সেনাপ্রধানের বক্তব্য আমলে নিয়ে করণীয় নির্ধারণের আহ্বান ইসলামী আন্দোলনের
Published: 26th, February 2025 GMT
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্য আমলে নিয়ে সার্বভৌমত্বের হুমকি মোকাবিলায় সর্বদলীয় বৈঠক করে করণীয় নির্ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটি এই আহ্বান জানায়।
বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, গতকাল মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সামগ্রিক বিবেচনায় গুরুত্বের দাবি রাখে। রাষ্ট্রের সেনাপ্রধান যখন বারবার সতর্কবাণী উচ্চারণ করে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ওপরে হুমকি আছে বলে বক্তব্য দেন, তখন তা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
এ অবস্থায় ইসলামী আন্দোলন দ্রুত সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জরুরি বৈঠক করে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার কারণ এবং এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করা উচিত বলে মনে করছে। কেননা সেনাপ্রধানের বক্তব্যে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতার প্রশ্ন এসেছে। তাদের আচরণজনিত নানা বিষয় উঠে এসেছে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব যেমন সেনাবাহিনীর ওপরে বর্তায়, একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপরেও বর্তায়। ফলে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা মোকাবিলায় সবার সম্মিলিত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা দরকার।
সেনাপ্রধানের আশঙ্কা আমলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, পেশাগত ও পদ্ধতিগত কারণে সেনাপ্রধান যা জানেন, তা রাজনৈতিক দলগুলো জানার কথা নয়। কিন্তু স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হলে সর্বদলীয় বৈঠক করে করণীয় নির্ধারণ করার রীতি রাষ্ট্রব্যবস্থায় আছে। অতএব, সেনাপ্রধানের আশঙ্কা আমলে নিয়ে সেই আশঙ্কা দূর করতে অনতিবিলম্বে সর্বদলীয় বৈঠক করে করণীয় ঠিক করতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক আশঙ ক ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার ১০ হাজার ছাড়াল
যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ সারা দেশে আরও ৬৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে আজ বুধবার বিকেল পর্যন্ত এই অভিযানে ১০ হাজার ৫৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
আজ সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, অপারেশন ডেভিল হান্টের পাশাপাশি বিভিন্ন মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে আজ বিকেল) আরও ১ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি ৪ পয়েন্ট ৫ এমএম পিস্তল, একটি এলজি, একটি শুটারগান, একটি দেশীয় একনলা বন্দুক, একটি ম্যাগাজিন, ৭টি কার্তুজ ও রাইফেলের একটি গুলি।
৭ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার শিকার হন ১৫ থেকে ১৬ শিক্ষার্থী। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলছেন, শিক্ষার্থীরা ওই রাতে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ডাকাতির খবর পেয়ে তা প্রতিহত করতে গিয়েছিলেন। তখন তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় আহত একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।