গত ছয় মাসে যেভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি কামব্যাক করেছে সেটা মিরাকল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগে দেশের অর্থনীতি এমন জায়গায় পৌঁছেছিল, সেটা যেকোনো সময় ফল করত।’

বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত ‘ডিজেএফবি টক’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, এনার্জি খাতে ডিসিপ্লিন ফিরিয়ে আনা দরকার। স্টেট স্পন্সরশিপ করে ডাকাতি হয়েছে এ খাতে। বিদ্যুৎ খাতে স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করছি। বড় বড় পাওয়ার কোম্পানির সঙ্গে কথা হচ্ছে। আমরা গ্যাসের জন্য প্রচুর পরিমাণে কূপ খনন করতে চাই।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়ানো হবে। এই পোর্টের দক্ষতা না বাড়লে ইনভেস্টমেন্ট বাড়বে না। রি-এক্সপোর্ট করতে গেলে চট্টগ্রামের দক্ষতা আরও বাড়াতে হবে। এজন্য বিশ্বের বড় বড় কোম্পানির সঙ্গে কথা হচ্ছে। আমরা চাই চট্টগ্রামের প্রতিটি পোর্ট উন্নয়ন করতে, তাহলে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, এনার্জি সিস্টেমে দক্ষ না হলে কেউ বিনিয়োগ করবে না। পাওয়ার সিস্টেমে ডাকাতির বন্দোবস্ত করা হয়েছে। দেশে বিনিয়োগ দরকার, সেটা করা হয়নি। রেভিনিউ সিস্টেম করছেন তা ভালো ছিল না। হাতে টাকা নাই, যা তা খরচ করেছে বিগত সরকার। ৫৬০টা মডেল মসজিদ বেশি ব্যয়ে করা হয়েছে, যা আরও কম টাকায় করা যেত। এমনভাবে রেললাইন টানা হয়েছে সারা দিনে রেল চলে না। এটা জনগণের টাকার অপচয় করা ছাড়া কিছু নয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত-পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরতে বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনার মধ্যে দেশ দুটিকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ নিয়ে ‘খুবই উদ্বিগ’ বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আন্তোনিও গুতেরেসের এ বার্তা সাংবাদিকদের জানান। খবর আল-জাজিরার

স্টিফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘খুবই উদ্বিগ্ন’। সার্বিক পরিস্থিতিতে ‘খুব নিবিড়ভাবে নজর’ রাখছেন তিনি।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ভারত ও পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, সাম্প্রতিক পাল্টাপাল্টি বেশ কিছু পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপের দিকে না যায় এ জন্য দেশ দুটিকে সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ করছেন তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যেকোনো সমস্যা অর্থবহ আলোচনা ও পারস্পরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি এবং এটাই হওয়া উচিত।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ