কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে রকিবুল ইসলাম (২৪) নামের এক পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের কাতলামারী এলাকার বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

রকিবুল ইসলাম ওই গ্রামের সামসুল ইসলামের ছেলে। তিনি কনস্টেবল পদে ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিলেন।

রকিবুলের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রকিবুল ঝিনাইদহে কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। চলতি মাসের ৭ তারিখ তাঁর ছুটির মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু এরপরও তিনি বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে স্বাভাবিকভাবেই ঘরের বাইরে বের হন। এর কিছুক্ষণ পর আবার নিজ কক্ষে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দরজা আটকে দেন। অনেকক্ষণ কক্ষ আটকানো দেখে পরিবারের সদস্যেরা ডাকাডাকি শুরু করেন। পরে কৌশলে দেখতে পান, ঘরের ভেতর বাঁশের আড়ার সঙ্গে তাঁর ওড়নায় প্যাঁচানো লাশ ঝুলছে।

রকিবুলের স্বজনেরা জানান, তিনি বিবাহিত। তবে ঘটনার সময় তাঁর স্ত্রী বাবার বাড়িতে ছিলেন। সেই সঙ্গে বাড়ির বাইরে কাজে ব্যস্ত ছিলেন মা।

জানতে চাইলে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুর রহমান বলেন, রকিবুলের বাবা ঋণগ্রস্ত ছিলেন। এ নিয়ে রকিবুল বেশ কয়েক দিন ধরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। পাওনাদারের টাকার জন্য রকিবুলকে চাপ দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে মিরপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশিকে উদ্ধার

লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে দেশটির মিসরাতা সিকিউরিটি ডিরেক্টরেটের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

মিসরাতা শহরে অভিযান চালিয়ে এই বাংলাদেশিদের উদ্ধার করা হয়। আজ বুধবার লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।

ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, এই ঘটনায় জড়িত দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে মিসরাতা সিকিউরিটি ডিরেক্টরেটের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, বেশ কয়েকজন বিদেশিকে অপহরণ ও মুক্তিপণের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে মিসরাতার আল-গিরান থানায় করা অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডি তদন্ত শুরু করে। তদন্তের মাধ্যমে অপহরণকারী চক্রের অবস্থান চিহ্নিত করে সিআইডি। এরপর সিআইডি সফল অভিযান চালিয়ে জিম্মিদের (অপহৃতদের) মুক্ত করে। পরবর্তী সময়ে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আল-গিরান থানায় হস্তান্তর করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদেরও একই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি

সম্পর্কিত নিবন্ধ