যুক্তরাজ্যের ভিসা আবেদনকারীদের জন্য সুখবর
Published: 26th, February 2025 GMT
যুক্তরাজ্যের ভিসা আবেদনকারীদের দ্রুত সেবা দিতে বাংলাদেশসহ ১৪১টি দেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির চ্যাটবট চালু করেছে ‘ভিএফএস গ্লোবাল’। ভিসা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, যুক্তরাজ্যের ভিসা–সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন ভয়েস কমান্ড ও বার্তার মাধ্যমে ইনপুট করলেই এআই চ্যাটবটটি প্রয়োজনীয় তথ্য ভয়েস বার্তার মাধ্যমে জানাতে পারে। এর ফলে সহজেই ভিসাসম্পর্কিত বিভিন্ন সেবা পাওয়া যাবে। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ভিএফএস গ্লোবাল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে ভ্রমণকারীদের সেবা উন্নত করতে সম্প্রতি জেনারেটিভ এআইচালিত চ্যাটবট চালু করা হয়েছে। এআই চ্যাটবটটি উন্নত জেনারেটিভ এআইপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের মতো কথোপকথনের আদলে তাৎক্ষণিকভাবে নির্ভুল ও প্রয়োজনীয় তথ্য জানাতে পারে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে অবস্থিত ভিএফএস গ্লোবালের এআই টিম চ্যাটবটটি তৈরি করেছে।
ভিএফএস গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জুবিন কারকারিয়া বলেন, ‘প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন সব সময়ই ভিএফএস গ্লোবালের কার্যক্রমের মূল ভিত্তি। আমরা এই এআইনির্ভর সমাধান চালু করতে পেরে আনন্দিত, যা যুক্তরাজ্যে ভ্রমণকারীদের ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করবে। আমরা আমাদের ক্লায়েন্ট সরকার ও গ্রাহকদের জন্য ভিসা ও কনস্যুলার পরিষেবায় পরবর্তী উন্নতিসাধনের লক্ষ্যে বিভিন্ন এআই ও ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর পণ্য তৈরি করছি।’
ভিএফএস গ্লোবালের তথ্যমতে, এআই চ্যাটবটটি মূলত নিজ নিজ ভিএফএস গ্লোবাল কান্ট্রি-টু-ইউকে ওয়েবসাইটগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। ভিএফএস গ্লোবালের সুরক্ষিত নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত থাকায় সেবাগ্রহীতাদের তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে চ্যাটবটটি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শাশুড়ির দেহ টুকরো করে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়ার আগেই মা-মেয়ে আটক
কলকাতায় হাড়হিম করা ঘটনা ঘটেছে। ব্যাগ ভর্তি টুকরো করা মানবদেহ গঙ্গায় ফেলার আগে কুমোরটুলি ঘাট থেকে দুই নারীকে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয়রা। এরপর ব্যাগ খুলতেই আঁতকে ওঠেন পুলিশ ও স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে ট্যাক্সিতে করে গঙ্গার ঘাটে আসেন মাস্ক পরা দুই নারী। ভারী ব্যাগ টেনে ঘাটে আনতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তারা দাবি করেন, ব্যাগে পোষ্য কুকুরের মরদেহ রয়েছে। খবর দেয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে ট্রলি ব্যাগ খুলতেই ভিতরে মেলে পচাগলা রক্তাক্ত দেহ।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই দুই নারীকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন, ফাল্গুনি ঘোষ ও আরতি ঘোষ। সম্পর্কে তারা মা ও মেয়ে। ট্রলি ব্যাগে করে যার দেহ ফেলা হচ্ছিল তিনি সম্পর্কে ফাল্গুনির পিসি শাশুড়ি। নাম সুমিতা ঘোষ।
আরো পড়ুন:
ভূমিকম্পে কাঁপল পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েন, বাংলাদেশকে কাছে টানছে চীন
মা ও মেয়ের পরিকল্পনা ছিল, সকালের দিকে সবার চোখ এড়িয়ে ওই ব্যাগ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেবেন। কিন্তু কুমোরটুলি ঘাট ভোর থেকেই জনবহুল থাকে। প্রাতঃভ্রমণকারীদের চোখে পড়ে যায় ওই মা এবং মেয়ে। তাদের হাবেভাবে সন্দেহ হয় ঘাটে থাকা অন্যান্যদের। ট্রলি খুলে ভেতরে কী আছে তা দেখানোর কথা বললে বেঁকে বসেন ফাল্গুনি এবং আরতি। আর এতেই সাধারণ মানুষের সন্দেহ বাড়ে।
উত্তর বন্দর থানার পুলিশ ওই দেহের টুকরাগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ফাল্গুনি এবং আরতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।
কুমোরটুলি ঘাটে উপস্থিত প্রাতঃভ্রমণকারীদের দাবি, এই দুই নারীর সঙ্গে এক ব্যক্তিও ছিলেন। তিনি পালিয়ে গেছেন। এই দাবির সত্যতাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ জানায়, ঝগড়ার মুহূর্তে ইট দিয়ে থেঁতলে পিসি শাশুড়িকে খুন করে ফাল্গুনি। এরপর মা আরতি ঘোষের সহায়তায় মৃত শাশুড়ির গোড়ালি কাটা হয় বঁটি দিয়ে। এরপর সেই টুকরো করা দেহ ট্রলিতে ভরে গঙ্গার ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয় মা ও মেয়ে।
ঘটনার তদন্তে নেমে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য ও পুলিশ। জানা গেছে, ফাল্গুনির সঙ্গে দীর্ঘদিন বনিবনা ছিল না তার স্বামীর। তার শ্বশুরবাড়ি পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটে। গত কয়েক বছর ধরে মধ্যমগ্রাম পৌরসভার বীরেশ পল্লিতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে আলাদা থাকছিলেন ফাল্গুনি। গত ১১ ফেব্রুয়ারি মেয়ের কাছে এসেছিল মা আরতি।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ফাল্গুনির বাড়িতে গিয়েছিলেন তার পিসি শাশুড়ি সুস্মিতা। কেন তিনি সেখানে গিয়েছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে তদন্তকারীদের অনুমান, ফাল্গুনিই হয়তো ফোন করে তাকে ডেকেছিল।
সোমবার বিকেল ৪টার দিকে শাশুড়ি সুস্মিতার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন ফাল্গুনি। সেসময় দেওয়ালে ধাক্কা লেগে অজ্ঞান হয়ে যান সুস্মিতা। পরে তার জ্ঞান ফেরার পরে ফের ফাল্গুনির সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়। সেই সময়েই ইট দিয়ে শাশুড়ির ঘাড়ে এবং মুখে আঘাত করেন ফাল্গুনি। তাতে তার মৃত্যু হলে দেহটি ফেলে দেয়ার জন্য পরিকল্পনা করে মা-মেয়ে।
ফাল্গুনির প্রতিবেশীদের দাবি, অচেনা লোকজনের আনাগোনা ছিল ফাল্গুনির বাড়িতে। এই নিয়ে প্রতিবাদও করেছিলেন পাড়ার লোকজন। বাড়ি ভাড়ার চুক্তির মেয়াদ চলতি বছরের মার্চে শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে চলে যাওয়ার কথা ছিল ফাল্গুনির।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ