সিলেটে ছাগল কিনতে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ব্যবসায়ী। আজ বুধবার দুপুরে সিলেটের মোগলগাঁও ইউনিয়নের ফতেহপুর পীরেরগাঁও গ্রামের একটি ঝোপে পাওয়া গেছে তাঁর মরদেহ।

মারা যাওয়া ব্যবসায়ীর নাম সমর আলী (৬৫)। তিনি সিলেটের মোগলগাঁও ইউনিয়নের লালখা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ছাগল কেনাবেচা করতেন। নিহত সমর আলীর শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

নিহত সমর আলীর পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় সমর আলী বাড়ি থেকে ছাগল কেনার কথা বলে সঙ্গে ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে বের হয়েছিলেন। তবে কোন এলাকায় যাচ্ছেন, সেটি বলে যাননি। তিনি সঙ্গে মুঠোফোনও নিয়ে যাননি। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

পুলিশ আরও জানায়, পীরেরগাঁও গ্রামের মসজিদে গতকাল সন্ধ্যায় তিনি নামাজ পড়েছিলেন। সে সময় স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর দেখাও হয়েছিল। সে সময় তিনি ছাগল কেনার কথাও বলেছিলেন। আজ বেলা একটার দিকে স্থানীয় লোকজন ঝোপের মধ্যে লতাপাতা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।

সিলেটের জালালাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত কুমার দে প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যবসায়ীর পিঠে ছুরিকাঘাতের একটি চিহ্ন পাওয়া গেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে ছাগল বিক্রির কথা বলে তাঁকে ডেকে নিয়ে খুন করা হয়েছে। পরে মরদেহ গুম করার জন্য লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। পরিবারের দাবি অনুযায়ী তাঁর সঙ্গে থাকা টাকা পাওয়া যায়নি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস য় মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশিকে উদ্ধার

লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে দেশটির মিসরাতা সিকিউরিটি ডিরেক্টরেটের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

মিসরাতা শহরে অভিযান চালিয়ে এই বাংলাদেশিদের উদ্ধার করা হয়। আজ বুধবার লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।

ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, এই ঘটনায় জড়িত দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে মিসরাতা সিকিউরিটি ডিরেক্টরেটের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, বেশ কয়েকজন বিদেশিকে অপহরণ ও মুক্তিপণের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে মিসরাতার আল-গিরান থানায় করা অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডি তদন্ত শুরু করে। তদন্তের মাধ্যমে অপহরণকারী চক্রের অবস্থান চিহ্নিত করে সিআইডি। এরপর সিআইডি সফল অভিযান চালিয়ে জিম্মিদের (অপহৃতদের) মুক্ত করে। পরবর্তী সময়ে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আল-গিরান থানায় হস্তান্তর করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদেরও একই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি

সম্পর্কিত নিবন্ধ