চলমান চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক দেশ পাকিস্তান। কিন্তু টুর্নামেন্টে তাদেরও নিজ দেশের বাইরে গিয়ে খেলতে হলো। কারণ নিরাপত্তার অজুহাতে ভারত পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি হয়নি। আর সেই কারণে আইসিসি এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে হাইব্রিড মডেলে সাজিয়েছে। তাতে ভারতের সব ম্যাচ হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এবং একই ভ্যানুতে। যেখানে অন্য দেশগুলোকে প্রতি ম্যাচেই ভিন্ন ভেন্যুতে খেলার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে এবং ভ্রমণ করছে।
ভারতের যে এই বিশেষ সুবিধা নিয়ে মাঠে নামার সুযোগ মিলেছে, তা নিয়ে বেশ নীতিবাচক আলোচনা হচ্ছে চারদিকে। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেইন এবং মাইক আথারটন ভারতীয় দলের এক মাঠে খেলার সুবিধার জোড়াল সমালোচনা করেছেন। সোমবার স্কাই স্পোর্টসে এক আলোচনায় ইংল্যান্ডের এই দুই সাবেক অধিনায়ক ব্যাখ্যা করেন বিষয়টি।
নাসের হুসেইন বলেন, “এটা একটা সুবিধা। টুর্নামেন্টের সেরা দলটির জন্য এমন সুবিধা। আমি আগের দিন একটি টুইট দেখলাম, ‘পাকিস্তান স্বাগতিক, কিন্তু ঘরের মাঠের সুবিধাটা পাচ্ছে ভারত।’ এতেই সবকিছু বোঝা যায়।”
আরো পড়ুন:
কোহলির সেঞ্চুরির রঙে রঙিন ভারতের ক্যানভাস
দিল্লিতে মুসলিমশূন্য মন্ত্রিসভা গড়ল বিজেপি
নাসের ভারতীয় দলের মাঠ নির্বাচনের সুবিধা নিয়ে আরও বিস্তারিতভাবে বলেন, “তারা (ভারত) এক জায়গায় এবং এক হোটেলে। তাদের ভ্রমণ করতে হচ্ছে না। তারা এক ড্রেসিং রুমে। তারা পিচ সম্পর্কে জানে। সেই পিচের জন্যই তারা দল বেছে নিয়েছে। যখন তারা দল নির্বাচন করেছে, তখন তারা খুব বিচক্ষণতা দেখিয়েছে। তারা হয়তো জানত, দুবাইয়ে পিচ কেমন হতে যাচ্ছে। তারা তাদের সব স্পিনারকে বেছে নিয়েছে। ভারতীয় মিডিয়ায় এটা নিয়ে কিছুটা বিতর্ক হয়েছিল যে, কেন বাড়তি একজন পেসার নেওয়া হচ্ছে না? কেন সব স্পিনার? কেন, এখন আমরা তা দেখতে পাচ্ছি।”
“ভারত যখন একবার বলে, ‘আমরা পাকিস্তানে যাব না’, তখন আইসিসির কী করার থাকে? ভারত–পাকিস্তান ছাড়া আপনি এ ধরনের টুর্নামেন্ট করতে পারবেন না।”- আরও যোগ করেন নাসের।
পাকিস্তানে খেলছে লাহোর, করাচি, এবং রাওয়ালপিন্ডিতে। যেখানে প্রতিটি ভেন্যুর কন্ডিশন ভিন্ন হওয়ায় অন্য দলগুলোকে তাদের একাদশ সাজাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। ভ্রমণের ক্লান্তি আছে। একই সময় ভারতীয় দল শুধু দুবাইয়ের কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে দল সাজাতে পারছে, যা তাদের জন্য বড় সুবিধা।
ইংল্যান্ডের আরেক সাবেক অধিনায়ক মাইক আথারটনও মনে করেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সুবিধা পাচ্ছে ভারত। আথারটন বলেন, “দুবাইয়ে খেলায় ভারতের সুবিধা কী, শুধু দুবাইয়ে খেলা? আমার কাছে সুবিধাটা পরিমাপ করা কঠিন, তবে নিঃসন্দেহে এটা সুবিধা। তারা স্রেফ একটি ভেন্যুতে খেলছে। তাদের এক ভেন্যু থেকে অন্য ভেন্যুতে বা এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করতে হচ্ছে না, অন্যান্য অনেক দলের তা করতে হচ্ছে।”
অন্য দলের কাছে এ ধরনের সুবিধা না থাকলেও, ভারতের জন্য এটি এক ধরনের বাড়তি সুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত, ফাইনালের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই সুবিধা তাদের জন্য বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চলমান আসরে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ভারত।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন য দ র জন য ভ রমণ
এছাড়াও পড়ুন:
জেমকন গ্রুপের নাবিল, তাঁর দুই ভাই, মাসহ ১০ জনের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
জেমকন গ্রুপের মালিক ও যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, তাঁর দুই ভাই ও মা এবং মৃত বাবাসহ ১০ জনের নামে থাকা ১১৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ বুধবার এ আদেশ দেন।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, কাজী নাবিল আহমেদের ২১টি ব্যাংক হিসাব, তাঁর ভাই আনিস আহমেদের ২০টি, কাজী ইনাম আহমেদের ১০টি এবং তাঁদের মা আমিনা আহমেদের নামে থাকা ২৫টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য তুলে ধরে সেগুলো অবরুদ্ধ করার পৃথক আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করেন। এর বাইরে কাজী নাবিল আহমেদের মৃত বাবার নামে থাকা সাতটি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া কাজী নাবিল আহমেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট পাঁচজন মালিয়া মান্নান আহমেদ, কাজী সিরাজ আহমেদ, লতিফা মান্নান ইসলাম, রাইয়াদ জায়েদ মান্নান ও আবু মুসার নামে থাকা ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুনজেমকনের মালিক কাজী নাবিলসহ চারজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি কাজী নাবিল আহমেদ, তাঁর দুই ভাই ও তাঁদের মায়ের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। দুদকের পক্ষ থেকে সেদিন আদালতকে জানানো হয়েছিল, জেমকন গ্রুপের বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক জালিয়াতি ও অন্যান্য দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।