যাত্রাবাড়ীতে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা, পূর্বশত্রুতাকে কারণ বলছে পরিবার
Published: 26th, February 2025 GMT
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা এলাকায় কুপিয়ে মো. ইকবাল হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ইকবাল হোসেনের পরিবার বলছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরেই এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
আহত অবস্থায় ইকবালকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে ১১টায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। একই ঘটনায় আহত জাহিদ হাসান রাজুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পথচারীরা ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো.
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী কুলসুম বলেছেন, পূর্বশত্রুতার কারণেই রাতে বিবির বাগিচা এলাকায় ইকবালকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়। এ অবস্থা দেখে মো. জাহিদ হাসান রাজু (৩০) নামে ভাঙারি দোকানের কর্মচারী এগিয়ে গেলে তাঁকেও গুলি করে আহত করে। পরে সংবাদ পেয়ে সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ইকবালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
নিহত ইকবালের স্বজনেরা জানান, পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার নারায়ণপাশা গ্রামের মৃত আবদুল বারেকের ছেলে ইকবাল। তিনি যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা এলাকায় থাকতেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।