Samakal:
2025-04-18@14:05:27 GMT

নীরবেই কি রিয়াদের বিদায়

Published: 26th, February 2025 GMT

নীরবেই কি রিয়াদের বিদায়

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিমের কাছে দলের চাওয়া ছিল ভালো পারফরম্যান্স। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন দু’জনই। ব্যাটিং ব্যর্থতা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে তাদের দলে থাকা। গতকাল তো ঢাকার ক্রিকেটপাড়ার আলোচনার বিষয়ই ছিল মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকের অবসর।

সংগঠকদের অনেকে বলাবলি করছিলেন, রাওয়ালপিন্ডিতে আজ প্রি-ম্যাচ সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেবেন দুই ভাইরা ভাই। যদিও বিসিবির কাছে এ রকম কোনো বার্তা নেই। মাহমুদউল্লাহ বা মুশফিক বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের কাছে নিজেদের পরিকল্পনা জানাননি।

জাতীয় দলের ম্যানেজমেন্টকেও নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছু বলেননি দুই সিনিয়র ক্রিকেটার। সেদিক থেকে ধরে নিতে পারেন– মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকের অবসর ঘোষণার আলোচনা ক্রিকেটানুরাগীদের চাওয়া।

বৈশ্বিক ক্রিকেটে মাহমুদউল্লাহ ভালোই খেলেন। ২০১৫ ও ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি আছে তাঁর। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে তোলায় বড় ভূমিকা রেখেছেন। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলে রান করতে পারেননি। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে রান পেলে মাহমুদউল্লাহর পক্ষে বলার লোকের অভাব হবে না। যদিও বয়স বিবেচনায় মিডল অর্ডার এ ব্যাটারকে জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রাখতে চায় না বিসিবি।

মাহমুদউল্লার মতো মুশফিকের ওয়ানডে ক্যারিয়ারও শেষ দেখছেন অনেকে। জাতীয় দলের এ দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘টুর্নামেন্ট চলাকালে তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইনি। তারাও কিছু বলেনি। বাইরের আলোচনা থেকে তো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। তারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে দেশে ফিরুক। সময় সুযোগ বুঝে কথা বলা যাবে। নির্বাচক প্যানেল, কোচিং প্যানেল এবং যাদের নিয়ে কথা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে বাকি সিদ্ধান্ত। মে-জুনে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হবে। তার আগে কথা বলার সুযোগ আছে।’

চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে জাতীয় দল নির্বাচক প্যানেল বিশ্বকাপকেন্দ্রিক পরিকল্পনা হাতে নিতে চায়। ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের দল গোছানোর কাজে হাত দিতে চায় পরবর্তী দ্বিপক্ষীয় সিরিজ থেকে। একজন নির্বাচকের মতে, ‘কোনো সন্দেহ নেই, ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা হবে। কোন কোন পজিশনে খেলোয়াড় নিতে হবে, সেটা নিয়ে কাজ শুরু হয়ে গেছে। ব্যাটিং, বোলিং প্রতিটি পজিশনে একাধিক বিকল্প খোঁজা হচ্ছে। সবাই যাতে পারফরম্যান্স করার চাপ ফিল করে, সে পরিবেশ তৈরি করা না গেলে ভালো করা কঠিন।’

মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকরা ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার কথা চিন্তাও করেন না। এ দুই ব্যাটারই ভালো করে জানেন, আইসিসির শেষ টুর্নামেন্ট খেলছেন তারা। সরব না নীরবে অবসর ঘোষণা করবেন, সে সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে।

জাতীয় দল-সংশ্লিষ্ট একজন বলেন, ‘তারা ভালো খেলতে না পেরে চুপ হয়ে আছে। অবসর নিয়ে কোনো কিছু বলছে না। নীরবেই হয়তো ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা। সেটা না করলে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।’

মাশরাফি বিন মুর্তজাও জাতীয় দল থেকে অবসর নেননি। সে তুলনায় মাহমুদউল্লাহ বিসিবিকে স্বস্তি দিয়েছেন টেস্ট ও টি২০ ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে। হতে পারে দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে এ বছর জুলাই-আগস্টের সিরিজে বিদায় বলে দেবেন। এ কারণেই হয়তো বিশেষ ব্যবস্থায় মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকের জন্য বিদায়ী সিরিজ আয়োজন করা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ত য় দল

এছাড়াও পড়ুন:

অভিনয়কে বিদায় জানালেন সোহেল রানা,করবেন না সক্রিয় রাজনীতি

চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেতা ও প্রযোজক সোহেল রানা। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।  চলচ্চিত্রের পাশাপাশি রাজনীতির মাঠেও পাওয়া গেছে তাকে। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনয়কে বিদায় বলে দিলেন এই বরেণ্য চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব। জানালেন রাজনৈতিক কর্মকান্ডেও আর দেখা যাবে না তাকে। 

এ প্রসঙ্গে সোহেল রানা বলেন ‘১৯৭৩ সালে অভিনেতা হিসেবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। সেই হিসাবে প্রায় ৫২ বছর হয়ে গেছে। চলতে চলতে তো একসময় শেষ হতেই হয়। অভিনয়টা এখনো বুকের মধ্যে লালন করলেও প্রফেশনাল অভিনয়ে আর দেখা যাবে না আমাকে। অ্যাকটিভ রাজনীতি ও প্রফেশনাল অভিনয় থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন করে আর পর্দায় দেখা যাবে না। শরীরটাও আর সাপোর্ট করছে না। 
তবে এখনো একটা সিনেমা পরিচালনা করার ইচ্ছা আছে তাঁর। মূলত বয়সের কারণেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোহেল রানা। অভিনয় থেকে অবসরের সবচেয়ে বড় কারণ বয়স। এখন তার বয়স ৭৯ বছর। 

অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানানোর সময় দেশের চলচ্চিত্রজগৎ নিয়ে নিজের আক্ষেপের কথা জানিয়ে সোহেল রানা বলেন, ‘চলচ্চিত্রজগৎ তো এখন শেষ। এখন দু-চারজন যারা করছে, তাদের সঙ্গে আমাদের প্রজন্মের মিলছে না। যেভাবে আমাদের ব্যবহার করার কথা, তেমন উপযুক্ততা তাদের নেই। বিদেশি সিনেমায় দেখি, আমাদের বয়সের শিল্পীরা দিব্যি কাজ করছেন। তাদের জন্য আলাদাভাবে চরিত্র ও গল্প লেখা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে সে রকম কিছু হচ্ছে না। আমাদের এখানে শিল্পীদের বয়স হয়ে গেলে শুধু বাবা-মা, চাচাদের ক্যারেক্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পারফর্ম করার সুযোগ থাকলে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু তা না হলে তো অভিনয়ের কোনো মানে হয় না। আমি সেই জায়গায় থেকেই চলে যেতে চাই। মানুষ আমাকে ভালোবাসে, সম্মান করে। মানুষের এই ভালোবাসা নিয়ে আমি সরে যেতে চাচ্ছি।’

বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’-এর প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্রজগতে প্রবেশ করেন মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। সিনেমাটি ১৯৭২ সালে মুক্তি পায়। সোহেল রানার অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ এর দুই বছর পর ১৯৭৪ সালে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত চরিত্র মাসুদ রানা হিসেবে। 
‘মাসুদ রানা’  সিনেমাটা পরিচালনাও করেছিলেন তিনি। এরপর হয়ে ওঠেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক। তাকে সর্বশেষ দেখা গেছে তানভীর হোসেনের ‘মধ্যবিত্ত’ সিনেমায়। যদিও এক দশক ধরে সিনেমায় অনেকটা অনিয়মিত তিনি। 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাজিল, রিয়াল মাদ্রিদ, আনচেলত্তি ও ক্লপ—কে কার
  • অভিনয়কে বিদায় সোহেল রানার, করবেন না সক্রিয় রাজনীতি
  • অভিনয়কে বিদায় জানালেন সোহেল রানা,করবেন না সক্রিয় রাজনীতি
  • অভিনয়-রাজনীতি থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি: সোহেল রানা
  • কেমন খেললেন ভিনি-এমবাপ্পেরা, দেখুন রেটিংসহ বিশ্লেষণ
  • এবার জিমন্যাস্টিকসে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী!
  • ঘরের মাঠে অবসর নেওয়াই বড় ইচ্ছা: সাকিব
  • অবসরে হলে গিয়ে সিনেমা দেখলেন ক্রিকেটার নাফিস ইকবাল-মিরাজরা
  • অবসরে সিনেমা হলে ক্রিকেটার নাফিস ইকবাল-মিরাজরা
  • ‘শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালে উঠার আনন্দটাই বড়’