দুর্ঘটনার পর বন্ধু মানেকে পেনাল্টি উপহার রোনালদোর
Published: 26th, February 2025 GMT
মঙ্গলবারের (২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) সৌদি প্রো লিগে আল ওয়েহদার বিপক্ষে আল নাসরের ম্যাচটাকে নিয়ে বহু ভাবেই লিখা যায়। নির্ধারিত সময়ের ১ ঘন্টা পরে শুরু হলো ম্যাচটি। কারণ মক্কায় অতিথী দল আল নাসরের বাস যে দুর্ঘটনার শিকার হয়। বল মাঠে গড়ালে আগের দুই ম্যাচে জয় বঞ্চিত আল নাসর তাদের মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোলে এগিয়ে যায়। পরে সাদিও মানে আরেকটি গোল করেন ম্যাচের অতিম মুহুর্তে।
এই দুই তারকার গোলে সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে আল ওয়েহদার বিপক্ষে আল নাসর ২-০ ব্যবধানে জয় লাভ করে। তবে রোনালদো এই ম্যাচে দারুণ এক উদারতার নিদর্শন স্থাপন করেন ম্যাচের অন্তিম মূহুর্তে। এই পর্তুগিজ মহাতারকা নিজের আদায় করা পেনাল্টিটা ছেড়ে দেন সতীর্থ সাদিও মানেকে। স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি সেনেগালিস তারকা।
মক্কার কিং আবদুল আজিজ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়। তবে রোনালদো-মানে-পিওলিরা দুর্ঘটনার শিকার হওয়ায় মাঠে যথা সময়ে পৌঁছাতে পারেননি। তাই রাত ১১টায় বল মাঠে গড়ায়।
আরো পড়ুন:
মিশরকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন সেনেগাল, সালাহকে মানের সান্ত্বনা
ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে সোচ্চার মুসলিম ফুটবলাররা
ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর ৪৮ মিনিটে আবদুলরহমান ঘারিবের ক্রসে ছুটে গিয়ে দার্শনীয় এক হেডে দলের প্রথম গোলটি করেন রোনালদো। এই গোলের ফলে ৫ বারের ব্যালন ডি-অর জয়ী তারকা ‘১০০০’ গোলের দিকে আরও এক পা এগিয়ে গেলেন। এটি ছিল পর্তুগিজ তারকার ক্যারিয়ারের ৯২৫তম গোল। এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আল নাস্রের হয়ে রোনালদোর মোট গোল এখন ২৫টি।
এরপর যোগকরা সময়ের অষতম মিনিটে রোনালদোর ফ্রি-কিক ডি বক্সে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের হাতে লাগলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। আল নাসরের হয়ে পর্তুগিজ তারকা নিজেই পেনাল্টি নিয়ে থাকেন। তবে এই মহাতারকা গতরাতে সুযোগ দিলে সতীর্থ মানেকে। সএই ম্যাচের আগে টানা ৯ ম্যাচ গোল খরায় ছিল সেনেগালিস তারকা।
সৌদি প্রো লিগে লিগে ২১ ম্যাচে ১৭ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে আছেন ৪০ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ১৮ ম্যাচে ১৬ গোল নিয়ে দুইয়ে আছেন তারই সাবেক সতীর্থ কারিম বেনজেমা।
আল নাসর লিগে ২২ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে। সমান ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আল হিলাল। এক ম্যাচ কম খেলা আল ইত্তিহাদ ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আল ন স
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদ ঘিরে কাপড়ের ব্যবসায় মন্দাভাব
আশানুরূপ বেচাকেনা হয়নি নবীগঞ্জের কাপড়ের বাজারে। ঈদ ঘিরে ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা। বিশেষ করে থান কাপড় ব্যবসায় মন্দাভাব। মাত্র দিন দু’এক পরেই ঈদ। তাতে নবীগঞ্জের বিভিন্ন বিপণিবিতানে পোশাক ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বাড়লেও বেচাকেনা সেভাবে হচ্ছে না।
ব্যবসায়ীরা জানান, রোজার আগে থেকে প্রস্তুতি ছিল থান কাপড় ও থ্রিপিস ব্যবসায়ীদের। এবারের ঈদে থান কাপড়ের দোকানগুলোর বেশির ভাগই ক্রেতাশূন্য। ফলে ক্রেতার অপেক্ষায় অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে কাপড়ের দোকানগুলোতে নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কাপড় দেখে, দরদাম করলেও দামে মিলছে না অধিকাংশের। এতে আশানুরূপ কেনাবেচা হচ্ছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
নবীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, এ বছর ঈদকে সামনে রেখে অন্যবারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি কাপড় দোকানে তুলেছেন তারা। বিশেষ করে থান কাপড়ের ব্যবসায়ীরা রমজানের আগেই বেশি করে কাপড় কিনেছেন। কারণ, অন্যান্য কাপড়ের তুলনায় থান কাপড় আগে বিক্রি হয়। কিন্তু এবার বাজারে ক্রেতা কম। ১ রমজান থেকে ২০ রমজান এই সময়টায় বেশি কাপড় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও ২৭ রমজান চলে গেলেও এবার প্রত্যাশিত বিক্রি হচ্ছে না। সন্তোষজনক কেনাবেচা না হওয়ায় হতাশ কাপড় ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতারা জানান, ঈদের বাজারে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির চাপ এখনও বিদ্যমান। সাধারণ মানুষ অর্থসংকটে রয়েছেন। এ ছাড়া থান কাপড় কিনে পোশাক তৈরিতে সময় ও সেলাই খরচ বেশি হয়।
পশ্চিমবাজার এলাকার একটি শপিংমলের কর্মচারী আলাউর রহমান বলেন, সব জিনিসের দাম বেড়েছে। ক্রেতার বাজেট তো আর বাড়েনি। এ কারণে কেনাবেচা কম হচ্ছে। বাড়তি দাম দিয়ে থান কাপড় কিনতে হয়। গত রমজান থেকে এবার দেশি কাপড়ে গজপ্রতি প্রায় ১০ টাকা ও বিদেশি কাপড়ে ৪০ টাকা বেড়েছে। সব খরচ মিলিয়ে ব্যবসায়ীদের পোশাকের দাম বাড়াতে হচ্ছে।
শহরের মধ্যে থান কাপড়সহ অন্য কাপড়ের ছোট ও মাঝারি দুটি দোকান আছে কাওসার আহমদের। তিনি জানান, প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্রেতা পাচ্ছেন না। সব মিলিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় আছেন। এভাবে চললে চাপের মুখে রয়ে যাবেন।
নবীগঞ্জ বাজার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক হাফেজ শোয়েব আহমদ চৌধুরী জানান, বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন কেনাবেচা আশানুরূপ হচ্ছে না। তারা আশাবাদী, শেষ পর্যন্ত কেনাবেচা ভালো হবে।