ঘরে বাঁশের আড়ায় ওড়নায় ঝুলছিল পুলিশ সদস্যের মরদেহ
Published: 26th, February 2025 GMT
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে রকিবুল ইসলাম (২৪) নামের এক পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের কাতলামারী এলাকার বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
রকিবুল ইসলাম ওই গ্রামের সামসুল ইসলামের ছেলে। তিনি কনস্টেবল পদে ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিলেন।
রকিবুলের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রকিবুল ঝিনাইদহে কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। চলতি মাসের ৭ তারিখ তাঁর ছুটির মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু এরপরও তিনি বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে স্বাভাবিকভাবেই ঘরের বাইরে বের হন। এর কিছুক্ষণ পর আবার নিজ কক্ষে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দরজা আটকে দেন। অনেকক্ষণ কক্ষ আটকানো দেখে পরিবারের সদস্যেরা ডাকাডাকি শুরু করেন। পরে কৌশলে দেখতে পান, ঘরের ভেতর বাঁশের আড়ার সঙ্গে তাঁর ওড়নায় প্যাঁচানো লাশ ঝুলছে।
রকিবুলের স্বজনেরা জানান, তিনি বিবাহিত। তবে ঘটনার সময় তাঁর স্ত্রী বাবার বাড়িতে ছিলেন। সেই সঙ্গে বাড়ির বাইরে কাজে ব্যস্ত ছিলেন মা।
জানতে চাইলে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুর রহমান বলেন, রকিবুলের বাবা ঋণগ্রস্ত ছিলেন। এ নিয়ে রকিবুল বেশ কয়েক দিন ধরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। পাওনাদারের টাকার জন্য রকিবুলকে চাপ দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে মিরপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তের পেট্রোল বোমা হামলায় দগ্ধ নারীর মৃত্যু
চট্টগ্রাম নগরের আতুরার ডিপো এলাকায় পেট্রোল বোমা হামলায় দগ্ধ লায়লা বেগমের (৫০) মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে রাউজান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বসতঘরে তার মৃত্যু হয়।
ঢাকা থেকে তাকে রাউজান নিয়ে আসার পর ওইদিন সন্ধ্যায় অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়। পরে রাতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানান লায়লা বেগমের স্বামী আব্বাস উদ্দিন।
রোববার (২০ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আতুরার ডিপো এলাকায় সিএনজি অটোরিকশায় পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় দুই যাত্রী লায়লা বেগম (৫০) ও তাঁর পুত্রবধূ ঝর্ণা বেগম (৩০) দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে লায়লা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
অটোরিকশার যাত্রীরা কুতুবদিয়া মালেক শাহ’র দরবারে যাচ্ছিলেন। আতুরার ডিপো এলাকায় এলে কয়েকজন লোক অতর্কিত পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে।