ইলন মাস্কের আইনজীবীকে ভাড়া করতে চান, জেনে নিন ঘণ্টায় গুনতে হবে কত
Published: 26th, February 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের আইনজীবী অ্যালেক্স স্পিরো। তাঁর মক্কেলদের তালিকায় রয়েছেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার সিইও ধনকুবের ইলন মাস্ক, নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামসের মতো ব্যক্তিরা। ম্যানহাটানের এ আইনজীবী ঘণ্টায় কত পারিশ্রমিক নেন, জানেন? ৩ হাজার মার্কিন ডলার, যা টাকার অঙ্কে ৩ লাখ ৬৩ হাজারের বেশি।
স্পিরো এখন ম্যানহাটানে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া আইনজীবীদের একজন। নামীদামি মক্কেল ও একের পর এক মামলা মোকাবিলা করার কারণে নিউইয়র্কে তিনি এখন পরিচিত মুখ। তাঁর আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া দুই আইনজীবীর একজন তিনি।
স্পিরো যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, সেটির নাম ‘কুইন এমানুয়েল আর্কহার্ট অ্যান্ড সুলিভান’। দেশে-বিদেশে এ প্রতিষ্ঠানের ৩৫টি শাখায় প্রায় ১ হাজার আইনজীবী কাজ করেন। সদর দপ্তর ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি আদালতে তাদের আইনজীবীদের নতুন পারিশ্রমিকের তালিকা প্রকাশ করেছে।
এ সম্পর্কে অবগত আছে, এমন একটি সূত্র বলেছে, সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেন স্পিরো ও উইলিয়াম বার্ক। বার্ক প্রতিষ্ঠানটির বৈশ্বিক সহব্যবস্থাপনা অংশীদার। তিনি ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন।
‘কুইন এমানুয়েল আর্কহার্ট অ্যান্ড সুলিভান’ তাদের আইনজীবীদের পারিশ্রমিকের তালিকা প্রকাশ করলেও এটি মাঝেমধ্যে মক্কেলভেদে তাঁদের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করে বা ছাড় দেয়। তাই নির্দিষ্ট মক্কেলদের বেলায় স্পিরো বা বার্ক কত পারিশ্রমিক নেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কুইন এমানুয়েলের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি।
যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক বছর ধরে চাহিদাসম্পন্ন আইনজীবীদের পারিশ্রমিক রকেটগতিতে বেড়েছে। সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা নিয়মিত ঘণ্টায় দুই হাজার বা এর বেশি ডলার পারিশ্রমিক নেন।
স্পিরো বেশ কয়েকটি মামলায় মাস্কের পক্ষে আদালতে লড়েছেন। এখন তিনি নিউইয়র্কের মেয়র অ্যাডামসের হয়ে আদালতে লড়ছেন। অ্যাডামসের বিরুদ্ধে তুরস্কের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
মামলা ও পারিশ্রমিকের বিষয়ে কথা বলতে রয়টার্স থেকে স্পিরোর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি সাড়া দেননি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইনজ ব দ র ন উইয়র ক র আইনজ ব সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
আদালতে মেজাজ হারালেন হাজী সেলিম
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে আদালতে শুনানি শুরুর আগে আইনজীবীর ওপর বিরক্ত হয়ে মেজাজ হারিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
এদিন সকালে হাজী সেলিমসহ অন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। ১০টা ৬ মিনিটে পুলিশি পাহারায় হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হ্যান্ডকাফ পরিয়ে হাজতখানা থেকে তাদের বের করা হয়। আদালতে তোলার পর হাজী সেলিমের হেলমেট খুলে দেয় পুলিশ। তখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি নিজের আইনজীবীর প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেন। মেজাজ হারিয়ে তিনি নানা ধরনের অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন। মাঝে-মধ্যে হাতের আঙুল দিয়ে বিভিন্ন কিছু বোঝানোর চেষ্টা করেন। পরে তাকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তখন তার আইনজীবী প্রাণ নাথ কথা বলার জন্য আদালতের অনুমতি প্রার্থনা করেন। অনুমতি পেলে আইনজীবী দুই পৃষ্ঠার প্রিন্ট করা কাগজ পড়তে দেন হাজী সেলিমকে। আইনজীবী তাকে বুঝিয়ে দেন। ১০টা ৩৮ মিনিটে ফের পুলিশি পাহারায় তাকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়া হয়।
হাজী সেলিমের আইনজীবী প্রাণ নাথ সাংবাদিকদের বলেছেন, “পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর-সংলগ্ন এলাকায় হাজী সেলিমের মালিকানাধীন মদিনা মেরিটাইমের নামে সাড়ে ১০ একর জমি আছে। এই জমি সরকার অধিগ্রহণ করে নেওয়ার খবর তাকে জানানো হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের জন্য আরো সাড়ে ১০ একর জমি কেনার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা হবে, এ তথ্যও তাকে কাগজে লিখে জানানো হয়েছে।”
হাজী সেলিম কেন বিরক্ত হলেন? এ প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী বলেন, “তিনি কারাগারে তেমন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। তিনি কথা বলতে পারেন না। এমনকি তার কথা কেউ বুঝতে পারেন না। এসব কারণে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু, আমাদের তো এখন কিছু করার নেই। যতটুকু পারছি, আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তার সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি দেখছি।”
ঢাকা/মামুন/রফিক