অপসারণের আলটিমেটামের মধ্যেই এফডিসির এমডিকে ফুল দিয়ে বরণ
Published: 26th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে সদ্য নিয়োগ পেয়েছেন মাসুমা রহমান তানি। এরপর তার অপসারণ চেয়ে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন বৈষম্যহীন চলচ্চিত্র স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির উপদেষ্টা চিত্রনায়ক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল। এরই মধ্যে তানিকে ফুল দিয়ে বরণ করলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কলাকুশলীরা।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কলাকুশলীদের একটি পক্ষ নতুন এমডিকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। এদিন, এফডিসির প্রশাসনিক ভবনে মাসুমা রহমান তানির অফিসে গিয়ে ফুল দিয়ে বরণ করেন তারা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির ২০২৩-২৪ মেয়াদের মহাসচিবের দায়িত্বে থাকা শাহীন সুমন, নির্মাতা কবিরুল ইসলাম রানা, সাইফ চন্দনসহ একাধিক পরিচালক।
বিষয়টি নিয়ে শাহিন সুমন গণমাধ্যমকে বলেন, “আমি একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা। পরিচালকদের প্রাণের সংগঠনের ২০২৩-২৪ মেয়াদের পরিচালকের ভোটে নির্বাচিত হয়ে মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছি। তাই দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে এফডিসির নতুন এমডিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নিয়েছি। এর পেছনে ভিন্ন কোনো কারণ নেই। সরকার যাকে ভালো মনে করে দায়িত্ব দেবেন আমরা তাকেই ফুল দিয়ে ওয়েলকাম করব। আমরা মূলত এফডিসিতে কাজের পরিবেশ চাই। আমরা তো সিনেমা নির্মাণ করি। প্রত্যাশা থাকবে যে-ই দায়িত্ব নিক, এফডিসিতে যেন কাজের পরিবেশ বজায় থাকে। সিনেমার শুটিংয়ের যাবতীয় সুযোগসুবিধা বাড়ানো হয়।”
আরো পড়ুন:
আমার বাবা-মা কি ভিখারি, প্রশ্ন ভারতের স্ত্রী জয়শ্রীর
নায়িকার মামলায় আজিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান তানি বলেন, “আমি এ দায়িত্বে একেবারেই নতুন। এখনো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ নিয়ে একের পর এক মিটিং করছি। এখানে কী কী প্রক্রিয়ায় কাজ হয়, একজন এমডির দায়িত্ব কী, তা বোঝার চেষ্টা করছি। আশা করছি, দ্রুত সবকিছু আয়ত্তে আসবে। এফডিসিকে শতভাগ চলচ্চিত্রবান্ধব করতে পারব।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র এফড স র
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ কোরিয়ায় ৯ বছরে প্রথমবারের মতো বাড়ল জন্মহার
নয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ২০২৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার বেড়েছে। দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলমান জনসংখ্যাগত সংকটের মাঝে এই পরিসংখ্যানকে গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক মনে করা হচ্ছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ায় বিয়ের হার বাড়ায় জন্মহারও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে দক্ষিণ কোরিয়ায় জনসংখ্যাগত সংকট কেটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্ট্যাটিস্টিকস কোরিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশটিতে জন্মহার বেড়ে হয়েছে শূন্য দশমিক ৭৫।
২০২৩ সালে দেশটিতে জন্মহার টানা ৮ বছর কমে দাঁড়িয়েছিল শূন্য দশমিক ৭২-এ, যা ছিল বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার ছিল এক দশমিক ২৪ শতাংশ।
দক্ষিণ কোরিয়া জন্মহার বাড়াতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ হাতে নেয়। তরুণদের বিয়ে করতে এবং সন্তান ধারণে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
স্ট্যাটিস্টিক্স কোরিয়ার এক কর্মকর্তা পার্ক হিউন-জং এক ব্রিফিংয়ে বলেন, এখন দেশের সামাজিক মূল্যবোধে পরিবর্তন এসেছে। বিবাহ এবং সন্তান জন্মদান সম্পর্কে আরো ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে।
২০২৪ সালে দেশটিতে জন্মহার বাড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বিয়ে। যা বেড়েছে ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ। করোনা মহামারির পর ২০২৩ সালে বিয়ে বেড়ে ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়।
ঢাকা/ফিরোজ