বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে জি সিরিজ থেকে প্রকাশিত হয়েছে সংগীতশিল্পী সঞ্চিতা রাখির গাওয়া রবীন্দ্রসংগীত ‘ভালোবাসি, ভালোবাসি’গানটি। সঞ্চিতার গাওয়া ভালোবাসা নিয়ে রবীন্দ্রনাথের জনপ্রিয় এই গানটির সংগীতায়োজন করেছেন পার্থ পাল। আর চিত্রগ্রহণ, সম্পাদনা ও দৃশ্যায়ন ভাবনায় ছিলেন ধ্রুব জ্যোতি। শব্দগ্রহণে ছিলেন গৌতম বসু।

গানটি নিয়ে সংগীতশিল্পী সঞ্চিতা রাখি জানান, এই গানটির চিত্রায়ন করা হয়েছে থাইল্যান্ডে। ভালোবাসা দিবস ও বসন্তের আবহকে কেন্দ্র করে এ দেশের তরুণ–তরুণীদের মধ্যে ভালোবাসার যে আকুলতা তৈরি হয় সেটিকে মাথায় রেখেই গানটি জি সিরিজ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।  আশা করি গানটি সবার ভালো লাগবে। 

গান নিয়ে দীর্ঘ দিনের যাত্রা সঞ্চিতা রাখির।  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাস্ত্রীয় সংগীতের উপর পড়াশোনা তার। প্রথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী হিসেবে এরই মধ্যে সঞ্চিতা রাখি সরকারি–বেসরকারি রেডিও–টেলিভিশন ও মঞ্চে নিয়মিত বিভিন্ন সংগীত আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি  নিজের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুকে নিয়মিতভাবে গান প্রকাশ করছেন। 

রাখি বলেন, রবীন্দ্রসংগীতেযে শিক্ষা পেয়েছি গানের মাধ্যমে তার রেশ ছড়িয়ে দিতে  চাই। রবীন্দ্রসংগীতকে কেন্দ্র করে আগামীতে আরও সমৃদ্ধ হতে চাই। 
     
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শিল্পকলায় অনুষ্ঠিত হলো ‘সাধুমেলা’

মানবিকতা ও ঐক্যের শাশ্বত বার্তা সমাজের প্রতিটি হৃদয়ে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাধুমেলা “মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি”।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। সাধুমেলায় শুরুতে সমবেত কণ্ঠে লালনের ‘ভক্তিমূলক গান’ পরিবেশিত হয়। লালনসংগীত পরিবেশন করেন ফকির শামসুল সাঁই, ‘তিন পাগলে হলো মেলা’ পরিবেশন করেন মেহেরুন নেসা পূর্ণিমা। উপস্থাপনা করেন শেখ জামাল উদ্দিন টুনটুন। শ্রীকৃষ্ণ গোপাল পরিবেশন করেন ‘লীলার যার নাইরে সীমা’ এবং ‘দেখো দেখো মনো রায় হয়েছে’। গান পরিবেশন করেন দিপা মণ্ডল। ওমর আলী পরিবেশন করেন ‘আচলা ঝোলা তিলক মালা’। লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোঃ মিরাজ সিকদার ‘আমি ওই চরণে দাসের যোগ্য নই’, আকলিমা ফকিরানী এবং লাভলী শেখ ‘রসো প্রেমে ঘাট ভাড়িয়ে তরী বেওনা’।

পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন মোঃ সমির হোসেন, ফারজানা আফরিন ইভা পরিবেশন করেন ‘আমায় রাখিলেন সেই কূপজল করে’ এবং লালনের গান ‘মন তোর এমন জনম আর কী হবে রে’ পরিবেশন করেন মোঃ মুক্তার হোসেন। এরপর লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোসাঃ লিনা খাতুন ‘কোথায় সে অটল রূপে বারাম দেয়’, মনিরুল ইসলাম এবং আবু শাহীন খান ‘চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি’। সবশেষে সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় লালনের গান।   
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ