পাকিস্তানের বাঁ-হাতি টপ অর্ডার ব্যাটার ফখর জামান ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা ভাবছেন। সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম এই খবর দিয়েছে। 

তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাড়াহুড়ো করে কোন সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য ফখরকে অনুরোধ করেছে। পিসিবি তাকে সময় নিয়ে ভাবার ও পুরোপুরি ফিট হয়ে ক্রিকেট শুরু করার পরামর্শ দিয়েছে। 

ফখর জামান কয়েক বছর ধরে ইনজুরিতে ভুগছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগেও ইনজুরিতে পড়েন তিনি। তার ফিটনেস নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে টুর্নামেন্টের আগে ফিট হয়ে পাকিস্তান দলে নাম তোলেন। ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেওয়া ওই ফখর প্রথম ম্যাচেই ইনজুরি নিয়ে দলের বাইরে চলে যান। 

ইনজুরির ওই হতাশায় তিনি ক্রিকেট ছাড়তে চান বলে খবর। সূত্র জানিয়েছে, ফখর মানসিকভাবে খুব হতাশ। ইনজুরি ও শারীরিক জটিলতায় তিনি ক্রিকেট ছাড়তে চান। 

সূত্র আরও বলেছে, ফখরের কিছু শারীরিক জটিলতা আছে। যে কারণে শারীরিক ও মানসিকভাবে তিনি খুব হতাশ সময় পার করছে। ২০২২ সাল থেকে হাঁটুর ইনজুরিতে ভুগছেন ফখর। যে কারণে তিনি শুধু টি-২০ ফরম্যাটে মনোযোগ দিতে চান। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইনজ র

এছাড়াও পড়ুন:

অভিনয়কে বিদায় জানালেন সোহেল রানা,করবেন না সক্রিয় রাজনীতি

চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেতা ও প্রযোজক সোহেল রানা। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।  চলচ্চিত্রের পাশাপাশি রাজনীতির মাঠেও পাওয়া গেছে তাকে। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনয়কে বিদায় বলে দিলেন এই বরেণ্য চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব। জানালেন রাজনৈতিক কর্মকান্ডেও আর দেখা যাবে না তাকে। 

এ প্রসঙ্গে সোহেল রানা বলেন ‘১৯৭৩ সালে অভিনেতা হিসেবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। সেই হিসাবে প্রায় ৫২ বছর হয়ে গেছে। চলতে চলতে তো একসময় শেষ হতেই হয়। অভিনয়টা এখনো বুকের মধ্যে লালন করলেও প্রফেশনাল অভিনয়ে আর দেখা যাবে না আমাকে। অ্যাকটিভ রাজনীতি ও প্রফেশনাল অভিনয় থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন করে আর পর্দায় দেখা যাবে না। শরীরটাও আর সাপোর্ট করছে না। 
তবে এখনো একটা সিনেমা পরিচালনা করার ইচ্ছা আছে তাঁর। মূলত বয়সের কারণেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোহেল রানা। অভিনয় থেকে অবসরের সবচেয়ে বড় কারণ বয়স। এখন তার বয়স ৭৯ বছর। 

অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানানোর সময় দেশের চলচ্চিত্রজগৎ নিয়ে নিজের আক্ষেপের কথা জানিয়ে সোহেল রানা বলেন, ‘চলচ্চিত্রজগৎ তো এখন শেষ। এখন দু-চারজন যারা করছে, তাদের সঙ্গে আমাদের প্রজন্মের মিলছে না। যেভাবে আমাদের ব্যবহার করার কথা, তেমন উপযুক্ততা তাদের নেই। বিদেশি সিনেমায় দেখি, আমাদের বয়সের শিল্পীরা দিব্যি কাজ করছেন। তাদের জন্য আলাদাভাবে চরিত্র ও গল্প লেখা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে সে রকম কিছু হচ্ছে না। আমাদের এখানে শিল্পীদের বয়স হয়ে গেলে শুধু বাবা-মা, চাচাদের ক্যারেক্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পারফর্ম করার সুযোগ থাকলে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু তা না হলে তো অভিনয়ের কোনো মানে হয় না। আমি সেই জায়গায় থেকেই চলে যেতে চাই। মানুষ আমাকে ভালোবাসে, সম্মান করে। মানুষের এই ভালোবাসা নিয়ে আমি সরে যেতে চাচ্ছি।’

বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’-এর প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্রজগতে প্রবেশ করেন মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। সিনেমাটি ১৯৭২ সালে মুক্তি পায়। সোহেল রানার অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ এর দুই বছর পর ১৯৭৪ সালে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত চরিত্র মাসুদ রানা হিসেবে। 
‘মাসুদ রানা’  সিনেমাটা পরিচালনাও করেছিলেন তিনি। এরপর হয়ে ওঠেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক। তাকে সর্বশেষ দেখা গেছে তানভীর হোসেনের ‘মধ্যবিত্ত’ সিনেমায়। যদিও এক দশক ধরে সিনেমায় অনেকটা অনিয়মিত তিনি। 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাবার চেক বুঝে নিতে এফডিসিতে হৃদয়
  • এবার ইনজুরিতে কতদিনের জন্য ছিটকে গেলেন নেইমার? 
  • শরীরের যেমন সীমা আছে, তেমনি মনেরও ক্লান্তি আছে: সোহেল রানা
  • শরীরের যেমন সীমা আছে, তেমনি মনেরও ক্লান্তি আছে
  • অভিনয়কে বিদায় সোহেল রানার, করবেন না সক্রিয় রাজনীতি
  • অভিনয়কে বিদায় জানালেন সোহেল রানা,করবেন না সক্রিয় রাজনীতি