কিসের সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু, সবাই এ দেশের নাগরিক
Published: 26th, February 2025 GMT
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, কিসের সংখ্যালঘু আর কিসের সংখ্যাগুরু। এ দেশে যেই জন্ম নিয়েছে, সেই এ দেশের গর্বিত নাগরিক। আমরা নাগরিকদের ভাগ-বাটোয়ারা কোনো ধর্ম বা দলের ভিত্তিতে করার পক্ষে নই। পতিত স্বৈরাচার জাতিকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে মুখোমুখি করে রেখেছিল। যে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারে না, তারা মাথা সোজা করে বিশ্ব দরবারে সম্মানের সঙ্গে দাঁড়াতে পারে না। স্বাধীনতার ৫৪ বছর গেল, আর কতদিন আমাদের টুকরো টুকরো করা হবে। আমাদের স্পষ্ট ঘোষণা, আমরা কোনো মেজরিটি বা মাইনরিটি মানি না।
বুধবার পঞ্চগড় চিনিকল মাঠে দলের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। পঞ্চগড় জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ইকবাল হুসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পঞ্চগড় জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি, খেলাফত মজলিস পঞ্চগড়ের সভাপতি মীর মোর্শেদ তুহিন, বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট পার্টির সভাপতি মাসুদুর রহমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাপার সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাসহ স্থানীয় রতন চন্দ্র রায় নামে সনাতন ধর্মের একজন।
জামায়াত আমির বলেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি মানবিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা দেশে আর গডফাদার, গডমাদার, মাফিয়াতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ দেখতে চাই না।
ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, আমরা প্রতিবেশীকে অহেতুক কষ্ট দিতে চাই না। তবে প্রতিবেশীও যেন আমাদের ওপর এমন কিছু চাপিয়ে না দেয়, যা বাংলাদেশের মানুষের জন্য সম্মানজনক নয়।
পরে তিনি পঞ্চগড় সার্কিট হাউজে স্থানীয় জামায়াতের নারী সদস্য এবং বিশিষ্টজনের সঙ্গে পৃথক মতবিনিময় শেষে নীলফামারীর ডোমারের উদ্দেশে রওনা দেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যাকাউন্টে ১০,৬৯৮ টাকা, কেনা হয়নি বাড়ি-গাড়িও
ফেসবুকে বুধবার দিনভর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের শত শত কোটি টাকার ভুয়া তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নিজের ব্যাংক একাউন্টের স্টেটমেন্টের কাগজের ছবিসহ তথ্য তুলে ধরেন।
ফেসবুক পোস্টে নাহিদ বলেন, ‘উপদেষ্টা পদে যোগ দেওয়ার আগে আমার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না। ২১ আগস্ট উপদেষ্টা পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্মানি নিতে সরকারিভাবে সোনালী ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলি। ওই অ্যাকাউন্টে ২১ আগস্ট ২০২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লেনদেনের হিসাব জনগণের কাছে উপস্থাপন করছি। ১০ লাখ ৬ হাজার ৮৮৬ টাকা ওই অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে এবং ৯ লাখ ৯৬ হাজার ১৮৮ টাকা উত্তোলিত হয়েছে।
তার মানে বর্তমানে তার অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার ৬৯৮ টাকা জমা রয়েছে। আর সোনালী ব্যাংকের এই অ্যাকাউন্টটি ছাড়া অন্য কোনো অ্যাকাউন্ট নেই বলেও জানান সদ্য উপদেষ্টা পদ ছেড়ে আসা নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ বলেন, উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আমার বা আমার পরিবারের কোনো সদস্যের (স্ত্রী/মা/বাবা) নামে বাংলাদেশের কোথাও জমি বা ফ্ল্যাট নেই বা আমার বা আমার পরিবারের কেউ কেনেনি। আমার একান্ত সচিবের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের অ্যাকাউন্টে ৩৬ হাজার ২৮ টাকা রয়েছে। উনি একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর উনার নিজের নামে বা উনার পরিবারের (স্ত্রী/মা/বাবা) কারো নামে বাংলাদেশের কোথাও কোনো সম্পত্তি কেনা হয়নি। এছাড়া আমার ব্যক্তিগত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট যে কারো সম্পদের স্বচ্ছ হিসাব রয়েছে। প্রয়োজনে উন্মুক্ত করা হবে। তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী বাংলাদেশের যেকোনো সরকারি দপ্তরে উক্ত তথ্য যাচাইযোগ্য।