কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বালিরদিয়াড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার ২১ দিন পার হলেও পুলিশ অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি। এতে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বালিরদিয়াড় গ্রামের আহাদ মোল্লার ছেলে হৃদয় হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ওই স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও বিরক্ত করে আসছিল। গত ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে হৃদয়সহ তার ৩-৪ জন বন্ধু অপহরণ করে নিয়ে যায়।

দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

নাজমুল হুদা বলেন, ‘‘এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে তার মা বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’’

ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দুজনকে অপহরণের পর ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

কক্সবাজারের টেকনাফের জাহাজপুরা এলাকার দুই বাসিন্দাকে অপহরণের পর ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুজনের পরিবারের সদস্যদের কাছে মুঠোফোনে অপহরণকারীরা মুক্তিপণ দাবি করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

অপহৃত দুজন হলে—জাহাজপুরা এলাকার আবছার আহমদের ছেলে আহমদ উল্লাহ (৪৮) ও আবদুস সালামের ছেলে জসিম উদ্দিন (১৮)। গতকাল সকালে স্থানীয় পাহাড়ি এলাকায় গরু চরাতে গেলে অস্ত্রের মুখে দুজনকে অপহরণ করা হয় হয় বলে জানা গেছে।

অপহৃতদের পরিবারের সদস্যদের বরাতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে দুজনকে অপহরণ করে পাহাড়ের গহিনে নিয়ে গেছেন। স্থানীয় অনেক বাসিন্দা সেটি দেখেছেন। গতকাল রাত ১০টার দিকে দুজনের পরিবারের কাছে মুঠোফোনে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অপহৃত আহমদ উল্লাহর জন্য ২০ লাখ টাকা এবং জসিমের জন্য ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছেন অপহরণকারীরা। মুক্তিপণের টাকা না দিলে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, এ ধরনের অপহরণের ঘটনা টেকনাফে প্রায়ই ঘটছে। অস্ত্রের মুখে মানুষকে জিম্মি করে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করে আসছে একটি চক্র। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীদের ধরতে পাহাড়ে অভিযান পরিচালনার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারাও দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছেন।

জানতে চাইলে স্থানীয় বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক শুভ রঞ্জন শাহ প্রথম আলোকে বলেন, অপহরণের বিষয়ে ভুক্তভোগীদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পাহাড়ি এলাকাটিতে অভিযান চলছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, গত ১৪ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২২৬ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। একই সময়ে পার্শ্ববর্তী উখিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৮৭ জনকে অপহরণ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজীপুর আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই আসামি অপহরণ 
  • নারায়ণগঞ্জে অপহরণের পর শিশুকে হত্যা
  • দুজনকে অপহরণের পর ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
  • চটপটি খাওয়ার কথা বলে শিশুকে অপহরণ, এক দিন পর লাশ উদ্ধার
  • টেকনাফে পাহাড় থেকে দুজনকে অপহরণ
  • ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করায় ৪ জন গ্রেপ্তার