নায়িকার মামলায় আজিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
Published: 26th, February 2025 GMT
চিত্রনায়িকার দায়েরকৃত মামলায় প্রযোজক আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে প্রতারণার দায়ে মামলা করেন ‘পাপ’ সিনেমার অভিনেত্রী জাকিয়া কামাল মুন। এই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে ‘পাপ’ সিনেমাটি নির্মাণে সহযোগিতার জন্য আজিজকে এককালীন ৬০ লাখ টাকা দেন মুন। ওই বছরের মার্চের মধ্যেই সিনেমার কাজটি শেষ করার কথা ছিল। অঙ্গীকারনামার শর্ত মোতাবেক আজিজ বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরত দেননি। বারবার আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ পাঠানোর পরও তিনি উপেক্ষা করেছেন। উল্টো গত বছরের মে মাসে ‘পাপ’ সিনেমা একটি ওটিটির কাছে ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন।
আরো পড়ুন:
সাবুদিকে প্রথম দেখেই প্রেমে পড়ে যাই: পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি দিতিকন্যার অনুরোধ
এ বিষয়ে মামলার বাদী অভিনেত্রী জাকিয়া কামাল মুন গণমাধ্যমকে বলেন, “আমার টাকা ফেরত দেননি, উল্টো বিভিন্ন প্রযোজককে তিনি বলে দিয়েছেন আমাকে যেন কোনো সিনেমায় না নেওয়া হয়।”
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবু সাঈদ শিমুল জানান, আসামির বিরুদ্ধে ৪০৬, ৪২০ ও ৫০৬ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যারাডোনাকে হত্যা করা হয়েছে
বুয়েনস এইরেসের সান ইসিদরো আদালতে চলছে মামলার শুনানি। ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যু অসুস্থতার কারণে স্বাভাবিক মৃত্যু, নাকি অবহেলা ছিল চিকিৎসকদের, তা খতিয়ে দেখছেন আদালত। কিংবদন্তির শেষ দিনগুলোয় তাঁর চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন যে আটজন চিকিৎসক, তাঁদের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলাজনিত অপরাধের অভিযোগে চলছে বিচার কার্যক্রম।
বাদীপক্ষ ম্যারাডোনার দুই মেয়ে দালমা ও জিয়ান্নিনার হয়ে আদালতে লড়ছেন আর্জেন্টাইন আইনজীবী ফের্নান্দো বার্লান্দো। এক টিভি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘পশুর সঙ্গে যেমন আচরণ করে, ডিয়েগোর সঙ্গে সেটাই করা হয়েছে। আদালতে যা কিছু দেখা গেছে, সেটাই প্রমাণ করে।’
আরও পড়ুনমেসির দেহরক্ষীকে নিষেধাজ্ঞা৪ ঘণ্টা আগেআর্জেন্টিনার টিভি চ্যানেল এলত্রেসে প্রচারিত অনুষ্ঠান ‘লা নোচে দে মিরথা’য় বার্লান্দো ব্যাখ্যা করেন, ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ম্যারাডোনাকে হত্যা করা হয়েছিল—এটা প্রমাণ করাই তাঁর আইনি দলের লক্ষ্য, ‘অবহেলার বিষয়টি আমরা আগেই পেরিয়ে এসেছি। এখন তা বিচারিকভাবে প্রমাণের চেষ্টা করছি।’
এই পৃথিবীতে ডিয়েগোর অনুপস্থিতিতে লাভটা তৃতীয় পক্ষের, যারা তাঁর উত্তরাধিকার নয়। কিছু লোক আছে, যারা কিছু সন্দেহজনক চুক্তিপত্র সইয়ের মাধ্যমে তাঁর মৃত্যুর পরও লাভবান হচ্ছে, এমনকি তাঁর ওপর ভর করে জীবিকা নির্বাহ করছে।ফের্নান্দো বার্লান্দো, ম্যারাডোনার মেয়ে দালমা ও জিয়ান্নিনার পক্ষের আইনজীবীবার্লান্দোর দাবি, পরিকল্পনা করে ছিয়াশির বিশ্বকাপ কিংবদন্তিকে মেরে ফেলা হয়েছে। চিকিৎসাজনিত অবহেলা তাঁর মৃত্যুর কারণ নয়, ‘আমি একমত, কোনো সন্দেহ নেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা আর্জেন্টাইন অভিনেত্রী ও সঞ্চালক মিরথা লেগ্রান্দ আইনজীবী বার্লান্দোর কাছে জানতে চান, ম্যারাডোনাকে মৃত্যুমুখে পতিত করা হয়েছে, নাকি হত্যা করা হয়েছে?’ বার্লান্দোর উত্তর, ‘ম্যারাডোনার মানসিক ও শারীরিক চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা আটজন ইচ্ছাপ্রসূত হত্যার দায়ে জড়িত। কেউ যখন সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়, এ ক্ষেত্রে যেটা মৃত্যু এবং তাদের আচরণে মনে হয় কিছুই হয়নি, তখন এটা হত্যা।’
ম্যারাডোনার দুই মেয়ে দালমা ও জিয়ানিন্নার পক্ষের আইনজীবী ফের্নান্দো বার্লান্দো