খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করেছেন। শিক্ষার্থীরা জানান, সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বাড়ি চলে যাচ্ছেন তারা।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ করতে শুরু করেন।
কুয়েটের এনার্জি সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাতুল দাস বলেন, “ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী হল থেকে বের হয়ে গেছেন। বাকিরাও হয়তো হল ত্যাগ করবেন। তবে আন্দোলন অব্যহত থাকবে।”
আরো পড়ুন:
হল না ছাড়ার ঘোষণা কুয়েট শিক্ষার্থীদের
ইবির বাস উল্টে আহত ২৫ শিক্ষার্থী
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের পর থেকে কুয়েটে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। সংঘর্ষের পর থেকে শিক্ষার্থীরা ভিসি, প্রো-ভিসি’র অপসারণসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার ভিসির বাসভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৯ তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সার্বিক নিরাপত্তার কারণে বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কুয়েট প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা গতকাল রাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তারা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত না মেনে হলে অবস্থান করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এদিকে, অপ্রীতিকার ঘটনা এড়াতে বুধবার সকাল থেকে কুয়েটের প্রধান ফটকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে অপহরণের পর শিশুকে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বায়েজিদ (৯) নামে এক শিশুকে অপহরণের পর মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
দাপা ইদ্রাকপুর শৈলকুড়া এলাকার একটি ইটভাটার পরিত্যক্ত জায়গা থেকে মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত বাইজিদ ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকার সাইফুল আকনের ছেলে।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম জানান, ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় চটপটি খাওয়ানোর কথা বলে প্রতিবেশী ফেরদৌস বাসার সামনে থেকে ডেকে নিয়ে যায় শিশু বায়েজিদকে। পরে রাতে শিশুটির বাবাকে ফোন করে ছেলেকে জীবিত পেতে হলে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে বায়েজিদকে হত্যা করা হবে বলে ফোন বন্ধ করে দেয়। পরে শিশুর বাবা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি অভিযোগ করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ফেরদৌসকে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থেকে আটক করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে ইটভাটার পরিত্যক্ত ঝোঁপ থেকে শিশুর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/এস