ডিমের মূল্যবৃদ্ধির ষড়যন্ত্রে পিপলস পোলট্রির জরিমানা
Published: 26th, February 2025 GMT
ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ ও মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির অভিযোগে পিপলস পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেডকে ৭২ লাখ ২ হাজার ৯৭৩ টাকা আর্থিক জরিমানা করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কয়েকটি সমধর্মী কোম্পানি ও ডিম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ভোক্তাবান্ধব প্রতিযোগিতা বাধাগ্রস্ত করার প্রমাণ মিলেছে বলে কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিবেদন এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে প্রতিযোগিতা কমিশন অনুসন্ধান শুরু করে। তদন্তে প্রমাণিত হয়, পিপলস পোলট্রি কাজী ফার্মস গ্রুপ, সিপি বাংলাদেশ, ডায়মন্ড এগ লিমিটেডসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও আড়তদার সমবায় সমিতির সঙ্গে যোগসাজশ করে ডিমের সরবরাহ সীমিত ও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। এ সময় বাজারে ডিমের পাইকারি মূল্য প্রতি পিস ১১ দশমিক ৬০ থেকে ১১ দশমিক ৮০ টাকা থাকলেও পিপলস পোল্ট্রি ১২ টাকায় ডিম বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের বাধ্য করে।
পিপলস পোলট্রি কীভাবে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণ করত, তার বিবরণ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি ডিমের গাড়ি পাঠানোর পর ব্যবসায়ীদের কাছে বার্তা দিয়ে বাজারদরের চেয়ে ৩০-৪০ পয়সা বেশি দাম নির্ধারণ করত। বাণিজ্যিক ডিমের সঙ্গে হ্যাচিং ডিম মিশিয়ে বিক্রি করতে বাধ্য করা হতো ব্যবসায়ীদের। এমনকি তাঁরা সেটা করতে না চাইলে গাড়ি আটকে রাখা হতো বা ডিম ফেরত নেওয়া হলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি হতো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২-এর ধারা ১৫ লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। গত তিন বছরের গড় টার্নওভারের ভিত্তিতে ৭২ লাখের বেশি টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ না করলে প্রতিদিন এক লাখ টাকা অতিরিক্ত জরিমানা গুনতে হবে। তবে রিভিউ বা আপিলের সুযোগ আছে প্রতিষ্ঠানটির।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস য় দ র প পলস প ল
এছাড়াও পড়ুন:
ফেরি বন্ধের ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ সন্দ্বীপবাসীর, বন্ধ করা হবে না আশ্বাস উপদেষ্টার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া-সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া রুটে চালু হওয়া ফেরি সার্ভিস বন্ধের ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন সন্দ্বীপের বাসিন্দারা। তারা বলেন, একটি সিন্ডিকেট আবহাওয়ার দোহাই দিয়ে ফেরি সার্ভিস বন্ধের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় সাময়িক বন্ধ রাখা হলেও অন্যান্য সময়ে ফেরি চালু রাখার দাবি জানান তারা। এছাড়া সিট্রাক দিতে মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ তা অমান্য করে ফেরি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা সন্দ্বীপবাসী মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
এদিকে সন্দ্বীপের বাসিন্দা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছেন, ‘নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফের সঙ্গে কথা হয়েছে। ফেরি তুলে নেওয়ার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ফেরি তুলে নেওয়ার আগেই বিকল্প সিট্রাক দেওয়া হবে। পন্টুনও কোথাও সরানো হচ্ছে না।’
গত ২৪ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো সীতাকুণ্ড-সন্দ্বীপ সমুদ্র পথে ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছয়জন উপদেষ্টা ও দুইজন বিশেষ সহকারী উপস্থিত ছিলেন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রাখে প্রধান উপদেষ্টাও। এতে উচ্ছ্বসিত হন যাতায়াতে দীর্ঘদিন চরম দুর্ভোগের শিকার হয়ে আসা সন্দ্বীপের বাসিন্দারা। গত ২০ এপ্রিল এই রুটে ফেরি সার্ভিস সাময়িক বন্ধের একটি আদেশ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার থেকে ফেরি চলাচল বন্ধের কথা জানান বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, সামুদ্রিক এই রুটে ফেরিটি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তাই বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসির এমন সিদ্ধান্তের খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স›দ্বীপের বাসিন্দারা। এরপর থেকে ফেরি সার্ভিস চালু রাখা, এই রুটে চলাচলরত কপোতাক্ষ ফেরি ও পন্টুন সরিয়ে না নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি নেতা ও সন্দ্বীপের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘যদি ফেরি বন্ধ করে, আমাদের লাশের উপর দিয়ে বন্ধ করতে হবে। আমরা ফেরি এখান থেকে যেতে দেবো না। ফেরি এখানে থাকবে। প্রতিকূল পরিবেশে বন্ধ রাখা হলেও অনুকূল পরিবেশে যেন ফেরি চলাচল চালু থাকে।’
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘আগে লাল বোটের মাধ্যমে যাতায়াতে অনেক লোক হতাহত হয়েছেন। আমরা চাই নিরাপদ যাত্রীবাহন ফেরি যেন চালু থাকে। একটি সিন্ডিকেট আমাদের ফেরি বন্ধের চক্রান্ত চালাচ্ছে। যেটা আমরা কখনও হতে দেবো না। আমরা চাই চক্রান্ত মুক্ত করে যাতায়াতের সুব্যবস্থা যেন অব্যাহত থাকে।’