শুটিং শেষ করে নিশো বললেন, মুখের ঝগড়ার সমাপ্তি
Published: 26th, February 2025 GMT
‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার দুই বছর পর অভিনেত্রী তমা মির্জাকে নিয়ে ফের বড় পর্দায় ফিরছেন অভিনেতা আফরান নিশো। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে তার আসন্ন সিনেমা ‘দাগি’র শুটিং। প্রায় ২ মাস ৫ দিন পর ক্যামেরা ক্লোজ হলো সিনেমাটির। এখন বাকি পোস্ট প্রডাক্টশনের কাজ। আসন্ন ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
মঙ্গলবার রাতে ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন পরিচালক শিহাব শাহীন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ইটস র্যাপ আপ’। হ্যাশট্যাগে লিখেছেন ‘দাগি’।
ভিডিওতে দেখা যায়, শুটিং শেষ হওয়ার খুশিতে নির্মাতাসহ বাকী কলাকুশলীরা দারুণ উচ্ছ্বসিত। সবাই একসঙ্গে হাত উঁচু করে, ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে সমস্বরে বলে ওঠেন, ‘র্যাপ আপ’! ভিডিওতে খানিকটা মজার ছলে আফরান নিশো বলেন, ‘সকল মুখের ঝগড়ার সমাপ্তি। এখন থেকে হাতাহাতি হবে!’
এর আগে গেল বছরের ডিসেম্বরে সৈয়দপুরে ‘দাগি’ সিনেমার শুটিং শুরু হয়। এর পর পঞ্চগড়, রাজশাহী, বরিশাল, মানিকগঞ্জ, ঢাকায় সিনেমাটির শুটিং হয়।
‘দাগি’ যৌথভাবে প্রযোজনা করছে এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট ও চরকি। সিনেমাটিতে আফরান নিশো ছাড়া আরো অভিনয় করেছেন তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, মনোজ প্রামাণিক, শহিদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আফর ন ন শ
এছাড়াও পড়ুন:
কাঁদতে কাঁদতে গাজার বাসিন্দা বললেন, ‘আমরা তো সব হারিয়েছি, ঈদটা কষ্টের’
ফিলিস্তিনের গাজায় রোববার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে এ দিন ছিল না উৎসবের আমেজ। ঈদের দিনও সেখানে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মুসলিমদের কাছে খুশির এ দিনটিতেও গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি।
দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে চলা হামলায় গাজায় আর কোনো মসজিদ অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। রোববার তাই উপত্যকাটির বাসিন্দাদের ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মসজিদের বাইরে। আগের দিনে গাজার যেসব শিশু নতুন পোশাক পরে আনন্দ করত, তারা এখন ক্ষুধায়-আতঙ্কে কাতর। ঈদ উপলক্ষে নেই তেমন রান্নার আয়োজন।
ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগে গাজার ফিলিস্তিনিরা ঈদের সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্যাপন করতেন। তবে এখনকার চিত্র ভিন্ন। বহু গাজাবাসী তাঁদের পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। রোববার অনেককে দেখা যায় প্রিয়জনের কবরের পাশে। অনেকে হাজির হন হাসপাতালের মর্গে—শেষবারের মতো কাছের মানুষের মরদেহটি দেখতে।
ইসরায়েলের হামলায় গাজার বাসিন্দা আদেল আল-শায়ের তাঁর পরিবারের ২০ সদস্যকে হারিয়েছেন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ঈদের নামাজ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, ‘এই ঈদটা কষ্টের। আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোকে হারিয়েছি। আমাদের সন্তান, আমাদের জীবন, আমাদের ভবিষ্যৎ—সবকিছু... আমরা তো সব হারিয়েছি।’
ঈদের দিন স্বজনের কবরের পাশে গাজা নগরীর এক নারী