বইপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ই-বুক। কখনও বিনা মূল্যে আবার কখনও অল্প মূল্যে ই-বুক পাওয়া যায়। আমাদের দেশে ই-বুক সম্প্রসারণে কাজ কাজ করছে ‘বইটই’। বইটই-এর যাত্রা শুরু হয় ২০১৮ সালে। এর উদ্যোক্তা জনপ্রিয় কিবোর্ড রিদমিক ল্যাবস-এর সিইও শামীম হাসনাত। তিনি বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। এরপর নিজেকে নিয়োজিত করেছেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশে। 

যেভাবে বইটই এর যাত্রা শুরু: শামীম হাসনাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তিনি তৈরি করেন রিদমিক কিবোর্ড, যা অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপল ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়। শামীম ২০১২ সালে রিদ্মিক কিবোর্ড চালু করেন, যার বর্তমান ব্যবহারকারী সংখ্যা ১২ কোটির বেশি। ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে তিনি রিদ্মিক ল্যাবস-এর যাত্রা শুরু করেন, যেখানে নানা ধরনের অ্যাপ তৈরি করা হয়। সেই রিদমিক ল্যাবসের অন্যতম একটি প্রকল্প হলো বইটই।

কোথায় পাওয়া যায়:  বইটই অ্যাপ প্লে স্টোর ও অ্যাপল স্টোরে পাওয়া যায়। অ্যাপে লগইন করার পর পাঠকরা বিনামূল্যে পড়তে পারবেন তিন শতাধিক বই। এছাড়াও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ, নগদ, রকেট এবং ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করে বারো হাজারের বেশি ই-বই কিনতে পারবেন। এসব বইয়ের মান অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কোনো ব্যবহারকারী একবার একটি ই-বই কিনলে সারাজীবন পড়তে পারবেন। এছাড়াও, পড়ার সময় বই দাগানো, কোনো বিশেষ চরিত্র বা সংখ্যা মার্ক করা—এসব সুবিধাও পাওয়া যাবে বইটই অ্যাপে। জুম ইন বা জুম আউট করে প্রয়োজন অনুযায়ী লেখার আকার ছোট-বড় করেও পড়া যাবে।

আরো পড়ুন:

পর্যাপ্ত পানি পান করার পরেও ত্বক শুষ্ক হয় কেন?

চাকরিজীবী নারীরা ব্যাগে যা যা রাখতে পারেন

বইটই সাইটে গিয়ে যেকোনো বইয়ের শুরুর অংশ পড়া যাবে। এরপর ইচ্ছে হলে কিনতে পারবেন। দেখতে পারবেন কোন লেখকের বই সবচেয়ে বেশি পড়া হচ্ছে, কোন ক্যাটাগরিতে কোন লেখক সেরা—এসব তথ্যও জানা যাবে। পাঠকরা ই-বই পড়ে তাদের মূল্যবান মতামত দিতে পারবেন।

বইটই’র কাস্টমার অফিসার মো.

আসিফ অনিক রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সহজে ও সুলভে বই সবার হাতে পৌঁছে দেওয়া। তবে লক্ষ্যটা আরও বড়। ইচ্ছে আছে শত বা হাজার নয় বরং দেশ ও বিদেশের প্রতিটি মানুষের হাতেই বই পৌঁছে দেওয়ার।’’

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

উয়েফা, ফিফা ও লা লিগা কর্তৃপক্ষকে ধুয়ে দিলেন কুন্দে

আন্তর্জাতিক ফুটবলের ধকল কাটিয়ে না উঠতেই বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাতে ওসাসুনার বিপক্ষে ম্যাচে নামতে হয় বার্সেলোনাকে। কাতালান জায়ান্টরা ইচ্ছের বিরুদ্ধে খেলে ওসাসুনাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে। তবে ম্যাচে বার্সা মিডফিল্ডার দানি ওলমো চটে পড়েন।

এই অবস্থায় আবারও সামনে চলে আসে ফুটবলাদের সাথে খেলার সূচির সাংঘর্ষিকতার বিষয়টি। বার্সা ম্যানেজার হান্সি ফ্লিক জানালেন, খেলোয়াড় ও কোচদের কথাও মাথায় রাখা উচিৎ সবার। অন্যদিকে বার্সা ডিফেন্ডার জুল কুন্দে বলেন ফুটবলাররা যন্ত্র না।

একটা সময় ইউরোপিয়ান ফুটবল মৌসুম শেষ হওয়ার পর টানা দুই মাস বিশ্রাম নিতেন খেলোয়াড়রা। এরপর ক্লাবে যোগ দিলেও প্রাক মৌসুম কিংবা প্রদর্শনী ম্যাচে খেলার বাধ্যবাধকতা ছিল না ফুটবলারদের। তবে ধীরে-ধীরে ফুটবল এখন পৃষ্ঠপোষকরা নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই আয়োজক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা গুলোও গা ভাসাচ্ছে সেই স্রোতে। এই মৌসুম থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন ফরম্যাটে ফুটবলারদের খেলতে হচ্ছে অতিরিক্ত ম্যাচ। আছে ন্যাশনস লিগের ব্যস্ততা। এসবের সাথে যুক্ত হয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপ।

আরো পড়ুন:

জয়ের পর আনচেলত্তি জানালেন, নজর কেবল ‘তিন পয়েন্টে’

পয়েন্টে শীর্ষে বার্সা, গোলে লেভানডোফস্কি

এদিকে ওসাসুনার বিপক্ষে ম্যচটা ধরলে ২০ দিনের মাঝে বার্সেলোনা মোট ৭ বার মাঠে নাম্বে। ৬৪ ঘন্টার মাঝেই রবিবার আরেকটি লা লিগার ম্যাচ খেলতে হবে কাতালান জায়ান্টদের। এই ব্যাপারে ফ্লিক বলেন, “আমি মনে করি, আপনাকে খেলোয়াড়দের কথা শুনতে হবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গ্রীষ্মে ক্লাবের জন্য বিশ্বকাপ আছে। এটা কঠিন। ন্যাশনস লিগ, আন্তর্জাতিক বিরতি।  আমার মতে, এই বিশ্বকাপটা (ক্লাব) ভাল নয়। ঠিক আছে, আপনি অনেক টাকা উপার্জন করতে পারছেন, কিন্তু খেলোয়াড়দের জন্য এটা ভাল নয়। খেলোয়াড়দের কথা ভাবতে হবে।”

বেশি খেলার ফলে খেলার মানের সাথে আপোষ করতে হয় বলে জানান জার্মান কোচ ফ্লিক, “ভক্তরা চায় যে, প্রতিটি খেলোয়াড় শতভাগ দিয়ে খেলুক। জমজম্যাট ম্যাচ দেখতে চায়। যখন ব্যাপারটা এইভাবে চলে, আমার মনে হয় খেলাটা আর ওই স্তরে থাকে না। আমরা এই পর্যায়ে (সর্বোচ্চ) খেলতে পারি না। শুধু আমরা না, যারা বিশ্বকাপে খেলবে তারা কেউই ওই পর্যায়ে খেলতে পারবে না।”

বার্সেলোনা ডিফেন্ডার কুন্দে রবিবার ফ্রান্সের হয়ে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ন্যাশনস লিগের কোয়ার্টারফাইনালে ১২০ মিনিট খেলেছিলেন। ফ্লিকের অভিযোগের সাথে একমত হয়েছেন তিনিও। কুন্দে বলেন, “আমি এই ম্যাচের তারিখের নির্বাচনের ব্যাপারে রাগান্বিত। ব্যাপারটা স্বাভাবিক নয়। সত্যি বলতে, আমি যে কাজটি করি, তার জন্য আমি ভাগ্যবান। কিন্তু বার্সা ও ওসাসুনা যারা আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের নিয়ে এই ম্যাচ খেলেছে, তাদের প্রতি অমর্যাদা ও অস্মমান প্রদর্শন করে, এই তারিখটি নির্বাচন করা হয়েছে।”

এরপর ফরাসি ডিফেন্ডার উয়েফা ও ফিফার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ফুটবলারদেরও বিশ্রাম প্রয়োজন। কুন্দে বলেন, “আমরা যন্ত্র নই যে, খেলে কেবল ভক্তরা যা চায় সেটার প্রদর্শনী করব। আমাদেরও বিশ্রাম প্রয়োজন। মূল কথা হচ্ছে, এটা খেলোয়াড়দের প্রতি অমর্যাদা প্রদর্শন করে। সকল প্রতিষ্ঠানকে এটা বোঝা উচিত। শুধু লা লিগা নয়, সবাই(উয়েফা,ফিফা)।”

কিছুটা বৈপ্লবিক সুরে কুন্দে মনে করিয়ে দিলেন যে, ফুটবলের মূল নায়ক ফুটবলাররাই, “আমরা আগে কিছু বলিনি, কারণ আমরা অজুহাত খুঁজতে চাইনি। কিন্তু এক সময় আপনার কথা শোনা উচিৎ। আমরা হচ্ছি প্রধান কুশীলব। তারা শুধু তাদের চাওয়া মতো কিছু করতে পারে না।”

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবেন খালেদা জিয়া
  • উয়েফা, ফিফা ও লা লিগা কর্তৃপক্ষকে ধুয়ে দিলেন কুন্দে
  • বনলতা সেনের সন্ধানে
  • উপন্যাসে পটভূমির সঙ্গে বোঝাপড়া প্রয়োজন
  • প্রিয় শিল্পী প্রিয় সিনেমা
  • শুটিংয়ের অন্দরে
  • একাত্তরের চেতনা বাস্তবায়নের ডাকে পালিত স্বাধীনতা দিবস
  • সিলেটের বর্ষসেরা ভলান্টিয়ার হলেন ইবি শিক্ষার্থী সজিব
  • দেশে ফের বার্ড ফ্লু শনাক্ত, প্রায় ২ হাজার মুরগির মৃত্যু
  • আবুধাবি এখন থেকে আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু