কুষ্টিয়ার মিরপুরে রকিবুল ইসলাম (২৫) নামের এক পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের কাতলামারী এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত রকিবুল ইসলাম ওই এলাকার সামসুল ইসলামের ছেলে। তিনি পুলিশ কনস্টেবল পদে ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।

মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘পুলিশ সদস্য রকিবুল ইসলাম ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। বুধবার সকালে প্রতিদিনের মতো ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে আবার নিজ ঘরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেন। দীর্ঘ সময় পরেও ঘর থেকে বের না হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা জানালা দিয়ে ঘরের ভেতর উঁকি দিয়ে রকিবুলে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।’’

পরিবারের সদস্যদের বরাতে তিনি আরো বলেন, ‘‘সম্প্রতি পারিবারিক কলহের জেরে রকিবুলের স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে চলে গেছেন। সেই সঙ্গে তিনি ঋণগ্রস্ত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এসব কারণে রকিবুল আত্মহত্যা করেছেন। তবে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’’

ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় জানালার ফাঁক দিয়ে পড়ে ছাত্রীর মৃত্যু, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্বজনদের ভিন্ন ভাষ্য

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার একটি মাদ্রাসার পাঁচতলা ভবনের জানালার ফাঁক দিয়ে পড়ে এক শিক্ষার্থীর (১৩) মৃত্যু হয়েছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, বাড়ি যেতে না পারায় মেয়েটি লাফ দেয়। তবে স্বজনেরা দাবি করেছেন, এখানে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি থাকতে পারে।

গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। বিষয়টি রাতেই জানাজানি হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে মাদ্রাসার পাঁচতলার একটি জানালার ফাঁক দিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয় সে।

মাদ্রাসার মুহতামিমের ভাষ্য, ঈদের ছুটির পর সপ্তাহখানেক আগে ওই শিক্ষার্থীর নিয়মিত ক্লাস শুরু হয়। তবে মাদ্রাসার আবাসিকে থাকতে সে অনাগ্রহী ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে সে তার মাকে ফোন করে বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। পরে রাতে মাদ্রাসার একটি জানালার ফাঁক দিয়ে নিচে লাফিয়ে পড়ে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে তাঁরা কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকায় পাঠানো হয়। রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করতে না পেরে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে মেয়েটিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ওই শিক্ষার্থীর মামা বলেন, তাঁরা চেয়েছিলেন ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করতে, তবে পুলিশ অনুমতি দেয়নি। তাঁরা থানায় অভিযোগ করবেন। পুরো ঘটনা সুষ্ঠুভাবে তদন্তের দাবি জানান।

মেয়েটির এক স্বজন দাবি করেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। জানালার একটি বড় ফাঁক দিয়ে মেয়েটি নিচে পড়ে যায়। যদি গ্রিল সঠিকভাবে থাকত, এমনটা না–ও হতে পারত।

মাদ্রাসার মুহতামিম বলেন, ‘দিবাগত রাত তিনটার দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি রাস্তায় মেয়েটিকে পড়ে থাকতে দেখে আমাকে ফোন করেন। পরে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। জানালার ওই অংশে ফাঁক ছিল, তবে সেটি আগে তেমনভাবে আমাদের নজরে আসেনি।’

এ বিষয়ে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জানালার একটি অংশে রডের ফাঁক আছে, সেটি বেশ বড়। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান দিয়েই মেয়েটি পড়েছে। তবে তদন্ত চলছে। মেয়েটির লাশের ময়নাতদন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হবে। যৌন নিপীড়নের কোনো অভিযোগ থাকলে, সেটিও পরীক্ষা করা হবে। এখন পর্যন্ত মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বা পরিবারের কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ