সঞ্চিতা রাখির কণ্ঠে প্রকাশ পেল ভালোবাসার গান
Published: 26th, February 2025 GMT
বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে জি সিরিজ থেকে প্রকাশিত হয়েছে সংগীতশিল্পী সঞ্চিতা রাখির গাওয়া রবীন্দ্রসংগীত ‘ভালোবাসি, ভালোবাসি’গানটি। সঞ্চিতার গাওয়া ভালোবাসা নিয়ে রবীন্দ্রনাথের জনপ্রিয় এই গানটির সংগীতায়োজন করেছেন পার্থ পাল। আর চিত্রগ্রহণ, সম্পাদনা ও দৃশ্যায়ন ভাবনায় ছিলেন ধ্রুব জ্যোতি। শব্দগ্রহণে ছিলেন গৌতম বসু।
গানটি নিয়ে সংগীতশিল্পী সঞ্চিতা রাখি জানান, এই গানটির চিত্রায়ন করা হয়েছে থাইল্যান্ডে। ভালোবাসা দিবস ও বসন্তের আবহকে কেন্দ্র করে এ দেশের তরুণ–তরুণীদের মধ্যে ভালোবাসার যে আকুলতা তৈরি হয় সেটিকে মাথায় রেখেই গানটি জি সিরিজ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। আশা করি গানটি সবার ভালো লাগবে।
গান নিয়ে দীর্ঘ দিনের যাত্রা সঞ্চিতা রাখির। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাস্ত্রীয় সংগীতের উপর পড়াশোনা তার। প্রথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী হিসেবে এরই মধ্যে সঞ্চিতা রাখি সরকারি–বেসরকারি রেডিও–টেলিভিশন ও মঞ্চে নিয়মিত বিভিন্ন সংগীত আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি নিজের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুকে নিয়মিতভাবে গান প্রকাশ করছেন।
রাখি বলেন, রবীন্দ্রসংগীতেযে শিক্ষা পেয়েছি গানের মাধ্যমে তার রেশ ছড়িয়ে দিতে চাই। রবীন্দ্রসংগীতকে কেন্দ্র করে আগামীতে আরও সমৃদ্ধ হতে চাই।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
১০ টাকার ঈদবাজারে ৪০০ পরিবারের মুখে হাসি
কিশোরগঞ্জে মাত্র ১০ টাকায় বাজারে মিলছে এক লিটার সোয়াবিন তেল, এক কেজি পোলাও চাল, এক কেজি চিনি, এক কেজি পিঁয়াজ, এক কেজি আলু, এক হালি ডিম কিংবা ভালো মানের সেমাই।
ঈদকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় ব্যতিক্রমী এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
উপজেলা সদরের আনন্দ বাজারে টেবিলের ওপর থরে থরে সাজানো নানা সামগ্রী। এসব কেনার জন্য বিকেল থেকে ক্রেতাদের লম্বা লাইন। হাতের টোকেন দেখিয়ে আনন্দ বাজার থেকে ১০ টাকায় প্রতিটি পণ্য কিনে নিচ্ছে ক্রেতারা। ৭০ টাকায় ব্যাগভর্তি বাজার নিয়ে বাড়িতে ফিরছেন।
আরো পড়ুন:
খোলা ট্রাক-পিকআপে ছুটছে ঘরমুখো মানুষ
রাজশাহীতে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায়
সবার মাঝে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে দরিদ্র মানুষের জন্য নামমাত্র দামে এমন বাজারের আয়োজন করে ‘করিমগঞ্জ মানবিক সংগঠন’। তারা প্রতিটি আইটেম ১০ টাকা করে ৭০ টাকায় কিনতে পারছেন পোলাও চাল, চিনি, সেমাই, তেল, পেঁয়াজ, আলুসহ ৭টি পণ্য। যা বাজার থেকে কিনতে গুনতে হতো অন্তত ৬০০ টাকা। আর হাতের কাছে এমন সুযোগ পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ।
ঈদ বাজারে আসা ষাটোর্ধ্ব রমজান মিয়া জানান, এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগে ঈদবাজার তারা আর কখনো দেখেননি। ঈদের আগে ৬০০ টাকার পণ্য নামমাত্র মূল্যে কিনতে পেরে তারা অনেক খুশি।
১০ টাকার ঈদবাজারের আয়োজক ইয়াসিন আরাফাত জানান, পকেটের খরচ বাঁচিয়ে এবং বন্ধু-বান্ধবসহ স্বচ্ছল ব্যক্তিদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে গত ৭ বছর ধরে ঈদের সময় এমন মানবিক বাজার বসাচ্ছেন তারা। এলাকার দরিদ্র মানুষ চিহ্নিত করে আগে বাড়িতে গিয়ে তাদের হাতে টোকেন তুলে দেন সংগঠনের কর্মীরা। ওই টোকেন নিয়ে মানবিক বাজার থেকে নামমাত্র দামে ঈদসামগ্রী কেনার সুযোগ পান দরিদ্র মানুষ।
এবার ১০ টাকায় ঈদবাজার কেনার সুযোগ পান ৪০০ মানুষ। আগামী ঈদে এক হাজার মানুষ এমন সুযোগ পাবেন বলে জানান আয়োজকরা।
ঢাকা/রুমন/বকুল