নবদম্পতিরা চারপাশের লোকের কথায় এই ৫ ফাঁদে পা দেবেন না
Published: 26th, February 2025 GMT
বাটারফ্লাই ম্যাট্রিমনিয়ালের প্রতিষ্ঠাতা এবং বিয়ে ও সম্পর্কবিষয়ক পরামর্শক হুরায়রা শিশির বলেন, নতুন যেকোনো কিছুর শুরুতে ভুল হবে, এটাই স্বাভাবিক। বিয়ের পরেও তা–ই। নতুন দাম্পত্যে ভুলকে খুব বড় করে দেখা যাবে না। ভুল থেকে সমস্যা তৈরি হলে একে অপরের প্রতি সহনশীল থেকে সেগুলো সমাধান করতে হবে।
১. সামর্থ্যের বাইরে বাসা ভাড়াশহরে বাস করেন এমন নতুন দম্পতির আয়ের একটা বড় অংশই থাকার ব্যবস্থা করতে চলে যায়। নিজ নিজ পরিবার থেকে আলাদা হয়ে নিজেদের মতো গুছিয়ে নিতে চাইলে খরচ এমনিতেই বেড়ে যায়। তার ওপর যদি দেখনদারির চাপে পড়েন, তাহলেই শেষ। অনেক সময় স্ট্যাটাস ঠিক রাখতে গিয়ে বাড়তি বাসাভাড়ার চাপে পড়েন দম্পতিরা। এ সময় পরিবার, আত্মীয় বা বন্ধুদের কথায় ব্যয়বহুল বাসা নিয়ে বিপদ বাড়ান দম্পতিরা। কয়েক মাস যেতে না যেতেই বাসাভাড়ার বাড়তি খরচ জোগাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়।
এমন ঘটনা অহরহই ঘটছে বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও কাপল কাউন্সিলর রউফুন নাহার। তিনি বলেন, সামাজিক অবস্থানের কথা ভেবে অনেক সময় দম্পতিরা শুরুতেই ব্যয়বহুল বাসা নেন। কিন্তু নতুন সংসারে আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। না হলে কদিন পরই শুরু হয় অর্থনৈতিক টানাপোড়েন। তাই স্থান-কাল এবং নিজেদের সামর্থ্য ও চাহিদা বিবেচনা করে বাসা নিতে হবে। লোকে কী বলবে না ভেবে দেখতে হবে, বাসাটি নিজেদের কর্মস্থলের কাছে কি না, প্রয়োজনীয়সংখ্যক ঘর আছে কি না এবং দুজনের রুচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না। বাড়তি খরচ ছাড়াই বাসাটি যেন দুজনের থাকার উপযোগী হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর আয় যদি বেশিও হয় বাড়তি টাকাটা বাসাভাড়ায় না দিয়ে সঞ্চয় করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
আরও পড়ুনসুখী দাম্পত্য সম্পর্কে থেকেও কেন মানুষ প্রেমে পড়ে?১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪২.দামি আসবাবঅনেকেই বিয়ের পর একসঙ্গে অনেক দামি আসবাব কিনে ঘর ভরে ফেলেন
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড়ে স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে পিটুনির শিকার সেই শিক্ষক কারাগারে
পঞ্চগড়ে প্রাইভেট পড়ানোর সময় স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে আটক করে পিটুনি দেওয়া সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলাটি করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওই শিক্ষক পঞ্চগড় জেলা শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি বিবাহিত, তাঁর দুই সন্তান আছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার একটি গ্রামে।
ওই শিক্ষকের বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচ এস এম সোহরাওয়ার্দী প্রথম আলোকে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার বেলা দেড়টার দিকে জেলা শহরের ভাড়া বাসার একটি কক্ষে পাঁচ ছাত্রীকে উচ্চতর গণিত পড়াচ্ছিলেন ওই শিক্ষক। প্রাইভেট শেষে চার ছাত্রী চলে গেলেও এক ছাত্রী থেকে যায়। পরে বিষয়টি সন্দেহ হলে স্থানীয় কয়েকজন সেখানে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষককে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ভিডিও ধারণ করেন। পরে ওই শিক্ষককে আটক করেন এবং মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে তুলে দেন। এ সময় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ লোকজন তাঁকে পিটুনি দিয়ে অটোরিকশায় করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চত্বরে নিয়ে যান। সেখানেও ক্ষুব্ধ লোকজন তাঁকে মারধর করেন। খবর পেয়ে পঞ্চগড় সদর থানা-পুলিশের সদস্যরা এসে তাঁকে আটক করেন।