জেমকন গ্রুপের মালিক ও যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, তাঁর দুই ভাই ও মা এবং মৃত বাবাসহ ১০ জনের নামে থাকা ১১৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ বুধবার এ আদেশ দেন।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, কাজী নাবিল আহমেদের ২১টি ব্যাংক হিসাব, তাঁর ভাই আনিস আহমেদের ২০টি, কাজী ইনাম আহমেদের ১০টি এবং তাঁদের মা আমিনা আহমেদের নামে থাকা ২৫টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য তুলে ধরে সেগুলো অবরুদ্ধ করার পৃথক আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করেন। এর বাইরে কাজী নাবিল আহমেদের মৃত বাবার নামে থাকা সাতটি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া কাজী নাবিল আহমেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট পাঁচজন মালিয়া মান্নান আহমেদ, কাজী সিরাজ আহমেদ, লতিফা মান্নান ইসলাম, রাইয়াদ জায়েদ মান্নান ও আবু মুসার নামে থাকা ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুনজেমকনের মালিক কাজী নাবিলসহ চারজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি কাজী নাবিল আহমেদ, তাঁর দুই ভাই ও তাঁদের মায়ের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। দুদকের পক্ষ থেকে সেদিন আদালতকে জানানো হয়েছিল, জেমকন গ্রুপের বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক জালিয়াতি ও অন্যান্য দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ব ল আহম দ আহম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে ৫ হাজার কারাবন্দিকে মুক্তি

নববর্ষ উপলক্ষে প্রায় ৪ হাজার ৮৯৩ বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার। বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নতুন বছর উপলক্ষে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লেইং ৪ হাজার ৮৯৩ বন্দিকে ক্ষমা করেছেন।

মুক্তি পাওয়া বন্দিদের মধ্যে কতজন রাজনৈতিক বন্দি, তা এখনও পরিষ্কার নয়। মিয়ানমারের স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা পলিটিক্যাল প্রিজনার্স নেটওয়ার্ক বলেছে, জান্তাপ্রধানের ঘোষণায় কমপক্ষে ২২ রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

দেশটির বিভিন্ন কারাগারে গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার ১৯৭ রাজনৈতিক বন্দিকে আটক রাখা হয়। এই বন্দিদের মাঝে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিও রয়েছেন। মুক্তি পাওয়া বন্দিরা আইন অমান্য করলে বাকি সাজা ভোগ করতে হবে। ইরাবতী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ