ফাইল ছবি: রয়টার্স

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে গেমিং শিল্পের বাজার

বর্তমানে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে বিশ্ব গেমিং শিল্পের বাজার; যা সমন্বিতভাবে মিউজিক ও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকেও বেশি। বিশ্বখ্যাত ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট এবং বাংলাদেশ ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি ফোরাম (বিআইপিএফ)-এর যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘বাংলাদেশে গেমিং ইন্ডাস্ট্রির সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানান বক্তারা। 


আলোচনায় সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, শিল্পখাত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গেমিং কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের গেমিং ইন্ডাস্ট্রির বিকাশ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এর ভূমিকা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উদ্ভাবন বিষয়ে আলোচনা হয়। বক্তারা উল্লেখ করেন, এশিয়া-প্যাসিফিক  অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি করছে। এই খাতের বিকাশ দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে এবং জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম।


টেনসেন্টের আঞ্চলিক হেড অব পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ইয়ে লার লাউ গেমিং ইন্ডাস্ট্রির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘গেমিং নিছক বিনোদন নয়; এটি একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক খাত; যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং বৈশ্বিক সংযোগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের তরুণ, প্রযুক্তিসচেতন জনগোষ্ঠী ও দ্রুত উন্নয়নশীল ডিজিটাল অবকাঠামো গেমিং ইন্ডাস্ট্রির বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রস্তুত। বাংলাদেশের গেমিং ও ডিজিটাল খাতের উন্নয়নে টেনসেন্ট বিভিন্ন অংশীদারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী, যা দেশের অর্থনীতি ও সমাজের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে আমার বিশ্বাস।’


বাংলাদেশ ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এ বি এম হামিদুল মিসবাহ জানান, ‘বাংলাদেশের গেমিং ইন্ডাস্ট্রি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে। সঠিক নীতি, বিনিয়োগ এবং সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এর সম্পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারি। এই সেমিনার টেকসই গেমিং ইকোসিস্টেম তৈরিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা অর্থনৈতিক বিকাশের পাশাপাশি দেশের তরুণদের গেম ডেভেলপমেন্ট, ই-স্পোর্টস এবং সংশ্লিষ্ট খাতে নতুন দক্ষতা অর্জন ও ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ করে দেবে।


সেমিনারে গেমিং এবং ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়, যার মধ্যে ছিল বাংলাদেশের গেমিং ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থা, ই-স্পোর্টসের ভূমিকা, সহায়ক নীতিমালার গুরুত্ব এবং প্রযুক্তি ও মানবসম্পদে বিনিয়োগের গুরুত্ব। সরকার, গেমিং স্টার্টআপ, ই-স্পোর্টস টিম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও টেলিকম খাতের প্রতিনিধিরা গেমিং ইন্ডাস্ট্রির সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।


অনুষ্ঠানে গেমিং কমিউনিটির ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি সাংবাদিক ও উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ