ঢাকায় আইশার ট্রাকস কাস্টমার মিট অ্যান্ড গ্রিট
Published: 26th, February 2025 GMT
ঢাকার আলকি কনভেনশন হলে আইশার ট্রাকস কাস্টমার মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠান করেছে রানার মোটরস লিমিটেড। এ আয়োজনে শতাধিক মিডিয়াম ডিউটি সেগমেন্টের সম্মানিত কর্পোরেট গ্রাহক অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে আইশার ট্রাকের উন্নত কারিগারি দক্ষতা, সুবিধাসমূহ ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়, যা গ্রাহকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার সুযোগ তৈরি করেছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভলভো আইশার কমার্শিয়াল ভেহিকেলস লিমিটেডের (ইন্ডিয়া) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আমান অরোরা, রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, রানার গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মোজ্জাম্মেল হোসেন। এছাড়াও রানার গ্রুপ ও ভলভো আইশার কমার্শিয়াল ভেহিকেলস লিমিটেডের (ইন্ডিয়া) অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি বিশেষ হয়ে ওঠে কয়েকজন সম্মানিত গ্রাহকের হাতে নতুন আইশার ট্রাক হস্তান্তরের মাধ্যমে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে রানার মোটরস লিমিটেড আইশার ট্রাক ও গ্রাহকদের মধ্যে দৃঢ় অংশীদারত্ব তৈরি করেছে, যা সাফল্যের অন্যতম চালিকা শক্তি।
ঢাকা/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বান্দরবানে সাংগ্রাই উৎসবের সমাপ্তি
বান্দরবানের রাজার মাঠে ‘মৈতা রিলং পোয়ে’ বা মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবের মধ্য দিয়ে মারমা জনগোষ্ঠীর প্রধান ও প্রাচীনতম উৎসব সাংগ্রাইয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে।
গত ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ উৎসব চলে টানা সাত দিন। উৎসবজুড়ে ছিল বর্ণাঢ্য আয়োজন, নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সামাজিক সম্প্রীতির বহুমাত্রিক বার্তা। মারমা সম্প্রদায়ের এই ঐতিহ্যবাহী উৎসবটি শুধু আনন্দ ও উদযাপনের নয়, বরং এটি পারস্পরিক সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব ও সংস্কৃতির মিলনের এক অনন্য নিদর্শন।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবের শেষ দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। প্রধান অতিথি মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পানি ছিটিয়ে উদ্বোধন করেন।
এসময় বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
মারমা তরুণ-তরুণীরা বলেন, “মারমা জনগোষ্ঠীর প্রধান উৎসব সাংগ্রাইয়ের মাধ্যমে পুরাতন বছরের গ্লানি দূর করে নতুন বছরের আগমন উদযাপন করা হয়। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ আয়োজিত রাজার মাঠে মৈতা রিলং পোয়ে বা মৈত্রী পানি বর্ষণ যেখানে পানি ছিটিয়ে শুভেচ্ছা ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেন সবাই। সাংগ্রাই উৎসব শুধু আনন্দের নয়, বরং সামাজিক বন্ধন, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্য রক্ষার প্রতীক। উৎসবের এই আয়োজনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে পড়ে পুরো পার্বত্য অঞ্চলে।”
সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্যরা বলেন, “সাংগ্রাই উৎসবের বিভিন্ন দিনে ছিল মারমা ঐতিহ্যবাহী নৃত্য-সঙ্গীত, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, তরুণ-তরুণীদের পানি খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসবের শেষ দিন ছিল সবচেয়ে রঙিন ও প্রাণবন্ত। রাজার মাঠে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকরাও।”
ঢাকা/চাইমং/এস