টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শিক্ষাসফরের চারটি বাস আটকে ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সোয়াইতপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

এ ঘটনায় জড়িত ডাকাতদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আজ বুধবার সকালে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাঁদের এখনো গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে গতকাল ভোররাতে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থেকে নাটোরে শিক্ষাসফরে যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কের লক্ষণের বাধা এলাকায় চারটি বাস ডাকাতদের কবলে পড়ে। ভোররাত সোয়া চারটার দিকে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ডাকাত দল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মুঠোফোন, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করার পর পুলিশ এলে ডাকাতেরা পালিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, নাটোরে শিক্ষাসফর শেষে গতকাল রাতে ঘাটাইল থানায় এসে মামলা করেন সোয়াইতপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। ডাকাতেরা ১০টি মুঠোফোন ও ভুক্তভোগী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা লুট করেছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। মামলা দায়েরের সময় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো.

মিজানুর রহমান থানায় উপস্থিত ছিলেন।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঘাটাইল থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও বিভিন্ন তথ্যদাতার (সোর্স) মাধ্যমে আসামি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ঘাটাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল খান মামলাটির তদন্ত করছেন। এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ডাকাতির সময় কোনো শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেনি। কারণ, চারটি বাসের মধ্যে মেয়েদের বাসে ডাকাতেরা ওঠার সুযোগ পায়নি। তার আগেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ায় ডাকাত দল পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘাটাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল খান জানান, ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আজ সকালে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখনো তাঁদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড ক ত র ঘটন য় শ ক ষ সফর তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহে ভারতীয় এনআইডি-বিদেশি পিস্তলসহ নারী গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে নাদিরা আক্তার হ্যাপি (৫০) নামে নারীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। 

এসময় তার কাছ থেকে ভারতীয় এনআইডি কার্ড, বিদেশি পিস্তল, খেলনা পিস্তল, রামদা, চাপাতি, হাসুয়া, ছুরি, চায়না চাপাতি, চাকু, হ্যামার, শিশা টানা পাইপ, বড় ত্রিশূল, ছোট ত্রিশূল, হুক্কা, কল্কি, ৫টি সৌদি রিয়াল ও ২ হাজার ৮০০ ভারতীয় রুপি জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার নাদিরা আক্তার হ্যাপি পৌর শহরের শিলাসী এলাকার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা হৃদয়ের বাসার ভাড়াটিয়া। তৃতীয় স্বামী আবু হোসেনের সাথে ওই বাসায় বসবাস করেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪ টায় পৌর শহরের শিলাসী এলাকার নিষিদ্ধ ষোষিত ছাত্রলীগ নেতা হৃদয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী।

গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিব্বিরুল ইসলাম ওই নারীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, যৌথ বাহিনী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, পৌর শহরের শিলাসী এলাকার নিষিদ্ধ ষোষিত ছাত্রলীগ নেতা হৃদয়ের বাসায় অস্ত্রসহ এক নারী বসবাস করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে নাদিরা আক্তার হ্যাপিকে গ্রেপ্তার করে। ওই নারী অবৈধ অস্ত্রধারী, মাদক ব্যবসায়ী, ইয়াবা সেবনকারী হিসেবে পরিচিত। গ্রেপ্তারের পর যৌথ বাহিনী ওই নারীকে গফরগাঁও থানায় হস্তান্তর করে।

ওসি মো. শিব্বিরুল ইসলাম বলেন, “ওই নারীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়েরের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/মিলন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ময়মনসিংহে ভারতীয় এনআইডি-বিদেশি পিস্তলসহ নারী গ্রেপ্তার
  • ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হল থেকে ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
  • পিকআপ ভ্যানে করে বারে নেওয়া হচ্ছিল বিদেশি মদ, ধাওয়া দিয়ে ধরল র‍্যাব
  • ক্লাস বর্জন করে দ্বিতীয় দিনের মতো মমেক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
  • রাতে গিয়েছিলেন ওয়াজ মাহফিলে, সকালে পুকুরে হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
  • বারো হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ বোন গ্রেপ্তার
  • ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হল থেকে ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার