নতুন শিল্পে গ্যাসের দাম দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধির প্রস্তাব পেট্রোবাংলার
Published: 26th, February 2025 GMT
নতুন শিল্পে গ্যাসের দাম দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে পেট্রোবাংলা। বুধবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে বিতরণ কোম্পানিগুলোর পক্ষে পেট্রোবাংলা এই প্রস্তাব উত্থাপন করে। গণশুনানির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
পেট্রোবাংলার প্রস্তাব অনুসারে নতুন শিল্প কারখানার বয়লার ও শিল্প কারখানার জেনারেটরে (ক্যাপটিভ) সরবরাহ করা গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৩০ ও ৩১.
যদিও ব্যবসায়ীরা গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিরোধীতা করে বলছেন, বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তাব মেনে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে দেশের শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে ও দেশ আমদানি নির্ভর হয়ে পড়তে পারে।
গত রোববার সাশ্রয়ী দামে জ্বালানি ও শিল্প উৎপাদনে এর প্রভাব শীর্ষক সেমিনারে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা পণ্যের উৎপাদন খরচ অনেক বাড়িয়ে দেবে। শিল্পকারখানাগুলোকে অপ্রতিযোগিতামূলক করার পাশাপাশি বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গণশ ন ন
এছাড়াও পড়ুন:
টাঙ্গাইলে শিক্ষাসফরের বাসে ডাকাতির ঘটনায় মামলা, জড়িত সন্দেহে আটক ২
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শিক্ষাসফরের চারটি বাস আটকে ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সোয়াইতপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এ ঘটনায় জড়িত ডাকাতদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আজ বুধবার সকালে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাঁদের এখনো গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গতকাল ভোররাতে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থেকে নাটোরে শিক্ষাসফরে যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কের লক্ষণের বাধা এলাকায় চারটি বাস ডাকাতদের কবলে পড়ে। ভোররাত সোয়া চারটার দিকে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ডাকাত দল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মুঠোফোন, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করার পর পুলিশ এলে ডাকাতেরা পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, নাটোরে শিক্ষাসফর শেষে গতকাল রাতে ঘাটাইল থানায় এসে মামলা করেন সোয়াইতপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। ডাকাতেরা ১০টি মুঠোফোন ও ভুক্তভোগী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা লুট করেছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। মামলা দায়েরের সময় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান থানায় উপস্থিত ছিলেন।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঘাটাইল থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও বিভিন্ন তথ্যদাতার (সোর্স) মাধ্যমে আসামি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ঘাটাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল খান মামলাটির তদন্ত করছেন। এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ডাকাতির সময় কোনো শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেনি। কারণ, চারটি বাসের মধ্যে মেয়েদের বাসে ডাকাতেরা ওঠার সুযোগ পায়নি। তার আগেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ায় ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘাটাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল খান জানান, ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আজ সকালে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখনো তাঁদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।