বিশ্বের ১৩৪টি শহরের মধ্যে আজ বুধবার বায়ুদূষণে শীর্ষস্থানে রয়েছে সেনেগালের রাজধানী ডাকার। আইকিউএয়ারের বাতাসের মান সূচকে এসময় ডাকারের স্কোর ২৯৪। বায়ুর এই মানকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

২৭৭ স্কোর নিয়ে ২য় স্থানে অবস্থান করছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। বাতাসের মানসূচকে যা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’। অন্যদিকে ২২৬ স্কোর নিয়ে তালিকার ৩য় স্থানে অবস্থান করছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। এই স্কোরকেও ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

বুধবার সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের ওয়েবসাইটে বায়ুদূষণের এই তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ করা হয়েছে।

এছাড়াও ২০৮ স্কোর নিয়ে তালিকার ৪র্থ‌ স্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। বায়ুর এই স্কোরকেও ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। 

বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু।

স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘বিপজ্জনক’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।

ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে আইকিউএয়ার যে পরামর্শ দিয়েছে, তার মধ্যে আছে ঘরের বাইরে গেলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মানুষদের মাস্ক পরতে হবে। এ ছাড়া ঘরের বাইরে ব্যায়াম না করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইক উএয় র আইক উএয় র অবস থ ন ক

এছাড়াও পড়ুন:

‘বিসিবি আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছে’

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে বিসিবির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম কোড স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই তাকে বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), যা তার কোচিং ক্যারিয়ারের ভবিষ্যত ধ্বংস করে দিয়েছে।

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলাকালে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাকে বরখাস্ত করে বিসিবি। তবে শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন হাথুরুসিংহে। তার ভাষায়, ‘তারা আমাকে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার কোনো সুযোগ দেয়নি। শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছে।’

সেই সময়কার রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগও তুলে ধরেছেন হাথুরুসিংহে। জানান, বরখাস্ত হওয়ার পর তিনি নিজেকে চরম নিরাপত্তাহীন মনে করছিলেন। ‘সাধারণত আমার সঙ্গে একজন ড্রাইভার ও একজন বন্দুকধারী থাকত। কিন্তু ওই দিন শুধু ড্রাইভার ছিল। তখনই বুঝেছিলাম, কিছু একটা ঘটেছে।’

ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে টিভিতে নিজের চাকরিচ্যুতির খবর দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। ব্যাংক ম্যানেজারও তাকে সতর্ক করে বলেন, রাস্তায় বের হলে বিপদ হতে পারে। পরে এক বন্ধুর সহায়তায় টুপি ও হুডি পরে মধ্যরাতের ফ্লাইটে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এই শ্রীলঙ্কান কোচ। নাসুমের ঘটনার ব্যাখ্যায় হাথুরু বলেন, ‘আমি কাউকে চড় মারিনি। আসলে আমি ব্যাটসম্যানদের গ্লাভস পাঠাতে বলছিলাম, তাই পিঠে হালকা টোকা দিই। এটাকে চড় বলা সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যা।’

এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক সহকারী কোচ নিক পোথাস ও স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথও। হেরাথ বলেন, ‘বিশ্বকাপে তার চারপাশে সবসময় ক্যামেরা ছিল। এমন কিছু ঘটলে তার ভিডিও বের হতোই।’ পোথাস যোগ করেন, ‘এটা খুবই স্পষ্ট যে, কেউ হয়তো তার প্রতি ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে এ ধরনের অভিযোগ এনেছে।’

হাথুরুসিংহে মনে করেন, তাকে বরখাস্ত করা ছিল বিসিবির বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদের পরিকল্পিত পদক্ষেপ। ‘আমি জানি না, গত ছয় মাসে কতগুলো চাকরির সুযোগ হারিয়েছি। বিসিবি শুধু আমার চাকরি নয়, আমার পুরো কোচিং ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছে,’ বলেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ