মা ও স্ত্রীসহ সাঈদ খোকনের ৯০ কোটি টাকার বিনিয়োগ অবরুদ্ধের নির্দেশ
Published: 26th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন, তার স্ত্রী ফারহানা সাঈদ ও মা শাহানা হানিফের নামে থাকা তিনটি পারপিচ্যুয়াল বন্ড হিসাবের লেনদেন অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব পারপিচ্যুয়াল বন্ডে মোট ৯০ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো.
একইসঙ্গে সাঈদ খোকনের নামে থাকা গুলশানে একটি ১৪ তলা বাড়ি ও বনানীতে থাকা দুটি বাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া সাঈদ খোকনের মা শাহানা হানিফের নামে বারিধারায় থাকা জমি ও বাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
দুদকের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান এ আবেদন করেন। পরে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট শাহানা হানিফ, মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ও জাবেদ আহমেদ, ফাতেমা খাতুনের নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবগুলোতে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ অন্যান্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। মোহাম্মদ সাঈদ খোকন তার পদের অপব্যবহার করে ও রাজনৈতিক পরিচয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
অনুসন্ধানের এ পর্যায়ে অভিযোগসংশ্লিষ্ট সাঈদ খোকন, ফারহানা সাঈদ ও শাহানা হানিফের নামে সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেডে পরিচালিত তিনটি হিসাবের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক পিএলসির পাপিচ্যুয়াল বন্ডে মোট ৯০ কোটি টাকার বিনিয়োগ জরুরি ভিত্তিতে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
এর আগে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সাঈদ খোকন ও তার পরিবারের ৭৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: অবর দ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষার্থীকে পুলিশে দিল রাবি প্রশাসন
হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি-সংক্রান্ত ফেসবুক পোস্ট নিজের টাইমলাইনে শেয়ারের অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী সাগর হোসেনকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তাঁকে মতিহার থানা পুলিশে দেন। পরে সাগরের সিটও বাতিল করে হল প্রশাসন।
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী সাগর মাদার বখশ হলের আবাসিক ছাত্র। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘আমি শুধু ভিডিও দেখে শেয়ার দিয়েছি। ক্যাপশনের লেখা খেয়াল করিনি। বুঝলে কখনও এমন পোস্ট শেয়ার করতাম না। বুঝতে পেরেই পোস্টটি আমি ডিলিট করেছি।’
জানা যায়, আসাদ নূর নামে ব্লগার তাঁর ফেসবুকে রাসূল (সা.)-কে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট দেন। সাগর নিজের টাইমলাইনে সেটি শেয়ার করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে হলের শিক্ষার্থীরা সাগরকে জেরা করেন। এ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহ হোসাইন আহমাদ মেহদীকে জানানো হয়। তিনি এসে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সাগরের সিট বাতিলের ঘোষণা দেন। পরে প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা এসে সাগরকে পুলিশে দেন।
প্রাধ্যক্ষ জানান, বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হওয়ার আগেই প্রক্টরিয়াল টিমের সহযোগিতায় তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। তাৎক্ষণিকভাবে সাগরের সিট বাতিল করা হয়।
প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মব এড়াতে অভিযুক্তকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। তদন্তে পুলিশ তাঁর সম্পৃক্ততা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। ভুলে এমন করে থাকলে শিক্ষার্থীর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’
মতিহার থানার ডিউটি অফিসার আব্বাস আলী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মঙ্গলবার রাতে এক শিক্ষার্থীকে থানায় হস্তান্তর করে। মামলা হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন তারা।