‘কার্ডনির্ভর নিরাপদ লেনদেনে, জীবন হোক ঝামেলাহীন ও সহজ’—স্লোগানে আজ বুধবার থেকে ‘ব্যাংক কার্ড আয়োজন ২০২৫’ শীর্ষক মেলা শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত। দেশের ব্যাংকগুলোর প্রচলিত বিভিন্ন ধরনের কার্ডের ব্যবহার জীবনে আনে স্বস্তি এবং লেনদেন হয় নিশ্চিন্ত ও ঝামেলাহীন। তাই কার্ডনির্ভর লেনদেনে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রথম আলো ডটকম দ্বিতীয়বারের মতো এ মেলার আয়োজন করেছে।

এবারের আয়োজনে অংশ নিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি), ইস্টার্ণ ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) ও সাউথইস্ট ব্যাংক। এই আয়োজনে রয়েছে ব্যাংকগুলোর কার্ড–সংক্রান্ত খোঁজখবর, কার্ড ব্যবহারে সতর্কতা ও নিরাপদ লেনদেনে করণীয় বিষয়ে পরামর্শ, ব্যাংকগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার, ব্যাংক কার্ডের আদ্যোপান্ত নিয়ে প্রয়োজনীয় ফিচার ও টক শো। এ ছাড়াও থাকছে নানা ধরনের কার্ডের আকর্ষণীয় সব সুবিধা ও ছাড়ের খোঁজখবর। এ মেলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে bankcardayojon.

com এই ওয়েবসাইটে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়

‘আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়। সন্তান যার হারায় সেই বোঝে এর কষ্ট। পুরো রমজানে রাতে আমি ঘুমাতে পারিনি। সামনে আর কেউ যেন হাসিনার (সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) মতো এ রকম মানুষ না মারে। প্রয়োজনে আমরা মায়েরা সামনে যাব, তবুও সন্তানদের হারাতে চাই না।’

কথাগুলো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন শহীদ মিরাজের মা। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল রাজধানীর মিরপুরের জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও খোঁজখবর নিতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।

এনসিপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ মার্চ দুপুর থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ছয় শহীদ পরিবারের বাসায় শুভেচ্ছা বিনিময় করে তাঁদের প্রতিনিধিদল। এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীবের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল শহীদ পরিবারের সদস্যদের সার্বিক খোঁজখবর নেয় ও ঈদ উপহার পৌঁছে দেয়।

অন্যদের মধ্যে মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শহীদ মমিন ইসলাম, শহীদ দেলোয়ার হোসেন, দুয়ারীপাড়ার শহীদ বাবুল আক্তার ও রূপনগরের শহীদ সাকিবের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এনসিপির প্রতিনিধিদল।

শহীদ সাকিবের বোন বলেন, ‘আপনাদের আমার মা দেখলে ভালো হতো। আমার মা স্বাভাবিক হতে পারছেন না। খুলনার সোনাডাঙ্গায় নিজ বাড়িতে সারাক্ষণ সাকিব বলে ডাকাডাকি করেন; স্বাভাবিক হতে পারছেন না।’

ইস্টার্ন হাউজিংয়ে ভাড়া বাসায় থাকে শহীদ দেলোয়ারের পরিবার। তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিলেন। তাঁর ছোট তিন সন্তানের পড়াশোনা, ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত পরিবার। শহীদ দেলোয়ারের স্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেশী সন্তানদের বাবা বলে ডাকতে দেখলে, আমার সন্তানেরা বাসায় এসে মন খারাপ করে।’

দুয়ারীপাড়ার শহীদ বাবুল আক্তারের পরিবারও একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে আর্থিক সংকটে পড়েছে।

এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার হলেন শহীদেরা। তাঁরা জীবন উৎসর্গ করে খুনি হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছেন। তাই সরকারকে অতি দ্রুত শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন করতে হবে। পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বিচার করতে হবে।

এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য ইমরান নাঈম, বিভিন্ন থানা প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেরও থানা প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়