গ্যাসের দাম বৃদ্ধির শুনানির বাতিলের দাবিতে ক্যাবের মানববন্ধন
Published: 26th, February 2025 GMT
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির শুনানির বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে কনজ্যুমার এসোসিয়েশন (ক্যাব)।
বুধবার সকাল ৯টায় বিয়াম ফাউন্ডেশনের সামনে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছে ভোক্তাদের সংগঠনটি। বিয়াম মিলনায়তনে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে গণশুনানির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
নতুন শিল্প কারখানার বয়লার ও শিল্প কারখানার জেনারেটরে (ক্যাপটিভ) সরবরাহ করা গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৩০ ও ৩১.
ক্যাবের পক্ষ থেকে এর আগে শুনানি বাতিল করার জন্য লিখিত আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া না পেয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এতে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিইআরসি গত ১৫ বছর শুধু মূল্যহারনির্ধারণের কাজ করেছে। বর্তমানেও এ অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। লুণ্ঠনমূলক ব্যয় ও মূল্যহার কমানোর কোনোউদ্যোগ নেয়নি বিইআরসি। এখন তারা গ্যাসের মূল্যহার বৃদ্ধিরকার্যক্রম শুরু করেছে। শেষ মুহূর্তে হলেও বিইআরসি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির শুনানি স্থগিতকরবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিদ্যমান শিল্পে এক ধরণের দর, আবার নতুন শিল্পে আরেক ধরনের দর। এ উদ্যোগজুলাই-আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের চেতনার সঙ্গেসাংঘর্ষিক। যারা দাম বাড়ানোর এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, তাদের সবার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। অন্তবর্তীকালীন সরকারের আচরণ যদি আগেরসরকারের মতো হয় তাহলে আন্দোলন শুরুতেই ব্যর্থ মনে হবে।৬ মাসে সরকারের দাম বাড়ানো, রপ্তানি শিল্পকে অস্থির করেতোলাটা অশনিসংকেত মনে হয়। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করাদরকার, এটা ক্যাব বিশ্বাস করে না।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাসুলকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে কুবিতে মানববন্ধন
আল্লাহ ও রাসুলকে (সা.) নিয়ে কটূক্তিকারী এনসিটিবির পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির সদস্য রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদুর রহমান এবং ধর্ষক র্যাব কর্মকর্তা আলেপের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল ফটকের সামনে এ দাবিতে মানববন্ধন করেন তারা।
এ সময় ‘আল্লাহ শানে ও রাসুলের শানে অপমান, সইবে নারে মুসলমান’, ‘নাস্তিকদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘রাসুলের কটুক্তি মানি না মানি মানব না’, ‘রাখাল রাহার বিরুদ্ধে লড়তে হবে একসাথে’, ‘যে রাষ্ট্র ধর্ষক পোষে সেই রাষ্ট্র ভেঙে দাও’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্লে-কার্ড হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. রাহিম বলেন, “হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, যদি কোন ব্যক্তি নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে গিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, আর সে প্রতিরোধে হত্যার মতো কোন ঘটনা ঘটে, তাতে কোন দোষ নেই। কেননা সম্ভ্রম বাঁচাতে গিয়ে যদি প্রতিরোধকারী নিহত হলে সে পাবে শাহাদাতের মর্যাদা। এ প্রতিরোধে সম্ভ্রম লুণ্ঠনকারীও নিহত হতে পারে। অর্থাৎ মা বোনেরা, আপনারা এমন পরিস্থিতির শিকার হলে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।”
তিনি আরো বলেন, “যদি রাখাল রাহার মতো আল্লাহ ও রাসুলের অবমাননাকারীদের বিচার না করতে পারেন, তাদের বিচার কীভাবে করতে হয় তৌহিদী জনতাই বুঝে নিবে। অনতিবিলম্বে তার বিচার করার আহ্বান রইল।”
লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. হাসান অন্তর বলেন, “বারবার মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি ও ব্যঙ্গ করা হচ্ছে। আমরা বলে দিতে চাই সব মুসলমানের হৃদয় ও ভালোবাসার নাম হয়রত মুহাম্মদ (সা.)। যদি আপনারা রাসুলকে (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করেন, তাহলে আমরা আমাদের রক্ত দিয়ে লড়াই করে যাব। আমরা আমাদের নবীর শানে বেয়াদবি সহ্য করব না। আমরা সরকারকে বলতে চাই, আপনারা যদি আমাদের মা বোনদের নিরাপত্তা দিতে না পারেন তাহলে গদি ছেড়ে দেন।”
গত ২২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির অন্যতম সদস্য রাখাল রাহা (সাজ্জাদুর রহমান) ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে একটি পোস্ট তার ফেসবুকে প্রকাশ করেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি সাবেক র্যাব কর্মকর্তা ও এএসপি আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুম করা ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণের তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা রাখাল রাহা ও র্যাব কর্মকর্তা আলেপের সুষ্ঠু বিচার না হলে কঠোর আন্দোলনের যাওয়ার হুঁশিয়ারী দেন।
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী