সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্য আমলে নিয়ে সার্বভৌমত্বের হুমকি মোকাবিলায় সর্বদলীয় বৈঠক করে করণীয় নির্ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটি এই আহ্বান জানায়।

বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, গতকাল মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সামগ্রিক বিবেচনায় গুরুত্বের দাবি রাখে। রাষ্ট্রের সেনাপ্রধান যখন বারবার সতর্কবাণী উচ্চারণ করে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ওপরে হুমকি আছে বলে বক্তব্য দেন, তখন তা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।

এ অবস্থায় ইসলামী আন্দোলন দ্রুত সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জরুরি বৈঠক করে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার কারণ এবং এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করা উচিত বলে মনে করছে। কেননা সেনাপ্রধানের বক্তব্যে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতার প্রশ্ন এসেছে। তাদের আচরণজনিত নানা বিষয় উঠে এসেছে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব যেমন সেনাবাহিনীর ওপরে বর্তায়, একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপরেও বর্তায়। ফলে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা মোকাবিলায় সবার সম্মিলিত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা দরকার।

সেনাপ্রধানের আশঙ্কা আমলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, পেশাগত ও পদ্ধতিগত কারণে সেনাপ্রধান যা জানেন, তা রাজনৈতিক দলগুলো জানার কথা নয়। কিন্তু স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হলে সর্বদলীয় বৈঠক করে করণীয় নির্ধারণ করার রীতি রাষ্ট্রব্যবস্থায় আছে। অতএব, সেনাপ্রধানের আশঙ্কা আমলে নিয়ে সেই আশঙ্কা দূর করতে অনতিবিলম্বে সর্বদলীয় বৈঠক করে করণীয় ঠিক করতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত ক আশঙ ক ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়ের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা: গ্রেপ্তার ১ 

রাজশাহী নগরীর তালাইমারি এলাকায় মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ জানানোয় বাবাকে মাথা থেতলে হত্যা করে বখাটেরা। এই ঘটনায় আসামিদের ধরতে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় নিহতের এলাকাবাসী। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক হোসেন নিশ্চিত করেছেন।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক হোসেন সমকালকে বলেন, মামলার আসামি রুমেলকে (২৫) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহীর তালাইমারি শহীদ মিনারের বাবর রোডের মাথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চলছে।

এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তালাইমারি শহিদ মিনার এলাকার কালু মিয়ার ছেলে নান্টু (২৮), মৃত রতনের ছেলে মো. বিশাল (২৮), মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে মো. খোকন মিয়া (২৮)। এছাড়া তালাইমারি বাবর আলী রোড এলাকার শাহীনের ছেলে তাসিন হোসেন (২৫), মো. অমি (২৫), জামালের ছেলে মো. নাহিদ (২৫), পিরুর ছেলে মো. শিশির (২০)।

নিহত আকরাম আলী (৫২) পেশায় একজন বাস চালক। তিনি রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারি শহীদ মিনার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার মেয়ে রাকিয়া ওরফে আলফি নগরীর অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী। আলফিকে নিয়মিতই উত্ত্যক্ত করে আসছিল নান্টু ও তার সহযোগীরা। সর্বশেষ গত বুধবার বিকেলে ভুক্তভোগী আলফি কোচিং করে বাসায় ফেরার পথে নান্টু তাকে উত্ত্যক্ত করে। ভুক্তভোগী বাসায় এসে এই বিষয়ে জানালে তার বাবা অভিযুক্ত নান্টুর বাসায় বিচার দেয়। পরে, নান্টু ও তার সহযোগীরা সেদিন রাতে রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারি শহীদ মিনার এলাকায় হাতে লোহার রড, বাঁশের লাঠি, কাঠের লাকড়ি, ইটের আধলা নিয়ে ভুক্তভোগীর বড় ভাই ইমান হাসানের ওপর আক্রমণ করে। এসময় নান্টুর হুকুমে অন্য আসামিরা তাকে এলাপাতাড়িভাবে মারপিট করতে থাকে। প্রাণে বাঁচার তাগিদে চিৎকার করলে বাবা আকরাম বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। তার বাবা এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত নান্টুর হুকুমে আসামিরা এলোপাতাড়ি লাথি, কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় ইটের আধলা দিয়ে হত্যার উদ্দেশে তার (আকরাম) মাথার পিছনে আঘাত করে। মাথায় গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত আকরাম আলীর ছেলে ইমাম হাসান অনন্ত বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার নগরীর বোয়ালিয়া থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আর চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। 

ইমাম হাসান অনন্ত সমকালকে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমার বাবার খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যারা গ্রেপ্তার হয়নি, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। এই খুনিরা সমাজের জন্য বিপদজনক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ