শহীদ নুর আলমের স্ত্রীকে চাকরি দিল কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
Published: 26th, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চলাকালে গত বছরের ২০ জুলাই ঢাকায় পুলিশের গুলিতে শহীদ হন নুর আলম। এর দুই মাস পরে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তার স্ত্রী খাদিজা বেগম।
স্বামীর মৃত্যুর পর নুর আলমের অসহায় স্ত্রী স্বামীর বাড়িতে আশ্রয়টুকুও হারান। সদ্য ভূমিষ্ট সন্তানকে নিয়ে দু’চোখে অন্ধকার দেখতে পান খাদিজা। এ অবস্থায় তার সাহায্যে এগিয়ে এসেছে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। খাদিজা অষ্টম শ্রেণি পাস করায় তাকে অস্থায়ী ভিত্তিতে মেয়েদের হোস্টেলে কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন উপাচার্য ড.
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের কাচিচর মুন্সিপাড়া এলাকায় কৃষক বাবার বাড়িতে সন্তানকে নিয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন খাদিজা বেগম। এর মধ্যে জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা, উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন ব্যক্তি তাকে কিছুটা সাহায্য করেছেন। কিন্তু, খাদিজার দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তির জন্য স্থায়ীভাবে কিছু করা সম্ভব হচ্ছিল না। খাদিজার অসহায়ত্বের কথা জানতে পারেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মুহ. রাশেদুল ইসলাম। মঙ্গলবার তিনি খাদিজা বেগমকে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে আসেন এবং কাজের ব্যবস্থা করে দেন।
এ সময় কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম চর উন্নয়ন কমিটির কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সদস্য সচিব ও সাংবাদিক আশরাফুল হক রুবেল, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দেওয়ান এনামুল হক ও গোলাম মোস্তফা, ডা. বাঁধন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহ. রাশেদুল ইসলাম বলেছেন, “জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকালে গত ২০ জুলাই পুলিশের গুলিতে ঢাকায় শহীদ হন নুর আলম। তার স্ত্রীকে অস্থায়ী ভিত্তিতে মেয়েদের হোস্টেলে চাকরি দেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা/বাদশাহ্/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র আলম ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
রামগঞ্জে তথ্য উপদেষ্টার বাবার ওপর হামলার অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা আজিজুল রহমান বাচ্চুর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। রোববার মাহফুজ আলমের নিজ গ্রাম রামগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর মোল্লাবাড়িতে এ হামলা হয় বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী মঞ্জুর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজের বাবা বাচ্চু মোল্লা বাধা দেয়। এতে একটি পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে বাচ্চুর ওপর হামলা করলে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি বাড়িতে আছেন।
ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী মঞ্জু আহত বাচ্চু মোল্লার ভাতিজা। এ বিষয়ে মেহেদী মঞ্জু বলেন, ‘রাজনীতি করে কখনও কারও ক্ষতি করিনি। এরপরও পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। অসুস্থ মাকে দেখতে রোববার বিকেলে বাড়িতে আসি। খবর পেয়ে বিএনপির লোকজন বাড়িতে হামলা করে। আমি এর আগেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তখন বাচ্চু কাকা হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হন।’
ঘটনাটি জানতে আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লার মোবাইল ফোনে কল দিলে তার পরিবারের এক সদস্য কল রিসিভ করেন। তবে তিনি পরিচয় দেননি। তার ভাষ্যমতে, বাচ্চু মোল্লা এখন ভালো আছেন। বাড়িতেই রয়েছেন।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার সমকালকে বলেন, আজিজুল রহমান বাচ্চুর বাড়ির সামনে দুটি পক্ষ ঝামেলায় জড়ায়। তখন তিনি উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু একটি পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে আঘাত করে। হাতে আঘাত পেলে তাকে হাসপাতাল নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।
ওসি বলেন, ‘আমিও আজিজুল রহমান বাচ্চুকে দেখতে হাসপাতাল গিয়েছি। তাকে রোববারই বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।’