অ্যাপলের ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমে চলা ম্যাক কম্পিউটারে আক্রমণ করতে সক্ষম বিপজ্জনক এক ম্যালওয়্যারের সন্ধান পেয়েছে মাইক্রোসফট। ‘এক্সসিএসএসইটি’ নামের ম্যালওয়্যারটি থেকে নিরাপদ থাকতে ম্যাক কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সতর্কও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

মাইক্রোসফটের থ্রেট ইন্টেলিজেন্স দলের তথ্যমতে, এক্সসিএসএসইটি নামের ম্যালওয়্যারটি নতুন নয়। তবে আগের তুলনায় বেশ উন্নত হয়েছে ম্যালওয়্যারটি। অ্যাপ্লিকেশনে নিজের উপস্থিতি লুকিয়ে রাখতে সক্ষম এই ম্যালওয়্যার ২০২০ সালে প্রথম শনাক্ত করা হয়। এখন এটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ফলে এটি শনাক্ত করা কঠিন এবং ম্যাক ব্যবহারকারীদের জন্য ঝুঁকিও বেড়েছে।

মাইক্রোসফটের তথ্যমতে, এক্সসিএসএসইটি ম্যালওয়্যারের সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হলো হ্যাকাররা এর মাধ্যমে অন্যান্য ক্ষতিকারক অ্যাপ তৈরি করতে পারে এবং সেগুলোকে ম্যাক অ্যাপ স্টোরের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে ব্যবহারকারীদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। একবার যদি কোনো কম্পিউটারে এই ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে, তাহলে হ্যাকাররা সেটির নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে এবং ব্যবহারকারীর ডেটা, যেমন পাসওয়ার্ড এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে। এমনকি এটি ব্যবহারকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।

সূত্র: নিউজ ১৮

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম য লওয

এছাড়াও পড়ুন:

মেঘনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, পরিস্থিতির সুযোগে লুটপাটও ঘটতে পারে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাকির হোসেন ও কাউছার সরকার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে ৮ জন আহত হন।

আহতদের কয়েকজনকে মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তিনজনকে ঢাকা পাঠানো হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রমজান মাসে পূর্ববিরোধের জেরে কাউছার সরকার গ্রুপের কাউছার হামলার শিকার হন। তাঁর হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগে শাজাহান সরকার (কাউছারের বাবা) বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় আটকরা বুধবার জামিনে মুক্তি পান। দুই দিন পর, শুক্রবার দুপুরে জাকির গ্রুপের লোকজন বাদী পক্ষের বাড়িতে হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়।

হরিপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ও বড়কান্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহফুজুল ইসলাম সমকালকে বলেন, দুজনই বড়কান্দা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি প্রার্থী। সেই প্রতিযোগিতা থেকেই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। গত এক মাস আগে জাকিরের লোকজন কাউছারকে হাত-পায়ের রগ কেটে ফেলে, কুপিয়ে জখম করে। এই মামলায় জাকিরসহ তার লোকজন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাদের আটক করে জেলে প্রেরণ করলে ১১ দিন পর জামিনে এসে বাদী পক্ষের বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর কাউসারের লোকজন ও সেখানে গেলে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দুপক্ষের ৮ জন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে পাঠানো হয়।

এবিষয়ে জাকির হোসেনকে ফোন দেওয়া হলে তিনি সমকালকে বলেন, আমরা ১১ দিন পর জামিন পেয়ে গতকাল রাতে বাড়িতে এসেছি। আজ সকালে শুনছি আমার চাচা ডালিমকে মারছে এরপর আমরা কয়েকজন ওইখানে খাল পার হয়ে যাই। সেখানে আমাদের লোকজনকে মারধর করে। আমার ৫ জন আহত হই। এদের মধ্যে একজন গুরুতর অবস্থায় আছেন।

তবে বাদীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন জাকির হোসেন।

মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল সমকালকে জানান, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর সাথে সাথে পুলিশ গেছে। পুরোনো বিরোধের জেরেই এ সংঘর্ষ হয়েছে। ৩-৪ জন আহত হয়েছে, এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এবিষয়ে লিখিতি অভিযোগ এখনো পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ