লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে একই বাড়ির চার শিশু, নারীসহ ১২ জনকে অচেতন করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অচেতনদের মধ্যে ৯ জনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল ও ৩ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

ভুক্তভোগীদের মধ্যে ১১ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন– মো.

শাহজাহান মৃধা (৭০), নুর ভানু (৬৫), পান্না আক্তার (২৭), আকলিমা বেগম (২০), আরমান হোসেন (১০), ইমরান হোসেন (৪), নুসরাত (৪), মরিয়ম (৪), পলি আক্তার (১৬), পিংকি বেগম (২৫) ও মো. নিশান (২৮)। 

ভুক্তভোগীদের প্রতিবেশী ও স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের (সিএইচসিপি) হেলথকেয়ার প্রোভাইডার মো. কামরুল হাসান জানান, এক প্রতিবেশীর বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে ওই বাড়ির লোকজন সেখানে যাতায়াত করছিলেন। বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে যাওয়ার কারণে বাড়িতে যখন কেউ ছিল না তখন দুর্বৃত্তরা তাদের রান্না করা খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে রাখে। পরে ওই খাবার খেয়ে বাড়ির তিনটি পরিবারের ১২ জন সদস্য অচেতন হয়ে পড়েন। পরিবারের অপর সদস্যরা রাতে বাড়ি ফিরে কারও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে সবাইকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সবাইকে হাসপাতালে নেন তারা। তবে ওই বাড়ির একজন ব্যক্তি রাতের খাবার খুবই কম খেয়েছেন। সে কারণে পরিবারের অন্যদের মতো তিনি গুরুতর অসুস্থ হননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় আবুবকর ছিদ্দিক, নুরুন্নবী, সালেহা বেগমসহ কয়েকজন। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী পলি আক্তারের ভাষ্য, মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিদিনের মতো রাতের রান্না শেষ করে পরিবারের সবাই মিলে প্রতিবেশীর এক বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান উপভোগ করতে যান। এরপর বাড়িতে ফিরে এসে রান্না করা হাঁসের মাংস দিয়ে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় দুই শিশু বমি করলেও বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা অনুমান করতে পারেননি। পরে জ্ঞান ফিরে দেখেন তিনি হাসপাতালে।

কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সোহেল রানা জানান, অচেতন অবস্থায় নিয়ে আসা শিশুসহ ৯ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অসুস্থদের খাবারের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার বিষয় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব র র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক, নারী ও শিশুসহ অচেতন ১২

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে একই বাড়ির চার শিশু, নারীসহ ১২ জনকে অচেতন করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অচেতনদের মধ্যে ৯ জনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল ও ৩ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

ভুক্তভোগীদের মধ্যে ১১ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন– মো. শাহজাহান মৃধা (৭০), নুর ভানু (৬৫), পান্না আক্তার (২৭), আকলিমা বেগম (২০), আরমান হোসেন (১০), ইমরান হোসেন (৪), নুসরাত (৪), মরিয়ম (৪), পলি আক্তার (১৬), পিংকি বেগম (২৫) ও মো. নিশান (২৮)। 

ভুক্তভোগীদের প্রতিবেশী ও স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের (সিএইচসিপি) হেলথকেয়ার প্রোভাইডার মো. কামরুল হাসান জানান, এক প্রতিবেশীর বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে ওই বাড়ির লোকজন সেখানে যাতায়াত করছিলেন। বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে যাওয়ার কারণে বাড়িতে যখন কেউ ছিল না তখন দুর্বৃত্তরা তাদের রান্না করা খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে রাখে। পরে ওই খাবার খেয়ে বাড়ির তিনটি পরিবারের ১২ জন সদস্য অচেতন হয়ে পড়েন। পরিবারের অপর সদস্যরা রাতে বাড়ি ফিরে কারও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে সবাইকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সবাইকে হাসপাতালে নেন তারা। তবে ওই বাড়ির একজন ব্যক্তি রাতের খাবার খুবই কম খেয়েছেন। সে কারণে পরিবারের অন্যদের মতো তিনি গুরুতর অসুস্থ হননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় আবুবকর ছিদ্দিক, নুরুন্নবী, সালেহা বেগমসহ কয়েকজন। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী পলি আক্তারের ভাষ্য, মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিদিনের মতো রাতের রান্না শেষ করে পরিবারের সবাই মিলে প্রতিবেশীর এক বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান উপভোগ করতে যান। এরপর বাড়িতে ফিরে এসে রান্না করা হাঁসের মাংস দিয়ে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় দুই শিশু বমি করলেও বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা অনুমান করতে পারেননি। পরে জ্ঞান ফিরে দেখেন তিনি হাসপাতালে।

কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সোহেল রানা জানান, অচেতন অবস্থায় নিয়ে আসা শিশুসহ ৯ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অসুস্থদের খাবারের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার বিষয় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ