দুই গোলে এগিয়ে থেকেও বার্সার ড্র
Published: 26th, February 2025 GMT
বার্সালোনার বিপক্ষে মাদ্রিদের যে কোন দলের লড়াই মানেই মহারণ। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) কোপা দেল রে’র ম্যাচে আরও একবার সেই ধরনের উত্তাপ ছড়াল স্পেনের এই দুই শহরের লড়াই। যেখানে রোলার কোস্টারের মতো এক বার এই দল উপরে তো আরেক বার নিচে। মাঠের দর্শকরা নড়েচড়ে বসার আগেই বার্সালোনার জালে দুইবার বল জড়িয়ে দেয় অ্যাটলেতিকো মাদ্রিদ। খাদের কিনারা থেকে লড়াই করে কাতালান জায়ান্টরা কেবল সমতাতে ফিরেনি, এগিয়ে গেল দুই গোলের ব্যবধানে!
এরপর ম্যাচের ৮২ মিনিট পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা বার্সাকে স্তব্ধ করে দিয়ে ৪-৪ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে অ্যাটলেতিকো। কোপা দেল রে’র সেমিফাইনালের প্রথম লেগের রোমাঞ্চের পর অবশ্য দুই ধরনের অনুভূতি দুই কোচের।
বার্সালোনার অলেম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই সদরকারীদের এগিয়ে দেন আর্জেন্টাইন তারকা হুলিয়ান আলভারেজ। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফরাসি সুপারস্টার আঁতোয়া গ্রিজমান।
আরো পড়ুন:
দিস ইজ নট ফুটবল, দিস ইজ লা লিগা!
দশ জনের দল নিয়েও বার্সার বড় জয়
এমন পরিস্থিতি থেকেও ম্যাচের লাগাম বার্সেলোনা নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়। দুই গোল হজম করার ১৩ মিনিটের মাথায় পেদ্রি গোল করে ব্যবধান কমান। ২১ মিনিটে পাও কুবারসি গোল সমাত ফিরে বার্সা। এমনকি বিরতির আগেই এগিয়ে যায় কাতালান জায়ান্টরা। ম্যাচের ৪১তম মিনিটে কর্নার থেকে ইনিয়াগো মার্তিনেজের হেড লিড এনে দেয় স্বাগতিকদের।
দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনা খেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে লামিন ইয়ামাল দুর্দান্ত একক নৈপুন্যে অ্যাটলেতিকোর কয়েকজনকে ফাঁকি দিয়ে বল পাঠান রবার্ট লেভানডফস্কির কাছে। ট্যাপ-ইন করতে ভূল করেননি এই পোলিশ স্ট্রাইকার। তাতে ব্যবধান ৪-২ করে ফেলে বার্সা।
এরপরের গল্পটা অ্যাটলেতিকোর। ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে মার্কোস ইয়োরেন্তে গোল করে ব্যবধান কমান। তবে তখনও এক গোলে পিছিয়ে আছে দিয়াগো সিমিওনের দল। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে আলেকজান্ডার সোরলোথে এক দুর্দান্ত কাউন্টার-অ্যাটাকে গোল করে সফরকারীদের সমতায় ফেরায়।
এমন এক দারুণ প্রত্যাবর্তন করে ম্যাচ ড্র করার পেছনে দলের খেলোয়াড়দের মূল ভূমিকা দেখছেন অ্যাটলেতিকো বস সিমিওনে, “দলগত একাত্মতা আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে। গ্লাডিয়েটরদের মতো মানসিকতা আমাদের খেলোয়াড়দের। অবিশ্বাস্য! বার্সেলোনা দলটা সাধারণ, তবে আমরাও কম নই।”
অন্যদিকে নিশ্চিত জেতা ম্যাচ হেরে বার্সার জার্মান কোচ হান্সি ফ্লিক স্বভাবিকভাবেই খুশি না, “ আমি হতাশ, কারণ শুরুতে ২ গোল হজমের পরও আমরা কী দারুণ প্রত্যাবর্তন করেছিলাম। একটা সময় ৪-২ গোলে এগিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা এত সুযোগ তৈরি করার পরও সবকিছুই বৃথা। শেষ কয়েক মিনিটে আমরাই ওদের (অ্যাটলেতিকো) ফেরার সুযোগ করে দিয়েছি।”
১৬ মার্চ দিবাগত রাতে অ্যাটলেতিকোর মাঠে ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প য ন শ ফ টবল আতল ত ক ম দ র দ ব যবধ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ভিডিও বানাতে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক, হত্যা করলেন স্বামীকে
ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রবিনার সঙ্গে সুরেশের দেড় বছর আগে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়। এরপর একসঙ্গে তাঁরা ভিডিও বানানো শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রবিনার সময় কাটানো আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রী রবিনার সঙ্গে প্রাভিনের ঝগড়া হতো। প্রাভিন সন্দেহ করতেন, সুরেশের সঙ্গে রবিনার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
গত ২৫ মার্চ প্রাভিন বাড়িতে ফিরে তাঁর সেই আশঙ্কার প্রমাণ পান। তিনি রবিনা ও সুরেশকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। এ ঘটনার পর থেকে প্রাভিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর তিন দিন পর প্রাভিনের মরদেহ পাওয়া যায় বাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায়।
ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে তিনজন ছিলেন, কিন্তু ফেরার সময় তাঁদের মধ্যে একজন অনুপস্থিত। এরপর পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিনা ও সুরেশ হত্যাকাণ্ডে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন।
সুরেশ পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দিন রবিনা ভিডিও বানানো শেষে ভিওয়ানির প্রেমনগরে প্রাভিনের বাড়িতে যান। সুরেশ সেখানে রবিনার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রাভিন বাড়িতে ফিরে অন্তরঙ্গ অবস্থায় তাঁদের দেখতে পান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর প্রাভিনকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়।
হত্যার পর সারা দিন রবিনা স্বাভাবিক আচরণ করেন। আত্মীয়রা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, প্রাভিন কোথায় তা তিনি জানেন না। এরপর রাত নামার অপেক্ষা করেন রবিনা। রাতে সুরেশ মোটরসাইকেল নিয়ে এলে তাঁরা দুজন মিলে প্রাভিনের মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুরেশ ও রবিনা মোটরসাইকেলের মাঝখানে প্রাভিনের মরদেহ বসিয়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায় ফেলে দেন। তিন দিন পর পুলিশ সেই নালা থেকে প্রাভিনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু হয়।