গ্যাসের দাম বৃদ্ধির শুনানির বা‌তি‌লের দা‌বি‌তে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন কর‌ছে কনজ্যুমার এসো‌সি‌য়েশন (ক্যাব)।

বুধবার সকাল ৯টায় বিয়াম ফাউন্ডেশ‌নের সাম‌নে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছে ভোক্তাদের সংগঠনটি। বিয়াম মিলনায়ত‌নে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব ‌নিয়ে‌ গণশুনানির আয়োজন ক‌রে‌ছে বাংলা‌দেশ এনা‌র্জি রেগু‌লেট‌রি ক‌মিশন (বিইআর‌সি)। 

নতুন শিল্প কারখানার বয়লার ও শিল্প কারখানার জেনারেটরে (ক্যাপটিভ) সরবরাহ করা গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৩০ ও ৩১.

৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫.৭২ টাকা, প্রতিশ্রুত গ্রাহকদের (ইতোমধ্যে অনুমোদিত) গ্যাসের অর্ধেক বিল বিদ্যমান দরে, অর্ধেক ৭৫.৭২ টাকা করার প্রস্তাব করেছে পেট্রোবাংলা। সেই প্রস্তাবের উপর শুনানি চল‌ছে।

ক্যাবের পক্ষ থেকে এর আগে শুনানি বাতিল করার জন্য লিখিত আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া না পেয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

এতে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিইআরসি গত ১৫ বছর শুধু মূল্যহারনির্ধারণের কাজ করেছে। বর্তমানেও এ অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। লুণ্ঠনমূলক ব্যয় ও মূল্যহার কমানোর কোনোউদ্যোগ নেয়নি বিইআরসি। এখন তারা গ্যাসের মূল্যহার বৃদ্ধিরকার্যক্রম শুরু করেছে। শেষ মুহূর্তে হলেও বিইআরসি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির শুনানি স্থগিতকরবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিদ্যমান শিল্পে এক ধরণের দর, আবার নতুন শিল্পে আরেক ধরনের দর। এ উদ্যোগজুলাই-আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের চেতনার সঙ্গেসাংঘর্ষিক। যারা দাম বাড়ানোর এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, তাদের সবার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। অন্তবর্তীকালীন সরকারের আচরণ যদি আগেরসরকারের মতো হয় তাহলে আন্দোলন শুরুতেই ব্যর্থ মনে হবে।৬ মাসে সরকারের দাম বাড়ানো, রপ্তানি শিল্পকে অস্থির করেতোলাটা অশনিসংকেত মনে হয়। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করাদরকার, এটা ক্যাব বিশ্বাস করে না।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কয়রায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, বহিষ্কার দাবি

খুলনার কয়রা উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক গোলাম রব্বানীর চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে তাঁকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টায় উপজেলা সদরের তিন রাস্তার মোড় এলাকায় সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

মানববন্ধনে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দেবব্রত দেবু, খুলনার সরকারি সিটি কলেজের শিক্ষার্থী আবিদ মাহমুদ, খুলনার বিএল কলেজের শিক্ষার্থী খলিলুর রহমান, জুলাই আন্দোলনে আহত মনিরুল ইসলাম, শিক্ষার্থী একরামুল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আন্দোলনে অংশ না নিলেও গোলাম রব্বানীকে কয়রা উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। এটা আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রদের সঙ্গে বৈষম্যের শামিল। আহ্বায়ক হয়ে গোলাম রব্বানী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ব্যানারে ইফতার মাহফিল আয়োজনের নামে ব্যক্তিগতভাবে চাঁদাবাজি করেছেন। তাঁর অনুসারী আবদুর রউফ একটি মাদ্রাসায় চাকরি করলেও ছাত্র সমন্বয়ক বলে দাবি করেন। তাঁর বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারকে ব্যবহার করে তাঁরা দুজন বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে তদবির করেন।

সম্প্রতি এনসিপির ব্যানারে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলের দাওয়াতপত্রে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কের সঙ্গে আবদুর রউফের মুঠোফোন নম্বর থাকা ও আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এ কারণে আহ্বায়কের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।

অভিযোগের বিষয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা গোলাম রব্বানীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কয়রায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, বহিষ্কার দাবি