২৪ ঘণ্টার মধ্যে মিলবে পাকিস্তানের ভিসা: হাইকমিশনার
Published: 26th, February 2025 GMT
বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিসা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিন্তানের হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। এক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসা, ট্যুরিস্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা কোনো রকম ফি ছাড়াই পাওয়া যাবে।
বুধবার দুপুরে রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালনা পর্ষদ ও আমদানি-রপ্তানিকারকদের মধ্যে দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
পাকিস্তানের হাই কমিশনার বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার কুটনৈতিক সম্পর্ক ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। এই সম্পর্ক আরও দৃঢ হোক এটাই প্রত্যাশা।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে অনেক পণ্যের চাহিদা রয়েছে। কোন কোন পণ্যের চাহিদা রয়েছে, সে বিষয়টি যাচাইয়ের মাধ্যমে স্পষ্ট করতে হবে।
এ সময় রংপুর অঞ্চলের উৎপাদিত কৃষিপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো শুল্ক সুবিধা থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে পাকিস্তান সরকারকে এ বিষয়টি জানাবে বলে জানান হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।
চেম্বার মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আকবর আলীর সভাপতিত্বে চেম্বার নেতা এবং আমদানি-রপ্তানিকারক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বক্তব্য রাখেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শিল্পকলায় অনুষ্ঠিত হলো ‘সাধুমেলা’
মানবিকতা ও ঐক্যের শাশ্বত বার্তা সমাজের প্রতিটি হৃদয়ে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাধুমেলা “মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি”।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। সাধুমেলায় শুরুতে সমবেত কণ্ঠে লালনের ‘ভক্তিমূলক গান’ পরিবেশিত হয়। লালনসংগীত পরিবেশন করেন ফকির শামসুল সাঁই, ‘তিন পাগলে হলো মেলা’ পরিবেশন করেন মেহেরুন নেসা পূর্ণিমা। উপস্থাপনা করেন শেখ জামাল উদ্দিন টুনটুন। শ্রীকৃষ্ণ গোপাল পরিবেশন করেন ‘লীলার যার নাইরে সীমা’ এবং ‘দেখো দেখো মনো রায় হয়েছে’। গান পরিবেশন করেন দিপা মণ্ডল। ওমর আলী পরিবেশন করেন ‘আচলা ঝোলা তিলক মালা’। লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোঃ মিরাজ সিকদার ‘আমি ওই চরণে দাসের যোগ্য নই’, আকলিমা ফকিরানী এবং লাভলী শেখ ‘রসো প্রেমে ঘাট ভাড়িয়ে তরী বেওনা’।
পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন মোঃ সমির হোসেন, ফারজানা আফরিন ইভা পরিবেশন করেন ‘আমায় রাখিলেন সেই কূপজল করে’ এবং লালনের গান ‘মন তোর এমন জনম আর কী হবে রে’ পরিবেশন করেন মোঃ মুক্তার হোসেন। এরপর লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোসাঃ লিনা খাতুন ‘কোথায় সে অটল রূপে বারাম দেয়’, মনিরুল ইসলাম এবং আবু শাহীন খান ‘চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি’। সবশেষে সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় লালনের গান।