আমেরিকান বহুজাতিক কফিহাউস স্টারবাকস করপোরেশন ১ হাজার ১০০ করপোরেট কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কয়েক শ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বন্ধ করার পরিকল্পনারও কথা জানিয়েছে। গত সোমবার প্রতিষ্ঠানটি এই ঘোষণা দেয়। এই পরিকল্পনা কার্যকর হলে এটি হবে কোম্পানিটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা।

স্টারবাকসের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ব্রায়ান নিকল কর্মীদের কাছে এক চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হলো আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করা, জবাবদিহি বৃদ্ধি করা, জটিলতা কমানো এবং আরও ভালো সমন্বয়।’

প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৬ হাজার করপোরেট কর্মী আছে। এর মধ্যে ১০ হাজার কর্মী আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়্যারহাউস, রোস্টিং ও স্টোরের কর্মীরা এই ছাঁটাইয়ের অন্তর্ভুক্ত নন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিইও-এর করপোরেট পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নিকোল প্রথম কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা উল্লেখ করেছিলেন।

গত জানুয়ারিতে কর্মীদের কাছে লেখা একটি চিঠিতে নিকোল লিখেছিলেন, মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ছাঁটাই ঘোষণা করা হবে। সিইও লিখেছিলেন, ‘আমাদের আকার এবং কাঠামো ধীর করে দিতে পারে। অনেক স্তর, ছোট দলের পরিচালক এবং প্রাথমিকভাবে কাজের সমন্বয়ের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে।’

নিকোল আরও বলেন, স্টোর পরিষেবার সময় আরও বাড়াতে তিনি পরিবর্তনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। স্টারবাকসের মেনু থেকে আইটেম কমানো হচ্ছে এবং নতুন অর্ডারিং অ্যালগরিদম নিয়ে পরীক্ষা চলছে।

স্টারবাকস ওয়ার্কার্স ইউনাইটেডের প্রতিনিধিত্বকারী কর্মীরা ১০ হাজার ৫০০-এর বেশি কর্মী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৫০০টির বেশি স্টোরে সফলভাবে ইউনিয়ন করার প নিকোল স্টোরগুলোকে একত্র করার জন্য কোম্পানির পদ্ধতির পরিবর্তনের তদারকি করেছেন।
২০২১ সালের শেষের দিকে প্রথম স্টোরটি তার ইউনিয়ন নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর থেকে ইউনিয়নটি কোম্পানিতে প্রথম ইউনিয়ন চুক্তির জন্য লড়াই করছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউন য ন করপ র

এছাড়াও পড়ুন:

নামতে নামতে আর কত নিচে নামবেন ধোনি

নূর আহমেদ ও খলিল আহমেদের কপালটা খারাপ। এই সুযোগ আর পাবেন নাকি! মহেন্দ্র সিং ধোনি ব্যাটিংয়ে আরেকটু পরে নামলেই তো গল্প করার সুযোগ পেতেন। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বলতে পারতেন—এক ম্যাচে ধোনির আগে ব্যাটিং করেছিলাম। বিশ্বাস না হলে স্কোরকার্ডটাও দেখিয়ে দিতেন। তখন বিশ্বাস না করে উপায় কী!

শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে এই ‘অবিশ্বাস্য কীর্তি’ তাদের গড়তে দেননি ধোনি। নিজেই নেমে যান ৯ নম্বরে। ব্যাটিংটা যে এখনো পারেন, সেটির প্রমাণও রেখেছেন ২০তম ওভারে দুই ছক্কা মেরে। অবশ্য এই রান শুধু তাঁর কাজেই এসেছে। এই ইনিংসের সৌজন্যে আইপিএলে চেন্নাইয়ের সর্বোচ্চ রানের (৪৬৯৯) মালিক হয়েছেন ধোনি। ছাড়িয়ে গেছেন মি. আইপিএলখ্যাত সুরেশ রায়নার ৪৬৮৭ রান।

এই রেকর্ডে চেন্নাই–সমর্থকদের আক্ষেপ আরও বাড়ার কথা। ব্যাট হাতে চেন্নাইয়ের সর্বোচ্চ রান করা ক্রিকেটার কেন ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে আসবেন? কাল ধোনি যখন উইকেটে আসেন তখন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ২৮ বলে ৯৮। মানে খেলা তখন শেষ! ধোনি তখন কী করবেন!

কাল ১৬ বলে ৩০ রান করেছেন ধোনি

সম্পর্কিত নিবন্ধ