নিখোঁজের একদিন পর বাড়ির পাশের ভাড়াটিয়া দেখালেন বাইজিদের লাশ কোথায় ফেলেছেন
Published: 26th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দাপা এলাকায় নিখোঁজের একদিন পর বাইজিদ আকন্দ (৯) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে ফতুল্লা রেলস্টেশন সংলগ্ন একটি ইটভাটার পাশ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা থানার ওসি শরিফুল ইসলাম।
পুলিশের ধারণা, পূর্ব শত্রুতা বা টাকা-পয়সার লেনদেনের জেরে শিশুটিকে হত্যা করেছে ফেরদৌস আলী নামে এক ব্যক্তি। পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত বায়েজিদের বাবা সাইফুল ইসলাম আপন বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় বাইজিদ নিখোঁজ হয়। এরপর আমি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায় এবং ফতুল্লা একটি সাধারণ ডায়েরি করি।
পুলিশ জানায়, সাইফুলের বাড়ির পাশের ভাড়াটিয়া ফেরদৌস আলীর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ফেরদৌস স্বীকার করে শিশুটিকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ রেললাইন সংলগ্ন ইটভাটার পাশে একটি নির্জন স্থানে ফেলে দেয় সে। পরে তার দেখানো মতো পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে বাইজিদের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানার ওসি শরিফুল ইসলাম জানান, কী কারনে শিশুটিকে হত্যা করা হলো সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের ধারণা, আর্থিক লেনদেন অথবা পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিশোধ নিতেই ফেরদৌস আলী শিশুটাকে হত্যা করেছে। নিহত শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব ইজ দ মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
আ’লীগ নেতাদের নিয়ে ঈদ উপহার বিতরণ ইউএনওর
ধর্মপাশায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঈদ উপহার বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এ নিয়ে নানা মহলে চলছে সমালোচনা।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য পাঠানো ঈদ উপহার বিতরণ করেন ইউএনও জনি রায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোজাম্মেল হক ও সেলবরষ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক গোলাম ফরিদ খোকা। মোজাম্মেল হক পাইকুরাটি ইউপির ও গোলাম ফরিদ খোকা সেলবরষ ইউপির চেয়ারম্যান। এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিএনপি বা অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের নিয়ে শুধু এ উপহার বিতরণই নয়, উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সরকারি প্রতিটি কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকে রাখা হয়েছে সামনের সারিতে। এসব অনুষ্ঠানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা বিতর্কের সৃষ্টি করে।
ধর্মপাশা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নারীদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে ৪৫০টি শাড়ি বরাদ্দ পায় উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এসব শাড়ি আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণের আয়োজন করে প্রশাসন। ওই অনুষ্ঠানের অতিথি মঞ্চে ইউএনওর পাশাপাশি আসন গ্রহণ করেন উল্লিখিত আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা।
ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হক ও যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম রহমত বলেন, ধর্মপাশায় গত ৪ আগস্ট যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে এবং নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে তাদের প্রাধান্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসন সরকারিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে, যা দুঃখজনক। আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, যদি আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসররা এখনও প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার পায়, তাহলে জুলাই অভ্যুত্থানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ম্লান হবে।
ইউএনও জনি রায় বলেন, ওই আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের দাওয়াত করে আনা হয়নি। তারা অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে চলে আসেন।