরা কিন্তু নকল সোনা না খাঁটি সোনা। এবং তাদের কি দায়িত্ব দেয়া হবে যারা যুবদলের প্রকৃত কর্মী রাজপথের নেতা তাদেরকে বের করে নিয়ে আসবে তারা।

তাদের মতামতের ভিত্তিতে আগামী দিনে ২৫ নং ওয়ার্ড যুবদলের কমিটি দেওয়া হবে। আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছে নেতা কম হোক প্রয়োজনে কর্মী বেশি হবে। নেতা বেশি হলে নেতাদের ভিতরে ওই ফ্যাসিবাদী ও জাতীয় পার্টির দোসরা পদ নেওয়ার জন্য এখানে ঢুকে যেতে পারে। সুতরাং সেই সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজন নাই।

প্রয়োজনে ১৫জন নেতৃত্ব দিবে। তারা বের করে আনবে এই অঞ্চলে কোন পরিবারের ছেলেটা ভালো ও কোন পরিবারের ছেলেরা ফ্যাসিস হাসিনার দোসরদের সঙ্গে জড়িত ছিল না। আমাদের বেশি নেতার প্রয়োজন নাই। প্রয়োজনে তিনজনে নেতৃত্ব দিবে।

আমি একটি কত স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই যারা প্রকৃত নেতাকর্মী তারা অবশ্যই মূল্যায়ন হবেন। যারা রাজপথে কাজ করেছেন তাদেরকে কমিটিতে যে মূল্যায়ন করবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ একটি কর্মী তার পরিবারকে ফেলে নিজের জীবন বাজি রেখে দীর্ঘ সাড়ে ১৫টি বছর ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে।

সুতরাং আপনাদের অবমূল্যায়ন করার কোন সুযোগ নাই। আমরা তার যোগ্যতা অনুযায়ী তাকে মূল্যায়ন করব। 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন,  যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম,ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, মোঃ আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, এরশাদ আলী, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন, জুনায়েদ আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড.

শাহিন খান, কাজী নাইসুল ইসলাম সাদ্দাম, আলী হোসেন সৌরভ, বাদশা মিয়া, মাসুদ রানা, মাকসুদুর রহমান শাকিল, রুবেল সরদার, রিয়াজুল আলম ইমন, জুনায়েদ মোল্লা জনি, হাবিবুর রহমান মাসুদ, আঃ কাদির, আশরাফুল হক তান্না, জাহিদুল হাসান শুভ, মাহফুজুর রহমান ফয়সাল প্রমুখ ।

এছাড়াও মহানগর যুবদলের আওতাধীন  বন্দর থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডের যুবদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: য বদল ন র য়ণগঞ জ র য বদল র ন ত কর ম ল ইসল ম র রহম ন আম দ র র জপথ দরক র

এছাড়াও পড়ুন:

লাশ পুতে রেখে জায়গাটি ঘুরে ঘুরে পাহারা দেয় ইয়াসিন

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার মিজমিজিতে স্ত্রী-সন্তানসহ তিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার ইয়াছিন। বুধবার পুলিশ চার দিনের রিমান্ডের পর তাকে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ শামসুর রহমানের আদালতে হাজির করে। এ সময় ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ইয়াছিন জবানবন্দী দিয়েছেন বলে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান জানিয়েছেন।

স্ত্রী লামিয়া আক্তার, চার বছরের সন্তান আব্দুল্লাহ লাবীব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারকে ইয়াছিন একাই হত্যা করেছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ শাহীনুর আলম এ তথ্য জানিয়ে বলেন, হত্যার পর লাশ বস্তায় ভরে বাড়ির পাশের রাস্তায় ইট-সুরকির নিচে চাপা দেন তিনি।

ইয়াসিনকে গ্রেপ্তারের পর আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলেও চার দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল বুধবার তাকে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠায় পুলিশ। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার বাড়ির কাছের একটি পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা বটি উদ্ধার করে পুলিশ। একই পুকুর থেকে রক্তমাখা জামা-কাপড় ভরা একটি ব্যাগও উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি মোহাম্মাদ শাহীনুর আলম বলেন, ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া, তাদের সন্তান আব্দুল্লাহ ও স্বপ্নার লাশ গত ১১ এপ্রিল উদ্ধার করা হয়। একই দিন গ্রেপ্তার করা হয় ইয়াছিনকে। তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলেও আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াছিন পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, তিনি একাই স্ত্রী সন্তানসহ তিনজনকে হত্যা করেছেন। মাদকের টাকার জন্য উচ্ছৃঙ্খলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে সৎ মায়ের মামলায় ইয়াছিনকে গত ২৭ রমজানের দিন গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ঈদুল ফিতরের দুদিন আগে ইয়াছিন জামিনে ছাড়া পান। পুলিশ জানিয়েছে, তার স্ত্রী লামিয়া, সন্তান আব্দুল্লাহ এবং স্বপ্না মিজমিজি পুকুরপাড় এলাকার আক্তার হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ইয়াছিন জামিনে আসার পর গত ৮ এপ্রিল বাসায় যান। এ সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এ সময় লামিয়ার বোন মানসিক রোগী স্বপ্না বটি নিয়ে তেড়ে আসেন।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, স্বপ্নার কাছ থেকে ইয়াছিন বটিটি কেড়ে নিয়ে স্ত্রী লামিয়ার গলায় কোপ দিলে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় স্বপ্না চিৎকার দিলে তাকেও কুপিয়ে গলা, হাত ও পা বিচ্ছিন্ন করেন। শিশু আব্দুল্লাহর গলায় থাকা তাবিজের সুতা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তাকে। এরপর লামিয়া ও স্বপ্নার মাথা ও হাত-পা একটি বস্তায় এবং দেহ দুটি আরেকটি বস্তায় ভরে কাথা কম্বলে পেঁচিয়ে নেয়। পরে আব্দুল্লাহরসহ তিন লাশ রাস্তার পাশে ইট-সুরকির নিচে চাপা দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, লামিয়া ও স্বপ্নার রক্তমাখা জামা-কাপড় একটি ব্যাগে ভরে সেটিসহ বটি বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দেন। এরপর অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় লামিয়ার বাসায় ছিলেন। ঘুরে ঘুরে লাশ চাপা দেওয়া স্থান পর্যবেক্ষণে রাখেন। গত ৮ এপ্রিল রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। 

ওসি বলেন, আদালত ইয়াছিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড দিলেও হত্যার দায় স্বীকার করায় চতুর্থ দিনেই তাকে আদালতে জবানবন্দি দিতে পাঠানো হয়েছে। তিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় লামিয়া ও স্বপ্নার বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে গত ১১ এপ্রিল হত্যা মামলা করেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা মামলায় লামিয়ার স্বামী ইয়াছিনকে প্রধান আসামি করা হয়। তার বাবা মো. দুলাল ও বোন শিমুকেও আসামি করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইঞ্জিনিয়ার ফিরোজ আহমেদ’র ১ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
  • লাশ পুতে রেখে জায়গাটি ঘুরে ঘুরে পাহারা দেয় ইয়াসিন: পুলিশ
  • লাশ পুতে রেখে জায়গাটি ঘুরে ঘুরে পাহারা দেয় ইয়াসিন
  • গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নেতা সেলিম মাহমুদকে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
  • ত্বকী হত্যা মামলা: আজমেরী ওসমানের গাড়িচালককে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন মঞ্জুর
  • রূপগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী পুত্রের পিএস ও একাধিক মামলার পলাতক আসামি হিরা গ্রেফতার
  • ফতুল্লায় গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
  • বিকল হওয়া ট্রাকে অপর ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২
  • গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের নেতাকে বাসা থেকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী
  • নারায়ণগঞ্জে বকেয়া বেতন ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ