এসিসিএর আয়োজনে বিপিও গ্লোবাল ট্যালেন্ট ট্রেন্ডস এবং থট লিডারশিপ সিম্পোজিয়াম
Published: 26th, February 2025 GMT
অ্যাসোসিয়েশন অব চার্টার্ড সার্টিফায়েড অ্যাকাউন্ট্যান্টস (এসিসিএ) বাংলাদেশ গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আয়োজন করেছে ‘ACCA Symposium–A Thought Leadership Session on BPO, GTT & Sustainability।’ দিনব্যাপী সিম্পোজিয়ামে প্রায় ২০০ সিনিয়র কর্মকর্তা, এসিসিএ সদস্য, শিল্পনেতা, নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। তাঁরা হিসাব ও অর্থায়নে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও), গ্লোবাল ট্যালেন্ট ট্রেন্ডস (জিটিটি) এবং টেকসই উন্নয়ন রিপোর্টিংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন, যা পেশার বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সিম্পোজিয়ামে বিভিন্ন বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা, মূল বক্তব্য উপস্থাপনা ও প্যানেল সেশন অনুষ্ঠিত হয়, যা অংশগ্রহণকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ও নতুন সুযোগ সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্য দেন এফসিসিএ প্রমা তপশী খান, কান্ট্রি ম্যানেজার, এসিসিএ বাংলাদেশ। তিনি এসিসিএর থট লিডারশিপ ও শিল্পের মূল অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন।
সিম্পোজিয়ামের তৃতীয় ও শেষ সেশনে করপোরেট স্বচ্ছতা ও টেকসই উন্নয়নের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান অর্থবিষয়ক কর্মকর্তা (সিএফও) এ জি এম সাত্তিক আহমেদ শাহ সেশনের সূচনা বক্তব্য দেন।
মূল বক্তব্য উপস্থাপন ও প্যানেল আলোচনায় নেতৃত্ব দেন মীর সাজেদ-উল-বাশার, প্রধান নির্বাহী, সাজেদ মির চার্টাড অ্যাকাউন্ট্যান্টস। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন লোপা রহমান, (ইএসজি অফিসার, আইএফসি সাউথ এশিয়া), মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এস স এ
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়াকাটায় জলকেলিতে মাতলেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা
পবিত্র জলে গাঁ ভিজিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন রাখাইন মার্কেটে তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন রাখাইন জনগোষ্ঠী।
আরো পড়ুন:
বৈশাখে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস
রঙে-আলোয় উজ্জ্বল বর্ষবরণ
বর্ষবরণের জলকেলি উৎসব উপলক্ষে নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা। পরে তারা মাঠের মধ্যে রাখা একটি নৌকার পানি একে অপরের শরীরে ছিটিয়ে জলকেলিতে মেতে ওঠেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা অং চো বলেন, “কক্সবাজার থেকে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য এসেছি। নাচ, গান আর জলকেলি উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি। দিনটি আমাদের দারুন কেটেছে। প্রতিবছর এ অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
কেরানিপাড়ার রাখাইন তরুণী ম্যাসুয়েন বলেন, “বর্ষবরণ উপলক্ষে দিনভর নানা আয়োজন ছিল। এখানে সব অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। বিশেষ করে জলকেলির সঙ্গে নাচ আর গান দারুনভাবে উপভোগ করেছি। এমন আয়োজন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।”
কলাপাড়ার ইউএনও রবিউল ইসলাম বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে ও রাখাইনদের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে। রাখাইনদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।”
পটুয়াখালী রাখাইন বুড্ডিস ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমং তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সরকারি মোজাহার উদ্দিন অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফাতেমা হেরেন, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম ও কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান।
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ