Risingbd:
2025-03-30@22:56:04 GMT

স্বাগতিক পাকিস্তান নাকি ভারত!

Published: 26th, February 2025 GMT

স্বাগতিক পাকিস্তান নাকি ভারত!

চলমান চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক দেশ পাকিস্তান। কিন্তু টুর্নামেন্টে তাদেরও নিজ দেশের বাইরে গিয়ে খেলতে হলো। কারণ নিরাপত্তার অজুহাতে ভারত পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি হয়নি। আর সেই কারণে আইসিসি এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে হাইব্রিড মডেলে সাজিয়েছে। তাতে ভারতের সব ম্যাচ হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এবং একই ভ্যানুতে। যেখানে অন্য দেশগুলোকে প্রতি ম্যাচেই ভিন্ন ভেন্যুতে খেলার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে এবং ভ্রমণ করছে।

ভারতের যে এই বিশেষ সুবিধা নিয়ে মাঠে নামার সুযোগ মিলেছে, তা নিয়ে বেশ নীতিবাচক আলোচনা হচ্ছে চারদিকে। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেইন এবং মাইক আথারটন ভারতীয় দলের এক মাঠে খেলার সুবিধার জোড়াল সমালোচনা করেছেন। সোমবার স্কাই স্পোর্টসে এক আলোচনায় ইংল্যান্ডের এই দুই সাবেক অধিনায়ক ব্যাখ্যা করেন বিষয়টি।

নাসের হুসেইন বলেন, “এটা একটা সুবিধা। টুর্নামেন্টের সেরা দলটির জন্য এমন সুবিধা। আমি আগের দিন একটি টুইট দেখলাম, ‘পাকিস্তান স্বাগতিক, কিন্তু ঘরের মাঠের সুবিধাটা পাচ্ছে ভারত।’ এতেই সবকিছু বোঝা যায়।”

আরো পড়ুন:

কোহলির সেঞ্চুরির রঙে রঙিন ভারতের ক্যানভাস

দিল্লিতে মুসলিমশূন্য মন্ত্রিসভা গড়ল বিজেপি

নাসের ভারতীয় দলের মাঠ নির্বাচনের সুবিধা নিয়ে আরও বিস্তারিতভাবে বলেন, “তারা (ভারত) এক জায়গায় এবং এক হোটেলে। তাদের ভ্রমণ করতে হচ্ছে না। তারা এক ড্রেসিং রুমে। তারা পিচ সম্পর্কে জানে। সেই পিচের জন্যই তারা দল বেছে নিয়েছে। যখন তারা দল নির্বাচন করেছে, তখন তারা খুব বিচক্ষণতা দেখিয়েছে। তারা হয়তো জানত, দুবাইয়ে পিচ কেমন হতে যাচ্ছে। তারা তাদের সব স্পিনারকে বেছে নিয়েছে। ভারতীয় মিডিয়ায় এটা নিয়ে কিছুটা বিতর্ক হয়েছিল যে, কেন বাড়তি একজন পেসার নেওয়া হচ্ছে না? কেন সব স্পিনার? কেন, এখন আমরা তা দেখতে পাচ্ছি।”

“ভারত যখন একবার বলে, ‘আমরা পাকিস্তানে যাব না’, তখন আইসিসির কী করার থাকে? ভারত–পাকিস্তান ছাড়া আপনি এ ধরনের টুর্নামেন্ট করতে পারবেন না।”- আরও যোগ করেন নাসের।

পাকিস্তানে খেলছে লাহোর, করাচি, এবং রাওয়ালপিন্ডিতে। যেখানে প্রতিটি ভেন্যুর কন্ডিশন ভিন্ন হওয়ায় অন্য দলগুলোকে তাদের একাদশ সাজাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। ভ্রমণের ক্লান্তি আছে। একই সময় ভারতীয় দল শুধু দুবাইয়ের কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে দল সাজাতে পারছে, যা তাদের জন্য বড় সুবিধা।

ইংল্যান্ডের আরেক সাবেক অধিনায়ক মাইক আথারটনও মনে করেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সুবিধা পাচ্ছে ভারত। আথারটন বলেন, “দুবাইয়ে খেলায় ভারতের সুবিধা কী, শুধু দুবাইয়ে খেলা? আমার কাছে সুবিধাটা পরিমাপ করা কঠিন, তবে নিঃসন্দেহে এটা সুবিধা। তারা স্রেফ একটি ভেন্যুতে খেলছে। তাদের এক ভেন্যু থেকে অন্য ভেন্যুতে বা এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করতে হচ্ছে না, অন্যান্য অনেক দলের তা করতে হচ্ছে।”

অন্য দলের কাছে এ ধরনের সুবিধা না থাকলেও, ভারতের জন্য এটি এক ধরনের বাড়তি সুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত, ফাইনালের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই সুবিধা তাদের জন্য বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চলমান আসরে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ভারত।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন য দ র জন য ভ রমণ

এছাড়াও পড়ুন:

পদ্মা সেতুতে সর্বমোট টোল আদায় ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা 

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত উভয় প্রান্তের টোল প্লাজায় সর্বমোট টোল আদায় হয়েছে ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৫৯ টাকা। আর ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে শনিবার পর্যন্ত পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শেষ মুহূর্তের ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতু অতিক্রম করে বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষ। তবে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ নেই। কখনও কখনও একেবারেই ফাঁকা থাকছে টোল প্লাজা। 

শনিবার পদ্মা সেতু দিয়ে ৩৬ হাজার ৯২৪ যান পারাপার হয়। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ছিল ৮ হাজার ৭৫০টি। টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৭ লাখ ৯২ হাজার ২০০ টাকা।

এছাড়া শনিবার পর্যন্ত ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে টোল আদায় হয়েছে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা।

সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন আরও জানান, লম্বা ছুটির কারণে এবার ঈদযাত্রায় চাপ অপেক্ষাকৃত কম। রোববার ভোরেও টোল প্লাজা ঘিরে যানবাহনের লম্বা লাইন ছিল। কিন্তু বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে।

টোল আদায়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, রাত পোহালেই ঈদ, কর্মজীবী ও ব্যবসায়ী অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। তাই রোববারও অস্থায়ী টোল বুথটি চালু রাখা হয়। এখন ৯টি লেনে টোল আদায় করা হচ্ছে। তবে অনেকেই গরম এবং যানজট এড়াতে সেহেরির পরপরই বেরিয়ে পড়েন। তাই সকালে কিছুটা চাপ থাকলেও বেলা গড়ানোর পর চাপ কমতে থাকে।

একই চিত্র দেখা গেছে জেলার অপর মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রামের পথেও। রোববার সকাল থেকে এ মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ১৩ কিলোমিটারে ছিল না কোনো যানজট।

সম্পর্কিত নিবন্ধ