তিন ম্যাচ হারার পর বড় জয় পেল চেলসি
Published: 26th, February 2025 GMT
সবধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা তিন ম্যাচ হেরেছিল চেলসি। তবে মঙ্গলবার রাতে সেই পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বের হয়েছে লন্ডনের ক্লাবটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সাউদাম্পটনকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে চেলসি। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে পয়েন্ট তালিকায় সাত নম্বর থেকে এক লাফে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে এনজো মারেসকার শিষ্যরা।
ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখাতে থাকে চেলসি। ম্যাচের ২৪ মিনিটে এনকুকুর কল্যাণে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৩৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পেদ্রো নেটো। ঠিক তার ৮ মিনিট পর এই পর্তুগিজ উইঙ্গারের ফ্রি-কিক থেকে লেভি কলউইল হেডে গোল করে চেলসিকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন। বিরতির পর ৭৮ মিনিটে সাউদাম্পটনের জালে শেষ পেরাকটি ঠুকেন স্প্যানিশ লেফটব্যাক কুকুরেলা।
লিগে ২৭ ম্যাচ শেষে টেবিলের চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে চেলসি। ব্লুজদের সংগ্রহ ৪৬ পয়েন্ট। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ৬৪। অন্যদিকে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আর্সেনাল।
আরো পড়ুন:
ড্রয়ের পর আমোরিম ইউনাইটেডকে ‘দুর্বল’ বললেন
৪৫ বছর পর ইউনাইটেডের হ্যাটট্রিক হার
৯ ফেব্রুয়ারি এফএ কাপের ম্যাচে ব্র্যাইটনের বিপক্ষের ২-১ ব্যবধানে হেরে চেলসির হারের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এরপর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে উড়ে যায় ব্লুজরা। সবশেষ ২২ ফেব্রুয়ারি অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ২-১ গোলে পরাজিত হয় তারা। টানা হারে বেশ বিপর্যস্ত ছিল দলটি। অবশেষে সাউদাম্পটনকে হারিয়ে পুনরায় কক্ষপথে ফিরল চেলসি।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদ ঘিরে কাপড়ের ব্যবসায় মন্দাভাব
আশানুরূপ বেচাকেনা হয়নি নবীগঞ্জের কাপড়ের বাজারে। ঈদ ঘিরে ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা। বিশেষ করে থান কাপড় ব্যবসায় মন্দাভাব। মাত্র দিন দু’এক পরেই ঈদ। তাতে নবীগঞ্জের বিভিন্ন বিপণিবিতানে পোশাক ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বাড়লেও বেচাকেনা সেভাবে হচ্ছে না।
ব্যবসায়ীরা জানান, রোজার আগে থেকে প্রস্তুতি ছিল থান কাপড় ও থ্রিপিস ব্যবসায়ীদের। এবারের ঈদে থান কাপড়ের দোকানগুলোর বেশির ভাগই ক্রেতাশূন্য। ফলে ক্রেতার অপেক্ষায় অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে কাপড়ের দোকানগুলোতে নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কাপড় দেখে, দরদাম করলেও দামে মিলছে না অধিকাংশের। এতে আশানুরূপ কেনাবেচা হচ্ছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
নবীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, এ বছর ঈদকে সামনে রেখে অন্যবারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি কাপড় দোকানে তুলেছেন তারা। বিশেষ করে থান কাপড়ের ব্যবসায়ীরা রমজানের আগেই বেশি করে কাপড় কিনেছেন। কারণ, অন্যান্য কাপড়ের তুলনায় থান কাপড় আগে বিক্রি হয়। কিন্তু এবার বাজারে ক্রেতা কম। ১ রমজান থেকে ২০ রমজান এই সময়টায় বেশি কাপড় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও ২৭ রমজান চলে গেলেও এবার প্রত্যাশিত বিক্রি হচ্ছে না। সন্তোষজনক কেনাবেচা না হওয়ায় হতাশ কাপড় ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতারা জানান, ঈদের বাজারে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির চাপ এখনও বিদ্যমান। সাধারণ মানুষ অর্থসংকটে রয়েছেন। এ ছাড়া থান কাপড় কিনে পোশাক তৈরিতে সময় ও সেলাই খরচ বেশি হয়।
পশ্চিমবাজার এলাকার একটি শপিংমলের কর্মচারী আলাউর রহমান বলেন, সব জিনিসের দাম বেড়েছে। ক্রেতার বাজেট তো আর বাড়েনি। এ কারণে কেনাবেচা কম হচ্ছে। বাড়তি দাম দিয়ে থান কাপড় কিনতে হয়। গত রমজান থেকে এবার দেশি কাপড়ে গজপ্রতি প্রায় ১০ টাকা ও বিদেশি কাপড়ে ৪০ টাকা বেড়েছে। সব খরচ মিলিয়ে ব্যবসায়ীদের পোশাকের দাম বাড়াতে হচ্ছে।
শহরের মধ্যে থান কাপড়সহ অন্য কাপড়ের ছোট ও মাঝারি দুটি দোকান আছে কাওসার আহমদের। তিনি জানান, প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্রেতা পাচ্ছেন না। সব মিলিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় আছেন। এভাবে চললে চাপের মুখে রয়ে যাবেন।
নবীগঞ্জ বাজার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক হাফেজ শোয়েব আহমদ চৌধুরী জানান, বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন কেনাবেচা আশানুরূপ হচ্ছে না। তারা আশাবাদী, শেষ পর্যন্ত কেনাবেচা ভালো হবে।