কুমিল্লার তিতাসে দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন যুবদল নেতা। মঙ্গলবার রাতে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন জগতপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক তফাজ্জল হোসেন তবিল। একই দিন দুপুরে উজিরাকান্দি বাজারে বিএনপির আঞ্চলিক অফিসটি ভাঙচুর করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, জগতপুর ইউনিয়নের উজিরাকান্দি বাজারে ১৫-১৬ দিন আগে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আঞ্চলিক অফিস স্থাপন করা হয়। যা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার মারুফ হোসেনের উদ্বোধন করার কথা ছিল। প্রধান আসামি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মনিরুল হক তপন ভূঁইয়া জায়গাটি দখলে নিতে ঘর নির্মাণের সময় বাধা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় তপন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে মামলার অন্য আসামিরা অফিসটি ভেঙে ফেলেন এবং আসবাবপত্র নিয়ে যান। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মনিরুল হক তপন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার জায়গা দখল করে আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইয়াছিন ভূঁইয়া এখানে অফিস করেছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট আন্দোলনের সময় সেটি ভেঙে ফেলা হয়। এর পর ইয়াছিন ভূঁইয়ার নির্দেশে এখানে তবিল ঘর তুলেছেন, যার অডিও আমার কাছে আছে। আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে বিএনপির নেতা ঘর তুলবে সেটা তো বিএনপির অফিস হতে পারে না। আমি ১৬ বছর বিএনপির রাজনীতি করেছি। অফিস করলে আমরা করব।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইয়াছিন ভূঁইয়ার ভাষ্য, জায়গাটি তাঁর ক্রয় করা সম্পত্তি। কিছুদিন আগে তবিলের কাছে তা ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তবিল সেখানে দলীয় অফিস করেছেন। 

আরেকটি পক্ষ ভাড়া নিতে চেয়েছিল, তাদের বলা হয়েছে- তবিলকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে, তবিল সেখানে অফিস করবেন। অফিস ভাঙচুরের বিষয়টি বিএনপির দলীয় বিষয়, এ ব্যাপারে তাঁর কোনো মন্তব্য নেই।

তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ বলেন, অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

টেক্সাসে আবাসন প্রকল্প সম্প্রসারণ করতে গিয়ে হুমকির মুখে মুসলিমরা

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বসবাসকারী মুসলিমদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে সম্প্রতি ইমরান চৌধুরীর কাছে হুমকি দিয়ে ফোনকল আসার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

কারণটা কী

পূর্ব টেক্সাসের ইস্ট প্লানো এলাকার কাছে মুসলিমদের জন্য এক হাজার নতুন বাড়ি, একটি কমিউনিটি সেন্টার, স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ ও ইসলামিক বেসরকারি স্কুল নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন ইমরান চৌধুরী।

এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ফোনে ইমরানকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমি আপনাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। এটি এখন পর্যন্ত একটি বিকল্প পথ।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকা টেক্সাসের রক্ষণশীল, শ্বেতাঙ্গ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতারাও ইমরানের এ পরিকল্পনাকে সাদরে গ্রহণ করতে পারছেন না। তাঁরা প্রকল্পের বৈধতা নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন।

ইমরান চৌধুরী বলছেন, ভুলভাল বুঝিয়ে এ চাপ তৈরি করা হচ্ছে।

ইমরান আরও বলেন, ‘অঙ্গরাজ্য থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত যত আইন আছে, তার সব কটিই আমরা মেনে চলার চেষ্টা করছি।’

তবে চলতি সপ্তাহে ইমরান চৌধুরীর প্রকল্পটির সাংবিধানিক বৈধতা আছে কি না, তা নিয়ে তদন্তের জন্য সিনেটর জন করনিন আহ্বান জানিয়েছেন।

ইস্ট প্লানো ইসলামিক সেন্টার বা এপিক নামে পরিচিত বিদ্যমান একটি বসতি এলাকাকে সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়েই ওই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সিনেটর জন করনিন মনে করেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে টেক্সাসের ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন হতে পারে।

টেক্সাসের গভর্নর ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ গ্রেগ অ্যাবট এ প্রকল্পটিকে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘স্পষ্ট করে বলছি, টেক্সাসে শরিয়াহ আইন চালু হতে দেওয়া হবে না। শরিয়াহ শহর গড়তে দেওয়া হবে না। এ প্রকল্পের আওতায় যে “নো গো জোনস” গড়তে চাওয়া হচ্ছে, তা–ও গড়তে দেওয়া হবে না।’

যুক্তরাষ্ট্রে যেসব অঙ্গরাজ্যে শরিয়াহ আইনবিরোধী বিল কার্যকর করা হয়েছে, তার একটি টেক্সাস। বিদ্বেষবিরোধী সংগঠন সাউদার্ন পভার্টি ল সেন্টার শরিয়াহ আইনবিরোধী বিলকে অতি ডানপন্থী ষড়যন্ত্রগুলোর একটি বলে অভিহিত করেছে।

ষড়যন্ত্র তত্ত্বের আওতায় বিশ্বাস করা হয় যে শরিয়াহ নামে পরিচিত ইসলামি আইন আমেরিকান আইনি ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ করছে। তবে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন ও অন্য আইন বিশেষজ্ঞরা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

জমি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ