Prothomalo:
2025-03-28@17:40:40 GMT

এপিলেপসি বা মৃগীরোগ কি ভালো হয় 

Published: 26th, February 2025 GMT

খিঁচুনি হওয়া মানেই কিন্তু মৃগীরোগ নয়। কারণ, নানা কারণে খিঁচুনি হতে পারে, যেমন প্রচণ্ড জ্বর, রক্তে লবণের পরিমাণ কমে যাওয়া, মস্তিষ্কে প্রদাহ অথবা স্ট্রোক। কিন্তু তেমন কোনো অন্তর্নিহিত কারণ ছাড়া যদি বারবার খিঁচুনি হয়, তবে তাকে মৃগীরোগ বা এপিলেপসি বলে। 

আমাদের সমাজে মৃগীরোগীরা বেশ অবহেলিত। অনেকের ধারণা, মৃগীরোগীরা অভিশপ্ত; এ রোগ কখনো ভালো হয় না। এখনো গ্রামগঞ্জে এটিকে ভূত বা জিনে ধরা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদিও ৯০ শতাংশ মৃগীরোগী ওষুধ সেবনে ভালো থাকেন এবং ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগী দুই থেকে পাঁচ বছর ওষুধ খেয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যান। 

কেন হয়

মৃগীরোগের বেশির ভাগ কারণ বংশগত বা জেনেটিক।

জন্মের সময় শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়া।

মস্তিষ্কে প্রদাহ বা এনকেফালাইটিস।

মস্তিষ্কের টিউমার।

স্ট্রোক।

মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর।

লক্ষণ

মৃগীরোগের প্রধান লক্ষণ হলো খিঁচুনি। অনেক সময় এর সঙ্গে মেধা বা বুদ্ধি কমে যাওয়া ও আচরণগত সমস্যাও থাকতে পারে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা

মস্তিষ্কের এমআরআই এ রোগের কারণ নির্ণয়ে সহায়তা করে। ইলেকট্রোএঙ্কেফালোগ্রাম (ইইজি) পরীক্ষা মৃগীরোগের কারণ, ধরন ও চিকিৎসাপদ্ধতি সম্পর্কে ভালো ধারণা দেবে। 

আরও পড়ুনঅতিরিক্ত চিন্তা করা কি কোনো রোগ২৫ জানুয়ারি ২০২৫চিকিৎসা

মৃগীরোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া হঠাৎ করে ওষুধ বন্ধ করা যাবে না। খিঁচুনি রোধে যেসব ওষুধ দেওয়া হয়, সেসবের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। সব সময় নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।

  কিছু ভুল তথ্য

মৃগী একটি ছোঁয়াচে রোগ।

খিঁচুনি হলে মুখে জুতা শুকাতে হয়।

খিঁচুনি হলে মুখে চামচ দিতে হয় (মনে রাখবেন, এটি করলে রোগীর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি)।

মৃগীরোগীর কার্যক্ষমতা নেই, এরা লেখাপড়ায় ভালো করবে না।

মৃগীরোগীর সন্তান হয় না বা তারা সুস্থ সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম।

আরও পড়ুনমুখের অস্বস্তিকর রোগ মিউকোসিল কেন হয়, চিকিৎসা ও প্রতিকার কী২৯ জানুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আ’লীগ নেতাদের নিয়ে ঈদ উপহার বিতরণ ইউএনওর

ধর্মপাশায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঈদ উপহার বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এ নিয়ে নানা মহলে চলছে সমালোচনা।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য পাঠানো ঈদ উপহার বিতরণ করেন ইউএনও জনি রায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোজাম্মেল হক ও সেলবরষ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক গোলাম ফরিদ খোকা। মোজাম্মেল হক পাইকুরাটি ইউপির ও গোলাম ফরিদ খোকা সেলবরষ ইউপির চেয়ারম্যান। এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিএনপি বা অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের নিয়ে শুধু এ উপহার বিতরণই নয়, উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সরকারি প্রতিটি কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকে রাখা হয়েছে সামনের সারিতে। এসব অনুষ্ঠানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা বিতর্কের সৃষ্টি করে।
ধর্মপাশা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নারীদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে ৪৫০টি শাড়ি বরাদ্দ পায় উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এসব শাড়ি আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণের আয়োজন করে প্রশাসন। ওই অনুষ্ঠানের অতিথি মঞ্চে ইউএনওর পাশাপাশি আসন গ্রহণ করেন উল্লিখিত আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা।
ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হক ও যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম রহমত বলেন, ধর্মপাশায় গত ৪ আগস্ট যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে এবং নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে তাদের প্রাধান্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসন সরকারিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে, যা দুঃখজনক। আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, যদি আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসররা এখনও প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার পায়, তাহলে জুলাই অভ্যুত্থানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ম্লান হবে।
ইউএনও জনি রায় বলেন, ওই আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের দাওয়াত করে আনা হয়নি। তারা অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে চলে আসেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ