‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সক্রিয় করবে জাতিসংঘ’
Published: 26th, February 2025 GMT
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরো সক্রিয় করা অব্যাহত রাখবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পাঠানো এক চিঠিতে জাতিসংঘের মহাসচিব জানান, রোহিঙ্গা সংকটের কারণে বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের ওপর পড়া প্রভাব এবং রাখাইনে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট নিয়ে তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগের সঙ্গে একমত।
চিঠিতে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসনের জন্যে উপযোগী পরিবেশ তৈরি করাসহ মিয়ানমার সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক অংশীদার, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট (আসিয়ান) ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আমি আমার বিশেষ দূতের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাব।”
জাতিসংঘ মহাসচিব আরো বলেন, তিনি জাতিসংঘের বাংলাদেশ ও মিয়ানমারভিত্তিক কর্মী দলকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য তার সিনিয়র কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা রাখাইন সম্প্রদায়ের জন্য মানবিক ও জীবিকার সহায়তা আরো বাড়াতে পারেন।
তিনি আশ্বস্ত করেন যে, জাতিসংঘ এ ইস্যুতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করবে, যার মধ্যে জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী ও মিয়ানমারের আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারীর মাধ্যমে রাখাইনসহ সারা মিয়ানমারে নিরাপদ, দ্রুত, টেকসই ও বাধাহীন মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
আন্তোনিও গুতেরেস আশা প্রকাশ করে বলেন, “রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন বিশ্বব্যাপী নতুন করে মনোযোগ আকর্ষণ এবং রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের জন্য আরো বিস্তৃত সমাধান বের করতে সাহায্য করবে।”
তিনি আরো বলেন, “জাতিসংঘের ব্যবস্থা কীভাবে প্রক্রিয়াটিকে সর্বোত্তম সমর্থন করতে পারে, তা বোঝার জন্য সদস্য রাষ্ট্রের পরামর্শ অনুসরণ করে আমরা সম্মেলনের সম্মত ফলাফল এবং পরিকল্পনার জন্য অপেক্ষা করছি।”
জাতিসংঘ মহাসচিব পুনরায় নিশ্চিত করেন যে, জাতিসংঘ বাংলাদেশকে দৃঢ় সংহতি জানাচ্ছে এবং অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে চলমান পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে সমর্থন দিচ্ছে।
তিনি ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পাঠানো চিঠির জন্য ধন্যবাদ জানান। ৭ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকারবিষয়ক উচ্চতর প্রতিনিধি খলিলুর রহমান তার কাছে পৌঁছে দেন।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় চট্টগ্রামে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে, ঘটনাস্থলে সাতজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনজন মারা যান।
বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এখনো নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বাসে থাকা কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে এই প্রতিবেদকের। তারা জানিয়েছেন, চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় পৌঁছালে বাসটি আকস্মিকভাবে নিয়ন্ত্রণ হারায়। পরে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
চট্টগ্রামে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১০
ইমন নামের এক যাত্রী বলেন, ‘‘রিল্যাক্স পরিবহনের বাসটি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিল। চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এলোমেলোভাবে চলতে থাকে। সে সময় বাসের গতি ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি ছিল। একই সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ হয়।’’
সাব্বির আহমেদ নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘‘চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় লবণবাহী ট্রাক থেকে পানি গলে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে ছিল। বাসের অতিরিক্ত গতি ও সড়ক পিচ্ছিল থাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।’’
আরো পড়ুন: চট্টগ্রামে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১০
ঢাকা/রাজীব