রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ ছিনতাই, ডাকাতি ও চাঁদাবাজ চক্রের ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। 

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নগরের হোসনিগঞ্জ এলাকার ডাকাত দলের নেতা আব্দুল আউয়াল ওরফে ডাকু আউয়াল (৪৫), ধুতরাবন এলাকার মো.

সম্রাট (৩৮), আসাম কলোনির মো. শান্ত ইসলাম (২২), রানীনগর মোন্নাফের মোড়ের জিসান হোসেন (২৩), কাজলার মাইন হোসেন আলিফ (১৯), মেহেরচণ্ডী কড়াইতলার শাকিল খান (২৩), পাঠানপাড়ার নাইম ইসলাম (২৫), একই এলাকার শরিফুল ইসলাম ওরফে সনি (৩২), কাঁঠালবাড়িয়া এলাকার আকাশ হোসেন (২৩), চর মোক্তারপুরের সোহাগ আলী (২৮) ও কাঁঠালবাড়িয়া গোবিন্দপুরের জীবন ইসলাম (১৬)।

র‌্যাব জানায়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশনা মোতাবেক এ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে একটি ধারালো টিপ চাকু, চাঁদা আদায়ের রশিদ বই ও কিছু নগদ টাকা জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে র‌্যাব।

ঢাকা/কেয়া/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

ডিসেম্বরকে সামনে রেখেই নির্বাচনের সমস্ত প্রস্তুতি: ইসি আনোয়ার

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ‘ডিসেম্বরকে সামনে রেখেই নির্বাচনের সমস্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করছি এবং বিশ্বাস করি ডিসেম্বরে নির্বাচন করা সম্ভব হবে।’

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এই মন্তব্য করেন।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে ইতোমধ্যে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করেছি। এখন পুরোদমে রেজিস্ট্রেশন চলছে। কোথাও কোথাও দেখা গেছে যে, সারারাত এই কাজ করতে হচ্ছে। আমরা সাড়া পাচ্ছি। এই দেশের মানুষ ভোট দিতে আগ্রহী বলেই উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে ভোটার হওয়ার জন্য নতুন ভোটাররা কষ্ট করছেন।’

জাতীয় নির্বাচন বা স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনটি আগে হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আনোরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় নির্বাচন বলতে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, জেলা পরিষদ নির্বাচন এই সবগুলো নির্বাচন যদি আমরা শুরু করি, তাহলে প্রায় এক বছর সময় লাগবে। তাহলে আমাদের যে সময়ের ঘোষণা ডিসেম্বরের ভেতরে যদি করতে চাই। তাহলে এই টাইমলাইনের ভিতরে থাকা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করার মতো পরিবেশ আমরা ডিসেম্বরের মধ্যেই পাবো। আসন বিন্যাসের কাজটি কঠিন কাজ। ৪০০ এর মতো আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে। সে আবেদনগুলো নিস্পত্তি করতে হলে বর্তমান বিদ্যমান ডিলেমেশন আইন সংশোধন করতে হবে এবং সেই আইন সংশোধনের উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। আইন সংশোধন হলে পরে আমরা কাজটি করবো।’

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের সভাপতিত্বে এতে আরও অংশ নেন পুলিশ সুপার মোহম্মদ শামসুল আলম সরকার, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মৌসুমী মাহবুব, জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ। সভাতে জেলা ও উপজেলার পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ