আলহামদুলিল্লাহ সর্বোত্তম দোয়া
Published: 26th, February 2025 GMT
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে চারটি বাক্য প্রিয়, সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার।’ (মুসলিম)
‘আলহামদুলিল্লাহ’ শব্দের অর্থ ‘সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য।’ যেকোনো উত্তম, আনন্দময় ও শুভ খবরে ভালো কিছুর জন্য এটি বলা হয়ে থাকে। পছন্দনীয় কিছু দেখলে বা শুনলে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলতে হয়।
‘আলহামদুলিল্লাহ’ শব্দের মধ্যে আছে ‘হামদ’ শব্দটি। আমরা আল্লাহর গূণকীর্তি করে হামদ গাই। ‘হামদ’ অর্থ ‘প্রশংসা’। ভালো কোনো খবর শুনলে আলহামদুলিল্লাহ বলা সুন্নত। কোরআন পড়া শুরুই করতে হয় ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে। এ ছাড়া কোরআনের অন্যান্য প্রায় সব সুরাই যে এই বাক্য দিয়ে শুরু করতে হয়, তা থেকেই এর তাৎপর্যের প্রমাণ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঅকালমৃত ও গর্ভপাত হয়ে যাওয়া শিশুরা হবে নাজাতের উপায়০৮ আগস্ট ২০২৩হাদিসে আছে, ‘আল্লাহর মাহাত্ম্য বর্ণনা ও প্রশংসার জন্য আলহামদুলিল্লাহর চেয়ে উত্তম বাক্য আর নেই।’ (তিরমিজি) আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ সবচেয়ে বেশি নিজের প্রশংসা পছন্দ করেন, এ জন্য তিনি নিজের প্রশংসা করেছেন এবং আমাদেরও তাঁর প্রশংসার নির্দেশ দিয়েছেন।’ (বুখারি) হাদিসে আলহামদুলিল্লাহকে সবচেয়ে উত্তম দোয়া বলা হয়েছে। মহানবী (সা.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আল ল হ
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েটে গ্রাফিতিতে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতিতে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে ‘শোকের গ্রাফিতি এক দফার ডাক’ শিরোনামে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসজুড়ে নানা ধরনের গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন করা হয়। গ্রাফিতিতে ‘বাহ ভিসি চমৎকার সন্ত্রাসীদের পাহারাদার’, ‘এখানে সমস্ত ক্ষমতাধর নিজেরে ভাবিছে ঈশ্বর’, ‘এক দফা এক দাবি ভিসি মাসুদের পদত্যাগ’, ‘ভিসি গদি ছাড়’—এসব স্লোগান লিখতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী গালিব রাহাত বলেন, ‘‘আমাদের ভেতর যে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে, সেটা এভাবে সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই। আমাদের অভিভাবক প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে বলতে চাই, আমরা ভালো নেই; কুয়েটের ছাত্ররা ভাল নেই। এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা পিছু সরব না।’’
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে বহিরাগত ও ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কুয়েট ভিসি, প্রো ভিসি, ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসের একাডেমিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কুয়েট কর্তৃপক্ষ।
গত ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা জোর করে ক্যাম্পাসের প্রবেশে করে হল খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ১৫ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ ছাত্রকে বহিষ্কার এবং আগামী ২ মে হল খুলে দেওয়া ও ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত দেয় সিন্ডিকেট সভা। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে গত ১৬ এপ্রিল ছয়টি আবাসিক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ছাত্ররা।
অপরদিকে, শিক্ষার্থীদের উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/রাজীব