আমার নাম করে জঘন্য গসিপের খেলা চলছে: প্রীতি জিনতা
Published: 26th, February 2025 GMT
প্রীতি জিনতার অভিনয় ক্যরিয়ার নিয়ে এখন আর তেমন কোনো আলোচনা শোনা যায় না। বছরের যেটুকু সময় তাঁকে ঘিরে আলোচনা চলে, তার পুরোটাই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট দল পাঞ্জাব কিংসকে নিয়ে। কারণ, এ দলের মালিক পক্ষে অন্যতম একজন প্রীতি। এবার অভিনয় ও ক্রিকেট কোনোটাই নয়, প্রীতিকে ঘিরে জোর আলোচনা ব্যাংক ঋণ নিয়ে।
ক’দিন ধরে শোনা যাচ্ছে, নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাংক প্রীতি জিনতার ১৮ কোটি টাকার ঋণ মওকুফ করেছেন এবং এর নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি। ‘কংগ্রেস কেরালা’ নামে এক এক্স হ্যান্ডেল অ্যাকাউন্ট থেকে এমন বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছে।
বলিউড এই তারকার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাতা নিয়ন্ত্রণ করার ভার বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছেন, আর তার জন্যই নাকি এই বিপুল পরিমাণ টাকা পেয়েছেন।
এ খবরের পাশাপাশি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে, কংগ্রেস কেরালা সোমবার এক্স-এ লিখেছে, ‘প্রীতি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো বিজেপিকে হস্তান্তরিত করেছেন। পরিবর্তে বিজেপি প্রীতির ১৮ কোটির ঋণ মওকুফ করে দিয়েছে। আর গত সপ্তাহে সেই ব্যাংকটিই দেউলিয়া হয়ে গেছে। আমানতকারীরা তাদের টাকা ফিরে পেতে রাস্তায় নেমেছেন।’
এমনই খবর যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে, তখন বাধ্য হয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী। এ খবরকে সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে দাবি করেছেন তিনি। শুরুতেই প্রীতি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সমস্ত অ্যাকাউন্ট সামলান।
পাশাপাশি চাছাছোলা ভাষায় আরও লেখেন ‘এই ভুয়া খবর রটানোর জন্য লজ্জা হওয়া উচিত। আমি হতবাক যে, একটা রাজনৈতিক দল বা তাদের প্রতিনিধি এ ধরনের ভুয়া খবর প্রচার করছে। আর আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে জঘন্য গসিপ এবং ক্লিকবেটের খেলা চলছে। এবার সবাইকে জানাই যে, একটা ঋণ আমি নিয়েছিলাম, সেটা শোধও আমি করেছি, সেটাও ১০ বছর আগের ঘটনা। আশা করি, এবার বিষয়টা পরিষ্কার হবে এবং ভবিষ্যতে যেন আর কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প র ত জ নত
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির একটি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে করা মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে লোহাগাড়া উপজেলার কুন্দশী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করার কথা আছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম পাপন সিকদার (৩৮)। তিনি ওই মামলার ৬৭ নম্বর আসামি ও একই উপজেলার বাসিন্দা।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে লোহাগড়া থানায় মামলাটি করেন ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা এলাকার রবিউল ইসলাম শেখ। তিনি নিজেকে ওই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। ওই মামলায় একই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান সিহানুক রহমানসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে লোহাগড়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার পরপরই এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহারে বাদী রবিউল অভিযোগ করেন, ১৩ এপ্রিল ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা হাটে বিএনপির একটি স্থানীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য তহবিল ও জনমত গড়ার বিষয়ে আলাপ করছিলেন তিনিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান সিহানুকের নেতৃত্বে আসামিরা অবৈধ পিস্তল, দেশীয় অস্ত্রসহ কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে খুন ও জখমের ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বের করে দেন তাঁরা। এরপর সেখানে ৮-১০টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় তাঁরা ‘দুই-একটি বিএনপি ধর, ধরে ধরে জবাই কর’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, বিএনপির ওই দলীয় কার্যালয়ের কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।