খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে কোর্টের বাইরে নেপাল, প্রীতি সিরিজে ‘অপ্রীতির’ সুর
Published: 26th, February 2025 GMT
প্রীতি সিরিজ হলেও ‘প্রীতি’ থাকবে কোর্টে, সেই আশা না করাই ভালো। প্রীতির মোড়কে আন্তর্জাতিক ম্যাচ বলে কথা। আর সেটাই মনে করিয়ে দিল বাংলাদেশ-নেপাল পাঁচ ম্যাচের প্রীতি কাবাডি সিরিজ।
পল্টন ময়দানে আজ সিরিজের চতুর্থ ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশি রেফারির একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে নেপাল দল খেলতে অস্বীকার করে বসে। বাংলাদেশ তখন ৩৮-১৯ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে নিশ্চিত জয়ের পথে। মিনিট দশেক পর সফরকারী দল কোর্টে ফিরলে ম্যাচ শুরু হয় বটে, কিন্তু কোনো প্রাণ ছিল না তাতে আর। বাকি সময়টা নিয়ম রক্ষার জন্য খেলেছে নেপাল। ৪৯-২৪ পয়েন্টে জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
আরও পড়ুনবিশ্ব জুনিয়র দাবায় মননের ড্র, তাহসিন পেলেন ওয়াকওভার৬ ঘণ্টা আগেচতুর্থ ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলছিল বাংলাদেশ। পয়েন্টও আসছিল সহজে। ২০ মিনিটের প্রথমার্ধে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল ৩১-১৮ পয়েন্টে। দ্বিতীয়ার্ধে এক পর্যায়ে বাংলাদেশ দলের রেইডার আল আমিনকে ধরে ফেলে নেপাল। তখন বাঁশি বাজে এবং দেখা যায় বাংলাদেশের রেইডার হাত ছোঁয়ান মাঝ রেখায়। নেপালের তিনজন আউট হয়ে যান। নেপালের কোর্টে অবশিষ্ট ছিলেন তখন মাত্র একজন, তিনি লাইন আউট হয়ে যান, পুরো দল অলআউট হওয়ায় বাংলাদেশ আরও ২ পয়েন্ট পায়।
বাংলাদেশি রেফারির একটি সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি নেপাল দল। ছবিটি ম্যাচের একটু মুহূর্তের.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক
চীনের অর্থায়নে এক হাজার শয্যার আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ। মঙ্গলবার তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার টেক্সটাইল মিলসংলগ্ন জায়গাটিকে ‘প্রথম পছন্দ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সাইদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর ডা. জুবায়ের আল মামুন ও জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্তের খবরের পর মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা নেমে এসেছে। উচ্ছ্বসিত এ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মিছিলও হয়েছে।
ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, উপদেষ্টা মহোদয় রংপুর বিভাগের আশপাশে ১০ থেকে ১২ একরের মধ্যে একটি জায়গা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখানে ২০ থেকে ২৫ একর জমি পাওয়া যাবে। ফলে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য এটি আরও উপযোগী হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসক এ জায়গাটির বিষয়ে প্রস্তাব দেন। সার্বিক দিক বিবেচনায় এটি উপযোগী স্থান। এই জায়গা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ দ্বিমত পোষণ করেননি।
ডা. হারুন অর রশিদ আরও বলেন, নিরাপত্তার দিক থেকে উত্তরবঙ্গের মানুষ অত্যন্ত সহনশীল ও শান্তিপ্রিয়। পাশেই সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং সড়ক পথে অন্যান্য জেলার সঙ্গে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা এই স্থানটিকে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য আরও উপযুক্ত করে তুলেছে।