অনিবন্ধিত অবৈধ অভিবাসীদের জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়ার প্রস্তাব ট্রাম্পের
Published: 26th, February 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত যেসব অবৈধ অভিবাসী কেন্দ্রীয় সরকারে নিবন্ধিত হননি, তাঁরা উল্লেখযোগ্য জরিমানা, সম্ভাব্য কারাদণ্ড কিংবা দুটোরই মুখোমুখি হতে পারেন। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের জারি করা একটি নির্দেশনায় এ তথ্য জানা গেছে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির একজন মুখপাত্র বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন সব অভিবাসন আইনের প্রয়োগ করবে। আমরা বেছে বেছে কোনো আইন প্রয়োগ করব না। আমাদের মাতৃভূমি ও সব মার্কিন নাগরিকের সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় আমাদের নিশ্চয়ই জানা উচিত, কে আমাদের দেশে আছেন।’
মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবার ওয়েবসাইট অনুসারে, মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন করার সময় ১৪ বছরের বেশি বয়সী যেসব অভিবাসী নিবন্ধিত হননি কিংবা আঙুলের ছাপ দেয়নি এবং যাঁরা ৩০ দিন বা এর বেশি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাঁদের সবাইকে নিবন্ধন করতে হবে এবং আঙুলের ছাপ দিতে হবে।
ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, একজন অভিবাসী যখন নিবন্ধন করে আঙুলের ছাপ দেবেন, তখন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ নিবন্ধনের প্রমাণপত্র সরবরাহ করবে। ১৮ বছরের বেশি বয়সী অভিবাসীদের সব সময় এ প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হয়।
দ্বিতীয় মেয়াদে গত মাসে ক্ষমতায় ফিরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারে অভিবাসীদের নিবন্ধন নিশ্চিত করার জন্য হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে কারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন২১ জানুয়ারি ২০২৫ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের সিবিপি ওয়ান এন্ট্রি কর্মসূচি বন্ধের চেষ্টা করছে। এ কর্মসূচি লাখ লাখ অভিবাসীকে বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয়দের নিয়ে কয়েকটি তথ্য১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন বন ধ
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ
সমালোচনার মুখে বাতিল করা হয়েছে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবা বিল্লাল হোসেনের ঠিকাদারি লাইসেন্স। বাবার এ ‘ভুলের’ জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন আসিফ মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন উপদেষ্টা। এ সময় তার বাবার লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেন এবং এ সংক্রান্ত কাগজপত্র শেয়ার করেন।
আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে শুরুতেই তার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “গতকাল (বুধবার) রাত ৯টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হলাম তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ারের কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন।”
তিনি লেখেন, “বিষয়টি ওই সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম। তিনি পোস্ট করলেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে তাই ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম”।
আসিফ জানান, তার বাবা একজন স্কুলশিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে তার বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য তাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন।
“বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন। রাষ্ট্রের যেকোনো ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যেকোনো লাইসেন্স করতেই পারেন। তবে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই 'কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট' বা স্বার্থের সংঘাত।”
বিষয়টি বোঝার পর আজ তার বাবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে বলেও জানান আসিফ মাহমুদ।
তিনি লেখেন, “বাবা হয়তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি বুঝতে পারেননি, সেজন্য বাবার পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”
এই লাইসেন্স ব্যবহার করে মধ্যবর্তী সময়ে কোনো কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি বলেও সেখানে উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকা/ইভা