পাকিস্তানের বাঁ-হাতি টপ অর্ডার ব্যাটার ফখর জামান ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা ভাবছেন। সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম এই খবর দিয়েছে। 

তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাড়াহুড়ো করে কোন সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য ফখরকে অনুরোধ করেছে। পিসিবি তাকে সময় নিয়ে ভাবার ও পুরোপুরি ফিট হয়ে ক্রিকেট শুরু করার পরামর্শ দিয়েছে। 

ফখর জামান কয়েক বছর ধরে ইনজুরিতে ভুগছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগেও ইনজুরিতে পড়েন তিনি। তার ফিটনেস নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে টুর্নামেন্টের আগে ফিট হয়ে পাকিস্তান দলে নাম তোলেন। ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেওয়া ওই ফখর প্রথম ম্যাচেই ইনজুরি নিয়ে দলের বাইরে চলে যান। 

ইনজুরির ওই হতাশায় তিনি ক্রিকেট ছাড়তে চান বলে খবর। সূত্র জানিয়েছে, ফখর মানসিকভাবে খুব হতাশ। ইনজুরি ও শারীরিক জটিলতায় তিনি ক্রিকেট ছাড়তে চান। 

সূত্র আরও বলেছে, ফখরের কিছু শারীরিক জটিলতা আছে। যে কারণে শারীরিক ও মানসিকভাবে তিনি খুব হতাশ সময় পার করছে। ২০২২ সাল থেকে হাঁটুর ইনজুরিতে ভুগছেন ফখর। যে কারণে তিনি শুধু টি-২০ ফরম্যাটে মনোযোগ দিতে চান। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইনজ র

এছাড়াও পড়ুন:

নিউ জিল্যান্ডের ঘোরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসরে ওয়াগনার

নিল ওয়াগনারই সবশেষ পেসার, যিনি ওভারের ৬টা বলের সবগুলো ব্যাটসম্যানের বুক তাক করে করতেন। নিউ জিল্যান্ডের এই অগ্রাসী পেসার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে গিয়েছিলেন ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতেই। শনিবার (২৯ মার্চ) প্লাঙ্কেট শিল্ডে শুরু হওয়া নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস ও ওটাগোর মধ্যকার ম্যাচটি এই বাঁহাতি পেসারের, নিজ দেশের ঘরোয়া আসরের শেষ ম্যাচ। যদিও এই ৩৯ বছর বয়সী পেসার ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন।

ওয়াগনার আজ থেকে শুরু হওয়া চার দিনের ম্যাচে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের হয়ে খেলছেন। প্লাঙ্কেট শিল্ডের চূড়ান্ত রাউন্ডে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস যদি ম্যাচ জিততে পারে, তাহলে এই মৌসুমের শিরোপাও জিতবে তারা। তাহলে ওয়াগনারের বিদায় হতে পারে গল্পের মতো। চূড়ান্ত রাউন্ডের আগে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস ৮৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে, তবে ওয়েলিংটন (৮২) এবং ক্যান্টারবুরি (৮০) এখনও শিরোপা জয়ের দৌড়ে রয়েছে।

ওয়াগনার তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, “১৭ বছর আগে আমি নিউ জিল্যান্ডে এসেছিলাম এবং এখানে আমার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম ওটাগোর বিপক্ষে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের হয়ে! কাল (আজ) এই যাত্রার সম্পূর্ণ পূর্ণচক্র হবে। নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের হয়ে আমার শেষ ম্যাচ খেলব ওটাগোর বিপক্ষে। এরপর আমি বিদেশে চলে যাব এবং কাউন্টি ক্রিকেট খেলব ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ নিব! আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে, আমি এই দুইটি দারুণ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি, যারা আমাকে ব্ল্যাকক্যাপ হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ স্তরে খেলার সুযোগ দিয়েছে! অনেক অসাধারণ স্মৃতি রয়েছে। আমার বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা এই বছরগুলিতে আমার সঙ্গে ছিল। আমার পরিবারকেও তাদের অসাধারণ ভালোবাসা এবং সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ দিব।”

আরো পড়ুন:

কিউদের বদলি অধিনায়ক ল্যাথামও চোটে

পাকিস্তানের বিপক্ষে না খেলে, আইপিএল খেলবেন স্যান্টনার-রাচিনরা

২০০৫-০৬ মৌসুম থেকে, ওয়াগনার নিউ জিল্যান্ডে ১৩৩টি ম্যাচ খেলেছেন। নিয়েছেন ৫৬০টি প্রথম শ্রেণির উইকেট। গড় ছিল ২৭.০৩। এই সময়কালে দেশের মধ্যে কোন বোলারই তার চেয়ে বেশি প্রথম শ্রেণির উইকেট নিযতে পারেননি।

প্লাঙ্কেট শিল্ডে, ওয়াগনারের ৩৬৫ উইকেট তাকে সর্বকালের সেরা উইকেট শিকারীর তালিকায় উপরের দিকেই রেখেছেন। তার চেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন কেবল স্টিফেন বক (৪৯২), ইউওয়েন চ্যাটফিল্ড (৩৭০) এবং ডেভিড ও’সালিভান (৩৬৮)।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিউ জিল্যান্ডের ঘোরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসরে ওয়াগনার